শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উক্তি | শরৎচন্দ্রের ৪০ টি বিখ্যাত উক্তি
তারাই মহৎপ্রাণ, যারা অন্যদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের বিপদের কথা মনে রাখে না।
তারাই মহৎপ্রাণ, যারা অন্যদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের বিপদের কথা মনে রাখে না।
যাহার অনেক আছে সে যে অনেক দেয় বলিয়াই লোকে তাহার কাছে আনাগোনা করে তাহা নহে — সে কিছু না দিলেও মানুষের লুব্ধ কল্পনাকে তৃপ্ত করে।
এই যে আকাশ ছেড়ে গেলে, এতোটা ছিলো না পৃথিবীও, যে জানেনা আকাশের মানে, তার কাছে দ্বিধাতো আমিও!
আঁকড়ে থেকো না কিছু। যে যাবার তাকে যেতে দাও যে ফেরার সেতো ফিরবেই..
পরিবর্তন ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয় এবং যারা নিজেদের মনকে পালটাতে পারে না, তারা কোনও কিছুই বদলাতে পারে না।
অপরের দোষত্রুটি দেখিয়া বেড়ান তো আমাদের কাজ নয়। উহাতে কোন উপকার হয় না। এমন কি, ঐগুলির সম্বন্ধে আমরা চিন্তাও যেন না করি। সৎ চিন্তা করাই আমাদের উচিত। দোষের বিচার করিবার জন্য আমরা পৃথিবীতে আসি নাই। সৎ হওয়াই আমাদের কর্তব্য।—স্বামী বিবেকানন্দ
যার মুখে সারাক্ষন হাসি লেগে থাকে, সে নিজের ভিতর এমন এক কঠোর মনোভাবকে লুকিয়ে রেখেছে যা ভীষন ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। -গ্রেটা গার্বো
কালো-কালো পাখি বাঁকা ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলে যায় দূরে, উঁচু থেকে ওরা দেখিতে কি পায় মোরে আর ছোকানুরে? রূপোর নদীতে রূপোর ইলিশ- চোখ ঝলসানো আঁশ, ওখানে দ্যাখো না- জালে বেঁধে জেলে তুলিয়াছে একরাশ।
সবাই পৃথিবীকে পরিবর্তনের চিন্তা করে, কিন্তু কেউ নিজেকে পরিবর্তন করার কথা ভাবে না।
মুখে অনেকেই টাকা অতি তুচ্ছ, অর্থ অনর্থের মূল বলিয়া থাকেন; কিন্তু জগৎ এমনই ভয়ানক স্থান যে, টাকা না থাকিলে তাহার স্থান কোথাও নাই, সমাজে নাই, স্বজাতির নিকটে নাই, ভ্রাতা ভগ্নীর নিকট কথাটার প্রত্যাশা নাই।
পুরুষেরা সর্বদাই চায় নারীর প্রথম প্রেমিক হতে। আর নারী চায় পুরুষের শেষ প্রণয়িনী হতে।
দুজন মানুষ কথা বলছে। আপনি তাদের কথার মাঝখানে কথা বলার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তারা পাত্তা দিচ্ছে না। এর চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু হতে পারে না।
আমি সবসময়ই পরীক্ষার বিরোধিতা করি। পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহকে মেরে ফেলে। শিক্ষার্থীর জীবনে কোন ভাবেই দুইটির বেশি পরীক্ষা দেওয়া উচিত নয়। আমি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিনার আয়োজন করতাম। শিক্ষার্থীরা যদি মনোযোগ দিয়ে শুনতো তা হলেই আমি তাদের ডিপ্লোমা দিয়ে দিতাম।
কাঁদিলে তাহার বুকের ভিতরে গভীর যন্ত্রনাদায়ক আবেগটা কমিয়া যায়। কাঁদিতে কাঁদিতে সে কিছুক্ষণ পর তৃপ্তি অনুভব করে, তাহার পর একটা আনন্দ পায়।
মানুষের মহত্ত্ব এইখানে যে সব রকম আদর্শের কথাই সে ভাবে। কিন্তু তার দুর্বলতা এইখানে যে সে কোনও আদর্শকেই শেষ পর্যন্ত সম্মান করে না, শক্তি অর্জন করার পরই তার মাথা খারাপ হয়ে যায়৷