You are currently viewing উক্তি ১০১টি বাণী স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

উক্তি ১০১টি বাণী স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

স্বামী বিবেকানন্দ  ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ – ৪ জুলাই ১৯০২; জন্মনাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত, ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, “আমেরিকার ভাই ও বোনেরা …,”১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন।

স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তার রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল “খণ্ডন-ভব-বন্ধন” (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও “নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি”। এছাড়া “নাচুক তাহাতে শ্যামা”, “৪ জুলাইয়ের প্রতি”, “সন্ন্যাসীর গীতি” ও “সখার প্রতি” তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। “সখার প্রতি” কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? / জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” – বিবেকানন্দের সর্বাধিক উদ্ধৃত একটি উক্তি।

ভারতে বিবেকানন্দকে ‘বীর সন্ন্যাসী’ নামে অভিহিত করা হয় এবং তার জন্মদিনটি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়।

১#

“যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে,
আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২#

“সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩#

“এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না।
সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪#

“বিশ্ব একটি ব্যায়ামাগার যেখানে
আমরা নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে এসেছি”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫#

“এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে
আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬#

“আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে
জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৭#

“শুধু বড়ো লোক হয়ো না…
বড় মানুষ হও।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৮#

“সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও,
তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৯#

“মহাবিশ্বের সীমাহীন পুস্তকালয়
আপনার মনের ভীতর অবস্থিত”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১০#

“ওঠো এবং ততক্ষণ অবধি থেমো না,
যতক্ষণ না তুমি সফল হচ্ছ”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১১#

“ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা…
প্রেমের শক্তি অনেক বেশি শক্তিমান।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১২#

“নিজের উপর বিশ্বাস না এলে…
ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১৩#

“যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে
দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১৪#

“জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১৫#

“যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই,
সে আসলে মরতে বসেছে।
যত দিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১৬#

“অনুতাপ কর না,
পূর্বে যে-সব কাজ করেছ,
সে-সব নিয়ে মাথা ঘামিও না,
এমন কি যে-সব ভাল কাজ করেছ,
তাও স্মৃতিপথ থেকে দূর করে দাও।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১৭#

অপরের দোষত্রুটি দেখিয়া বেড়ান তো আমাদের কাজ নয়।
উহাতে কোন উপকার হয় না।
এমন কি, ঐগুলির সম্বন্ধে আমরা চিন্তাও যেন না করি।
সৎ চিন্তা করাই আমাদের উচিত।
দোষের বিচার করিবার জন্য আমরা পৃথিবীতে আসি নাই।
সৎ হওয়াই আমাদের কর্তব্য।

—স্বামী বিবেকানন্দ

১৮#

“যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন।
যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন
তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন
আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন,
তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১৯#

“সেবা করো তাৎপরতার সাথে।
দান করো নির্লিপ্ত ভাবে।
ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে।
ব্যয় করো বিবেচনার সাথে।
তর্ক করো যুক্তির সাথে।
কথা বলো সংক্ষেপে।

—স্বামী বিবেকানন্দ

২০#

“যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না।
যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না।
যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২১#

“জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র,
জগত এখন তাদের চায় যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২২#

“উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে বাহিরে টেনে বের করে আনো,
এবং হালকা হও…
কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২৩#

“আমরা যেন প্রদীপ-স্বরূপ, আর ঐ প্রদীপের জ্বালাটাকেই আমরা ‘জীবন’ বলি।
যখনই অম্লজান ফুরিয়ে যাবে, তখনই আলোটাও নিবে যাবে।
আমরা কেবল প্রদীপটাকে সাফ রাখতে পারি।
জীবনটা কতকগুলি জিনিষের মিশ্রণে উৎপন্ন,
সুতরাং জীবন অবশ্যই তার উপাদান-কারণগুলিতে লীন হবে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২৪#

“তুমি যখন নিজেকে দেহমাত্র বলিয়া ভাব,
তখন তুমি বিশ্বজগৎ হইতে বিচ্ছিন্ন,
নিজেকে যখন জীব বলিয়া ভাব,
তখন তুমি সেই শাশ্বত মহান্ জাতির একটি কণিকামাত্র,
আর যখন নিজেকে আত্মা বলিয়া ভাব,
তখন তুমিই সব কিছু।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২৫#

“শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তারই জীবন,
সংকোচনই মৃত্যু, প্রেমই জীবন, ঘৃণাই মৃত্যু”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২৬#

“সত্যকে হাজার আলাদা আলাদা উপায়ে বলা যেতে পারে,
তারপরেও সব কিছু সত্যই থাকে”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২৭#

“সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে,
কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২৮#

“ঈশ্বর ব্যতীত জীবনের উচ্চতর লক্ষ্য আর কি হইতে পারে?
ঈশ্বর স্বয়ংই মানুষের সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাঁহাকে দর্শন কর,
তাঁহাকে সম্ভোগ কর,
ঈশ্বর অপেক্ষা উচ্চতর বস্তু আমরা ধারণাই করিতে পারি না,
কারণ ঈশ্বর পূর্ণস্বরূপ।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

২৯#

“যত বেশি আমরা বাইরে গিয়ে অন্যদের ভালো করবো,
আমাদের হৃদয় ততই বিশুদ্ধ হবে
এবং ভগবান সেখানে বাস করবেন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩০#

“শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম।
দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ।
অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম,
অপরকে ঘৃণা করাই পাপ।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩১#

“মানুষের সেবাই হলো ভগবানের সেবা”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩২#

“প্রথমে অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে, তারপর ধর্ম”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩৩#

“জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতায় সেই পাপ।
সকল প্রকার দুর্বলতা ত্যাগ করো…
দুর্বলতায় মৃত্যু, দুর্বলতায় পাপ।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩৪#

“ভগবান যদিও সর্বত্র আছে বটে,
কিন্তু তাঁকে আমরা জানতে পারি কেবল মানবচরিত্রের মধ্য দিয়ে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩৫#

“প্রার্থনা করা অপেক্ষা প্রাণ খুলিয়া হাসা অনেক ভালো।
গান কর। দুঃখের হাত হইতে নিষ্কৃতি লাভ কর।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩৬#

“প্রবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা কোরো,
তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩৭#

“ধর্ম এমন একটি ভাব,
যাহা পশুকে মনুষ্যত্বে ও মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩৮#

“সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা,
নিজের প্রতি বিশ্বাস করুন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৩৯#

“পাঁচশো পুরুষের সাহায্যে ভারতবর্ষকে জয় করতে পঞ্চাশ বছর লাগতে পারে,
কিন্তু পাঁচশো নারীর দ্বারা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা যেতে পারে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪০#

“আমরা স্ত্রীলোককে নিচ, অধম, মহা হেয়, অপবিত্র বলি।
তার ফল…
আমরা পশু, দাস, উদ্যমহীন, দরিদ্র।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪১#

“আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষিতা নয় বটে,
কিন্তু তারা অনেক বেশি প্রবিত্র।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪২#

“ভারতীয় নারীদের যে রকম হওয়া উচিত,
সীতা তার আদর্শ।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪৩#

“সেই নারীও ধন্য যার চোখে পুরুষ ভগবানের পিতৃভাবের প্রতীক।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪৪#

“মেয়েদের উন্নতি করতে পারো?
তবে আশা আছে।
নইলে পশু জন্ম ঘুচবে না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪৫#

“ভারতের জননীই আদর্শ নারী।
মাতৃভাবই আদর্শ ও শেষ কথা।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪৬#

“একটি রাষ্ট্রের অগ্রগতি জানার সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেই রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪৭#

“গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে,
সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে?
যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই,
সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪৮#

“জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে,
কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশি নিঃস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয়।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৪৯#

“সমাজ অপরাধীদের কারণে খারাপ হয়না
বরং ভালো মানুষদের নীরবতার কারণে হয়”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫০#

“মনে করিও না, তোমরা দরিদ্র।
অর্থই বল নহে…
সাধুতাই-পবিত্রতাই বল।
আপনাতে বিশ্বাস রাখো।
প্রবল বিশ্বাসই বড় কাজের জনক।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫২#

“যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই।
আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি,
তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই,
কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই। ”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫৩#

“নিজেদের বিপদ থেকে টেনে তোলো!
তোমার উদ্ধার-সাধন তোমাকেই করতে হবে।
ভীত হয়ো না।
বারবার বিফল হয়েছো বলো নিরাশ হয়ো না।
কাল সীমাহীন, অগ্রসর হতে থাকো,
বারবার তোমার শক্তি প্রকাশ করতে থাকো,
আলোক আসবেই।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫৪#

“কাজ করো নির্ভীকভাবে।
এগিয়ে চলো সত্য আর ভালোবাসা নিয়ে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫৫#

“কখনও বড় পরিকল্পনার হিসাব করবেন না,
ধীরে ধীরে আগে শুরু করুন,
আপনার ভূমি নির্মাণ করুন তারপর ধীরে ধীরে এটিকে প্রসার করুন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫৬#

