Two roads diverged in a wood, and I—
I took the one less traveled by,
And that has made all the difference.
রবার্ট ফ্রস্টের জীবন ছিলো একাকিত্ব, বেদনা আর হতাশায় পরিপূর্ণ। এই একাকিত্ব আর বেদনাই তার কবিত্ব কে পরিপূর্ণ করেছে।
উপরে যে লাইনগুলো লিখেছি সেগুলো রবার্ট ফ্রস্টের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা The Road not Taken এর শেষ কয়েকটি লাইন। খুব কমই সাহিত্যপ্রেমী পাওয়া যাবে যিনি এই কবিতাটি জীবনে একবারও পড়েন নি।
এই কবিতার পেছনেও তেমনি একটি মর্মান্তিক ঘটনা লুকিয়ে আছে, যা রবার্ট ফ্রস্টের জীবনেরই বিষন্ন এক অধ্যায়।
কবিতার আড়ালের বিষন্ন গল্প
রবার্ট ফ্রস্ট ১৯১২ সালের দিকে আমেরিকা থেকে নিজের পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে ইংল্যান্ড চলে আসেন। ততোদিনে রবার্ট ফ্রস্ট বেশ জনপ্রিয় কবি। বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ও ততোদিনে প্রকাশিত হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডে আসার পর রবার্ট ফ্রস্টের সাথে বন্ধুত্ব হয় এডওয়ার্ড টমাসের সাথে। টমাস ছিলেন রবার্ট ফ্রস্টের সহকর্মী এবং কবিতা লেখার ক্ষেত্রে তিনি বন্ধু ফ্রস্ট কে আরো বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিতেন, যেনো আরো বেশি বেশি কবিতা লেখেন।
তো প্রিয় বন্ধু টমাসের সাথে অবসর সময়ে কবি রবার্ট ফ্রস্ট প্রায়ই ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলে ঘুরতে যেতেন। ঘুরাঘুরির ক্ষেত্রে টমাসের এক অদ্ভুত অভ্যেস ছিলো। ফ্রস্টের সাথে তিনি যে পথেই যেতেন তিনি আফসোস করতেন। আর বলতেন যদি অন্য পথ দিয়ে যেতেন তাহলে ফ্রস্ট ইংল্যান্ডের আরো আকর্ষণীয় জায়গাগুলো দেখতে পেতেন। কিন্তু রবার্ট ফ্রস্ট জানেন যে অন্য রাস্তা দিয়ে গেলেও ফলাফল সেই একই হবে।
এরই মাঝে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। আর ব্রিটিশ সরকার সন্দেহ করতে থাকে রবার্ট ফ্রস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করছে। আর তাই ঝামেলা এড়াতে তড়িঘড়ি করে পরিবার নিয়ে নিউইয়র্ক চলে আসেন।
আমেরিকা ফিরে এসেই নিজের উম্মাদ, বিভ্রান্ত ও পাগলাটে বন্ধু টমাস কে মজা করেই The Road not Taken কবিতাটি লিখে ফেলেন। কবিতায় রবার্ট ফ্রস্টের মোটিভ ছিলো অনুশোচনা করা এক ধরনের মূর্খতা।
Though as for that the passing there
Had worn them really about the same,
And both that morning equally lay
In leaves no step had trodden black.
I shall be telling this with a sigh
Somewhere ages and ages hence:
Two roads diverged in a wood, and I —
I took the one less traveled by,
And that has made all the difference.
কবিতার শেষ বিখ্যাত লাইনগুলিতে বলেছেন তিনি কম ভ্রমণ করা রাস্তাটি বেছে নিয়েছেন। অথচ এর আগে বলেছেন সকল রাস্তাই এক। সব রাস্তাই যদি একই হয় কেনো শেষে তার উল্টো টা করেছেন? বর্তমানে থেকে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে?
সে যাই হোক যাকে নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন। সবসময়ে বিভ্রান্তিতে থাকা বন্ধু টমাস যোগ দিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। অথচ টমাস ছিলেন জাতীয়তাবাদ বিরোধী এমনকি ব্রিটিশদের বর্ণবাদের সমালোচনাকারী ও ছিলেন। আর সেই টমাস স্বেচ্ছায় দেশ রক্ষায় অস্ত্র হাতে যোগ দিলেন যুদ্ধে।
তবে যুদ্ধে যাওয়ার আগে নিজেকে এবং নিজের পরিবার কে আমেরিকায় স্থানান্তর করার সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধে যোগ দেবেন কি দেবেন না তা নিৈ টমাস ছিলে সংশয়ের মধ্যে। এরপরই টমাসের কাছে চিঠি এলো বন্ধু রবার্ট ফ্রস্টের সেই বিখ্যাত কবিতা The Road Not Taken, যা তারই সংশয় নিয়ে লেখা। এর কিছুকাল পরেই টমাস সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
আর বন্ধু রবার্ট ফ্রস্ট কে চিঠিতে লিখেন,
গত কয়েক সপ্তাহ আমি সংশয়ের মধ্যে ছিলাম। আমি আমেরিকায় যাবো নাকি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবো? আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। ডাক্তার আমাকে মেডিকেল গ্রীন সিগন্যাল দিলেই বুধবার আমি সেনাবাহিনীতে নাম লেখাতে যাচ্ছি।
যদিও এই কথার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা ভিত্তি নেই। তবে অনেক মানুষই মনে করেন রবার্ট ফ্রস্টের এই কবিতাই শেষ পর্যন্ত টমাস কে যুদ্ধে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে।
আর টমাস ১৯১৭ সালের ৯ এপ্রিল যুদ্ধক্ষেত্রে বুলেটে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
Reference
- https://en.m.wikipedia.org/wiki/Robert_Frost
- https://www.britannica.com/biography/Robert-Frost
- https://study.com/learn/lesson/the-road-not-taken-robert-frost-summary-themes-symbolism.html#:~:text=This%20poem%20discusses%20the%20themes,a%20strict%20ABAAB%20rhyming%20scheme.