Norwegian Wood (নরওয়েজিয়ান ওড) : যে উপন্যাস বিষন্নতার দিকে ঠেলে দেয়
সময়টা ১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকের। জাপানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের সময় ১৯ বছরের তরু ওয়াতানাবে টোকিওতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা নিয়ে পড়াশোনা করতে।
সময়টা ১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকের। জাপানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের সময় ১৯ বছরের তরু ওয়াতানাবে টোকিওতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা নিয়ে পড়াশোনা করতে।
উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয় আফ্রিকার এক দেশ যার নাম কোরামেন্টিন (বর্তমানে তা পরিচিত ঘানা নামে)। সেই কোরামেন্টাইনের এক রাজার নাতির নাম ওরুনৌকো। সেই রাজার বয়স প্রায় ১০০ এর অধিক। তার ছেলে ছিলো ৩২ জন, তাদের সকলেই যুদ্ধে মারা গেছেন। কারন আফ্রিকায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে তখন সবসময় যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকতো।
জেফ্রি চসারের মৃত্যুর পর ইংরেজি সাহিত্যের জগতে আঁধার নেমে এসেছিলো। চসারের মৃত্যুর প্রায় ১৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও; ইংরেজি সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য…
প্রাচীণ যে কয়েকটি সভ্যতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয় তার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। অনেক ইতিহাসবিদ বা গভেষক…
এই উপন্যাসটি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস। বছর ২ আগেও যখন কেউ আমায় জিজ্ঞেস করতো, আমার প্রিয় উপন্যাস কোনটি? আমি…
গ্রীক মিথলজি মতে প্যান্ডোরা হলেন পৃথিবীর প্রথম নারী। আর এই মিথের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় খ্রীস্টপূর্ব ৭০০ বছর আগের গ্রীক…
দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসটি ১৭ শতকের ফ্রান্সের প্রেক্ষাপটে রচিত। উপন্যাসের শুরু হয় ফ্রান্সের গ্যাসকনের ডার্টানিয়ান নামক এক যুবক ছেলেকে দিয়ে। ডার্টানিয়ান গ্যাসকন ছেড়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার জীবনের উদ্দেশ্য সে রাজার রক্ষীবাহিনী মাস্কেটিয়ার্সের দলে যোগ দিয়ে নিজের জীবনের ক্যারিয়ার গড়বে। আর প্যারিসে এসেই বিভিন্ন ঘটনাবহুল দৃশ্যপটের মাধ্যমে তার বন্ধুত্ব হয় ফ্রান্সের রাজা লুই ত্রয়োদশ এর তিন অনুগত মাস্কেটিয়ার অ্যাথোস, পোর্থোস এবং অ্যারামিসের সাথে।
১৮৬৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় লুইস ক্যারলের কালজয়ী ভিক্টোরিয়ান ক্লাসিক ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’। শিশুসাহিত্য হলেও এটি এতোটাই জনপ্রিয় হয় যে শিশুদের পাশাপাশাই তরুণ ও বৃদ্ধরাও এটি পছন্দ করতে শুরু করে। বইটির প্রধান চরিত্র অ্যালিসের কার্যকলাপ নিয়ে এমনি এক বিরল মানসিক ব্যাধি বা সিন্ড্রোম রয়েছে যার নামকরণ করা হয়েছে অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম নামে। অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম নাম ছাড়াও এটি এআইডব্লিউএস, টডস সিনড্রোম বা ডিসমেট্রোপসিয়া নামেও পরিচিত।
