এককোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না একবার তোমকে দেখতে পাবো এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে বিদ্যাসাগরের মত আমিও সাঁতরে পার হবো ভরা দামোদর...

কাউকে কটু কথা বলবে না। কারণ সে-ও কটু প্রতু্ত্তর দিতে পারে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যেও কষ্টদায়ক হবে। দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে।

যখন কোনো নতুন জায়গায় যাইবেন দুইটা বিষয় পয়লা জানার চেষ্টা করবেন। ওই জায়গার মানুষ কী খায়। আর পড়ালেখা কী করে। কাঁচাবাজারে যাইবেন, কী খায় এইডা দেখনের লাইগ্যা। আর বইয়ের দোকানে যাইবেন পড়াশোনা কী করে এইডা দেখনের লাইগ্যা।... কী খায়, কী পড়ে এই দুইডা জিনিস না জানলে একটা জাতির কোনো কিছু জানন যায় না।

কথা-বার্তায় ক্রোধের পরিমান খাবারের লবনের মত হওয়া উচিত। পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর।

পাপ পূণ্য কোনোটাই তো করার সুযোগ পেলাম না। সারাজীবন কেবল ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলাম। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কি আর ওসব করা যায়?

ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি? যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!

নিয়মের দুনিয়ায় অনেক অনিয়ম আছে। যেমন কর্ম তেমন ফল' তাই সব সময়ে পাওয়া যায় না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলা সারাদিনের কর্মফল বড় সামান্য। পরোপকার প্রায়ই বিফলে যায়। সে কর্মে যদিও ফল ফলে, তা তিতো, বিষাক্ত। এটা অনিয়ম বৈকি।

ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান চেয়ে থাকে নিষ্পলক,তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।

তুমি পথিক, পথ তোমার। সেই পথ রাজা তৈরি করেছেন না কোন অসৎ ধনীর টাকায় তৈরি হয়েছে তা তো তোমার জানার কথা নয়। পথিকের কাজ পথ ধরে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

যা পেতে ইচ্ছে করে, আমি তাকেই বলি সুন্দর। প্রত্যেকটি প্রাণেরই এক-একটা স্বতন্ত্র চেহারা থাকে। সুন্দরের কোনো নির্দিষ্ট চেহারা নেই, সে আপেক্ষিক।

শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রতি বিশ্বাসী হোন, তার উপর মাত্রাতিরিক্ত অভিভাবকত্ব করবেন না, শিশূর রাজ্যে অনাধিকার প্রবেশ ও তার মানসিকতার পক্ষে শুভ নয়।

কিছু মানুষের ক্ষেত্রে, অনাহারের কারণ যথেষ্ট খাবার না পাওয়া। যথেষ্ট খাবার না থাকা এর কারণ নয়।

এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।

শুধু কল্পনা করেন, বিশ্বে কী ঘটবে যদি সমাজতান্ত্রিক সম্প্রদায় অদৃশ্য হয়ে যায়... আগে সম্ভব হলেও এখন আর তা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি না।

যখন তুমি মারা যাবা তখন তোমার ব্যাংকে যে পরিমান টাকা থাকবে সেটা হল ওই টাকা যা তুমি তোমার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কাজ করে আয় করেছ।