“যা পারো নিজে করে যাও,
কারও ওপর আশা বা ভরসা কোনোটাই কোরো না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫৭#

“পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও…
অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য…
এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫৮#

“যখন তুমি ব্যস্ত থাকো তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয়,
কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয় না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৫৯#

“কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬০#

“চালাকির দ্বারা কোনো মহৎ কর্ম হয় না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬১#

“সকল কাজ কর, কিন্তু অনাসক্ত হয়ে কর,
কাজের জন্যই কাজ কর, কখনও নিজের জন্য কর না।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬২#

“মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে।
যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে,
সেই বুদ্ধিমান।
কোনো কাজই ছোট নয়।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬৩#

“একটি সময়ে একটিই কাজ কোরো এবং সেটা করার
সময় নিজের সব কিছু তার মধ্যে ব্যয় করে দাও।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬৪#

“উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও।
যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও।
আর এটা সবসময় মাথায় রেখো,
তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা।
তোমার যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন,
সবটা তোমার মধ্যেই রয়েছে।
সুতরাং নিজের ভবিষ্যত্‍‌ নিজেই তৈরি করে নাও।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬৫#

“নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন,
যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন
আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের
সঠিক পথ দেখাতে পারবেন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬৬#

“মস্তিস্ককে উচ্চ মানের চিন্তা-ভাবনা দিয়ে পূর্ণ করো,
দিবারাত্র এগুলোকে তোমার সামনে রেখে চলো,
এগুলোর থেকে মহান কাজ বেরিয়ে আসবে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬৭#

“জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬৮#

“কখনো না বোলোনা, কখনো বোলোনা আমি করতে পারবোনা।
তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতর আছে,
তুমি সব কিছুই করতে পারো।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৬৯#

“মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত,
যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৭০#

“সব শক্তিই আপনার মধ্যে আছে সেটার উপর বিশ্বাস রাখুন,
এটা বিশ্বাস করবেন না যে আপনি দুর্বল।
দাঁড়ান এবং আপনার মধ্যেকার দৈবত্বকে চিনতে শিখুন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৭১#

“ইচ্ছা, অজ্ঞতা এবং বৈষম্য…
এই তিনটিই হলো বন্ধনের ত্রিমূর্তি”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৭২#

“শেখার জন্য এটাই হল প্রথম শিক্ষা…
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও যে বাইরের কোনো কিছুকে অভিশাপ দেবে না,
বাইরের কাউকে দোষ দেবে না,
কিন্তু উঠে দাড়াও নিজেকে দোষ দাও,
তুমি বুঝতে পারবে নিজেকে ধরে রাখার জন্য এটাই হল সঠিক পন্থা।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৭৩#

“কোন জীবনই ব্যর্থ হইবে না,
জগতে ব্যর্থতা বলিয়া কিছু নাই।
শতবার মানুষ নিজেকে আঘাত করিবে,
সহস্রবার হোঁচট খাইবে,
কিন্তু পরিণামে অনুভব করিবে,
সে ঈশ্বর।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

৭৪#

জীবনে পরিস্থিতি ভাল বা খারাপ হতে পারে, কিন্তু যে কোন পরিস্থিতিতে জ্ঞান ও মনুষ্যত্ব মানুষ কে এগিয়ে চলার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

৭৫#

জীবনে এমন কোন জিনিসের অভ্যাস করবে না, যেগুলি তোমায় শরীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল করে।

৭৬#

মানুষের সমস্থ জ্ঞান তার ভিতর অন্তর নিহিত, কেবল মাত্র এর উনমোচন সঠিক ইছা প্রয়োজন।

৭৭#

ঈশ্বের কে পেতে এখানে ওখানে ঘোরার কোন দরকার নাই, যদি তাকে খুঝতেই হয় তবে তাকে নিজের মনের মধ্যে, শুধু তাকে দেখার ইচ্ছা প্রয়োজন।

৭৮#

ওঠো, জাগো থেমনা যতক্ষণ না নিজের লক্ষ্যে পৌছছ।

৭৯#

মনের উপর নিয়ন্ত্রণ পেতে গেলে সবার প্রথম আমাদের শরীরের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা প্রয়োজন।

৮০#

যে আগুন প্রয়োজনে উত্তাপ প্রদান করে, সেই আগুন অসাবধানতায় সর্ব গ্রাসী হয়ে ওঠে।

৮১#

মানুষের সমস্থ জ্ঞান তার ভিতর অন্তর নিহিত, কেবল মাত্র এর উনমোচন সঠিক ইছা প্রয়োজন।