১৮ শতকের শুরু দিকে রাতের বেলায় লন্ডন শহরে তখনো আলো আসেনি। রাস্তাগুলো ছিলো পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন। ফলে চোর, পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারীদের উপদ্রব ছিলো ভয়াবহ রকমের। রাস্তাঘাটে বখাটে ছেলেদের উপদ্রব ও ছিলো। ফলে ভদ্র ঘরের মেয়েরা রাতের বেলা তো দূর তারা দিনের বেলাতেও রাস্তায় বের হওয়ার সাহস করতো না। রাস্তায় চলাচল করার চেয়ে লন্ডনের মানুষজন জলপথেই যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সকলেই নৌকায় যাতায়াত করতো। নৌকোগুলো তখন বিভিন্ন রঙে সুসজ্জিত থাকতো।
রহস্যময় এই ব্যক্তি ১৭০৩ সালে বাস্তিল দুর্গে মারা যান। তার মৃত্যুর পর বছরের পর বছর ধরে তার পরিচয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি হতে থাকে। গুজব ছিলো বন্দী লোকটির সাথে ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের সম্পর্ক ছিল। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার সেই কারাগারের বন্দীদের প্রশ্ন করেছিলেন; তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরণো কয়েদিরা দাবি করেছিলেন বন্দী লোকটি রাজা লুইয়ের অবৈধ সৎ ভাই।
ব্রেকিং হুইলে একটি বিশাল কাঠের চাকা থাকতো। সেই চাকায় অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে বেঁধে মারধর করা হতো। এই চাকাটিকে ঘুরানো যেতো তাই চাকার নিচে আগুন জ্বালিয়ে তা ঘুরানো হতো। ফলে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যাক্তির শরীর আগুনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু মুহূর্তের জন্য পুড়ে যেতো।
পেইন্টিং টির নাম ‘Flood Scene’, ১৮ শতাব্দীতে Joseph-Désiré Court নামের এক ফরাসি নারী চিত্রশিল্পী এঁকেছিলেন। ছবিটি মূলত আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্থের কাহিনি নোয়া বা নূহ (আঃ) এর মহা প্রলয়ের ঘটনার ছায়া অবলম্বনে তৈরি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুরুষটি তার বৃদ্ধ বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, নিজের সন্তান আর স্ত্রীর জীবনকে উপেক্ষা করে। আর ছবিটির মা চেষ্টা করছেন নিজের সন্তান কে বাঁচাতে। ছবির বৃদ্ধ প্রতিনিধিত্ব করছে অতীতকে, পুরুষটি জীবনকে, মা প্রতিনিধিত্ব করছে বর্তমান কে, আর শিশুটি ভবিষ্যৎ কে।
গল্পের প্রধান চরিত্র গ্রেগর সামসা নামক এক যুবক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার দেহ মানুকের আকৃতি থেকে পরিবর্তিত হয়ে একটা বিশাল বড় কীট বা পতঙ্গে আকৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে অর্থাৎ মেটামরফোজড হয়ে গেছে।
রেনেসাঁস সৃষ্টির পেছনে ইতিহাসবিদরা যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন সেটি অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান। গ্রীক কে বলা হয় ইউরোপের সংস্কৃতির আদি পিতা। ১৪৫৩ সালে কনস্টানিপল অটোমান শাসক রা দখল করে নিলে গ্রীক পন্ডিতরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে থাকেন। এর আগে থেকেই তারা সেই জায়গা থেকে পালাতে শুরু করেন। এই পন্ডিত লোকগুলো বিশেষ করে ইউরোপের ইতালিতে আশ্রয় নেন। সেই সাথে তারা তাদের সাথে নিয়ে যান হাজার বছরের পুরনো দার্শনিকদের মহামূল্যবান গ্রন্থগুলো।
হ্যারিয়েটের লেখা আঙ্কেল টমস কেভিল কে মনে করা হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার ভিত্তি স্তম্ভ। বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হওয়ার প্রথম বছরেই বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বিক্রি হয় প্রায় ৩ লক্ষেরও অধিক কপি আর গ্রেট ব্রিটেনে তার সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। সে সময়ে কোনো বই এতো বিশাল সংখ্যক পরিমাণে বিক্রি ছিলো কেবলই কল্পনা। শুধুমাত্র বাইবেল বিক্রির সংখ্যাই এই উপন্যাসের কাছাকাছি ছিলো।