Colin Pitchfork একজন দাগী বৃটিশ আসামি। তিনি দুজন মেয়ে কে ধর্ষণ করে তারপর হত্যা করেছিলেন। ২২ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে তাকে ব্রিটিশ আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। অপরাধ তো অনেক রকমই হয়, তবে Colin pitchfork এর অপরাধ আলাদা হওয়ার কারণ সে ধরা পড়েছিল পৃথিবীর প্রথম অপরাধী হিসেবে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে।
মূল ঘটনা
১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে ১৫ বছর বয়সী Lynda Mann নামের এক কিশোরী কে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এক নির্জন রাস্তার ধারে। তাকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছিলো। মৃতদেহ হতে ধর্ষণকারীর সিমেন স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছিলো, কিন্তু অপরাধীকে ঐ সময়ে ধরা সম্ভব হয়নি।
এর ৩ বছর পরে ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে Dawn Ashworth নামে আরেকজন ১৫ বছর বয়সী বালিকাকে পাওয়া যায় নির্জন বনের এক ধারে। তাকেও ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছিলো।
ব্রিটিশ পুলিশ এবারে তদন্তের ধাঁচ পালটে ফেলেন। তারা লেইচেস্টারশায়ারে (যে স্থানের আশেপাশে অপরাধ ঘটেছিলো) তারা মাইকিং করে শহরবাসীকে রক্ত এবং লালার স্যাম্পল জমা দিতে বলে। দীর্ঘসময় লাগিয়ে সবার থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, একটা স্যাম্পলও খুনির ডিএনএর সাথে মিলেনি! ব্রিটিশ পুলিশ পরে যায় পুরো ধাঁধাঁয়!
১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক ব্যক্তি এসে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেন ‘Ian Kelly’ নামের এক ব্যক্তি নাকি বারে বসে গল্প করছিলো,আর সে বলছিল তার এক বন্ধুর বদলে সে রক্ত আর লালার স্যাম্পল জমা দিয়ে ঐ বন্ধুর থেকে ২০০ পাউন্ড পেয়েছে। এই সূত্র ধরে পরে পুলিশ গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় কলিন-কে। তার সাথে আগের জোগাড় করা স্যাম্পলের ডিএনএ পুরো মিলে যায়।
জেরাতেও পরে সে স্বীকার করে তার অপরাধের কথা। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালের ২২ জানুয়ারি ব্রিটিশ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের হুকুম দেয়।
Colin Patrichfork এর বর্তমান অবস্থা
২০১৭ সালের নভেম্বর Colin Pitchfork,দীর্ঘ ৩০ বছর সাজাভোগ করার পর কোর্টের পার্মিশন নিয়ে ৬ ঘন্টার জন্য জেল থেকে বের হন তিনি।