৮২#

নারীর জীবনের প্রাকৃত উদ্যেশ কখনো বিবাহ বন্ধনে সীমিত থাকা নয়, বরং নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা ও গর্বের সাথে পূরুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলা।

৮৩#

শান্তির খোজে কখনো নিজের দায়ত্ব নিজের কর্ম কে ত্যাগ করা হল মুর্খামি।

৮৪#

এ জগতের সবচেয়ে বড় পাপ হল নিজেকে দুর্বল ভাবা।

৮৫#

সুখ বা আনন্দ কে জীবনের পরম লক্ষ্য ভেবো না, জীবনের পরম লক্ষ্য হল জ্ঞান, ভক্তি ও প্রেম যার দ্বারাই তুমি জীবনে সুখ সাছন্দ খুজে পাবে।

৮৬#

জীবনে পাপ পুণ্য হিসাব না করে, নিষ্কাম কর্ম করার প্রতি একনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন।

৮৭#

জীবনে যাই হোক না কেন নিজের মনের মধ্যে কখনো রাগ, ঘৃণা ও অহংকারের বিশ ঢুকিয়ে ফেল না, এই বিষ এক বার শরীরে প্রবেশ করলে মৃত্যু হওয়া না পর্যন্ত তোমায় শান্তি দেবে না।

৮৮#

এটা কখনো বলোনা তুমি যা চেয়েছ ভগবান তোমায় দেয়নি, কারণ সে তোমায় সর্ব ক্ষমতা প্রদান করেছেন তোমার নিজের সমস্থ প্রয়োজন পূর্ণ করর জন্য, তুমি নিজে অসফল তোমার কর্মের জন্য।

৮৯#

যে মানুষ নিজের দুঃখ কে সাহসের সাথে জয় করে তার কাছে অসম্ভব কার্য ও সম্ভব।

৯০#

আমরা মধ্যে যত বেশি প্রেম, পবিত্রতায় এবং সদগুণ বৃদ্ধি পাবে, ততই আমরা প্রতিটিই মানুষের মধ্যে এগুলো খুজে পাবো।

৯১#

মানুষের কাছে সবচেয়ে উত্কৃষ্ঠ ধর্ম হল সত্য, সত্য উপর কোন ধর্ম হয় না।

৯২#

স্থির মনের দ্বারাই জীবনের পরম সত্যকে অনুভব করা সম্ভব।

৯৩#

প্রতিটা মানুষের মন অনন্ত শক্তিশালী, মনের একাগ্রতাই হল এই শক্তির উন্মুক্তির আসল পথ।

৯৪#

যে মানুষ নিজের উপর সম্পুর্ন বিশ্বাস ও ভরসা রাখে, তিনি সব কিছু জয় করতে পারেন।

৯৫#

তোমার মন ও বুদ্ধির মধ্যে যদি কোন বিষয় নিয়ে দন্ধ সৃষ্ঠী হয় তখন নিজের মনের উপর সবসময় ভরসা রাখবে।

৯৬#

কোথাও কিছু শুনেছ বলেই তার উপর বিশ্বাস করা সম্পুর্ন নিরঅর্থক, যতক্ষণ না নিজের চোখে ও নিজে বুঝছো ততক্ষণ কোন জিনিষে বিশ্বাস করবে না।

৯৭#

আত্মউপলব্ধি জন্য নিজের অন্তর কে জানা প্রয়োজন, যে মানুষের অন্তর থেকে সম্পুর্ন জ্ঞান শূন্য সেই মানুষের কখনো আত্মউপলব্ধি সম্ভব না।

৯৮#

অপরের দোষত্রুটি দেখিয়া বেড়ান তো আমাদের কাজ নয়।
উহাতে কোন উপকার হয় না।
এমন কি, ঐগুলির সম্বন্ধে আমরা চিন্তাও যেন না করি।
সৎ চিন্তা করাই আমাদের উচিত।
দোষের বিচার করিবার জন্য আমরা পৃথিবীতে আসি নাই।
সৎ হওয়াই আমাদের কর্তব্য।

—স্বামী বিবেকানন্দ

৯৯#

“যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন।
যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন
তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন
আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন,
তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন”

—স্বামী বিবেকানন্দ

১০০#

“ভগবান যদিও সর্বত্র আছে বটে,
কিন্তু তাঁকে আমরা জানতে পারি কেবল মানবচরিত্রের মধ্য দিয়ে।”

—স্বামী বিবেকানন্দ

Leave a Reply