প্লেটো বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক। তিনি দার্শনিক সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন এবং দার্শনিক এরিস্টটল তার ছাত্র ছিলেন। এ হিসেবে প্রাচীন গ্রিসের সবচেয়ে প্রভাবশালী তিনজন দার্শনিকের মধ্যে প্লেটো দ্বিতীয়। প্রথম সক্রেটিস এবং শেষ এরিস্টটল। এরাই পশ্চিমা দর্শনের ভিত রচনা করেছেন বলা যায়। প্লেটো একাধারে গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক ভাষ্যের রচয়িতা হিসেবে খ্যাত। তিনিই পশ্চিমা বিশ্বে উচ্চ শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এটি ছিল এথেন্সের আকাদেমি। প্লেটো সক্রেটিসের অনুরক্ত ছাত্র ছিলেন, সক্রেটিসের অনৈতিক মৃত্যু তার জীবনে প্রগাঢ় প্রভাব ফেলেছে।
১
মানুষেরা যেমন রাষ্ট্রগুলোও তেমনি; মানুষগুলোর চরিত্রের মধ্যে থেকেই রাষ্ট্রগুলো গড়ে উঠে।
২
অন্যের দোষ না খোঁজার আগে যদি সবাই নিজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।
৩
প্রেম হলো মানসিক ব্যাধি।
৪
প্রয়োজনীয়তা উদ্ভাবনের জননী।
৫
পাপাত্ম ঐ ব্যক্তি যে মানুষের মন্দ কাজ প্রকাশ করে আর ভালো কাজ গোপন।
৬
আনিচ্ছুক শাসক হচ্ছে শ্রেষ্ঠ শাসক আর যে শাসক শাসনকার্য পেতে মরিয়া সে নিকৃষ্টতম শাসক।
৭
জ্ঞানীরা কিছু বলার থাকলে কথা বলে আর নির্বোধরা কিছু বলার জন্য বলে।
৮
প্রেমের পরশে প্রত্যেকেই কবি হয়ে ওঠে।
৯
যে জীবন সৎকাজে ব্যয় হয় না তাকে কিছুতেই শিষ্ট বলা চলে না।
১০
বুদ্ধিুমান লোক জরুরী কাজেই তার জীবন ব্যয় করে।
১১
যুবকদের তুলনায় বুড়োদের রোগ-ব্যাধি অনেক কম। কিন্তু যা থাকে তা আমরণ সাথি হিসেবেই বিদ্যামান থাকে।
১২
চিকিৎসকেরা যে ভুল করেন তা হল তারা মনের চিকিৎসা না করে শরীর সারাতে চান। যদিও মন আর শরীর অবিচ্ছেদ্য তাই আলাদা করে চিকিৎসা করা উচিত নয়।
১৩
বন্ধুদের মধ্যে সবকিছুতেই একতা থাকে।
১৪
কথা-বার্তায় ক্রোধের পরিমান খাবারের লবনের মত হওয়া উচিত। পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর।
১৫
বন্ধুর সাথে এমন ব্যাবহার কর যেন বিচারকের শরণাপন্ন হতে না হয়।