ভাষা সম্পর্কে ১২ টি চমকপ্রদ তথ্য
সবচেয়ে বেশি বর্ণ চীনা (মান্দারিন) ভাষায়। মান্দারিন ভাষার বর্ণ সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। আপনি যদি মান্দারিন ভাষায় কোনো সংবাদপত্র পড়তে চান, তার জন্য কম করে হলেও ২ হাজার বর্ণ জানতে হবে।
সবচেয়ে বেশি বর্ণ চীনা (মান্দারিন) ভাষায়। মান্দারিন ভাষার বর্ণ সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। আপনি যদি মান্দারিন ভাষায় কোনো সংবাদপত্র পড়তে চান, তার জন্য কম করে হলেও ২ হাজার বর্ণ জানতে হবে।
মা, কেমন আছো তোমরা? বাবার শরীর টা কি ভালো ? কাশিটা কি কমছে? চিন্তা কইরো না তোমরা, গত মাসে আমি একটা চাকরী পাইয়া গেছি, বেতন ২০০ টাকা। সামনের মাসেই আমি বাড়ি যামু, আর বাবাকে ঢাকায় নিয়ে আইসা একটা ভালো ডাক্তার দেখামু। বাবারে চিন্তা করতে না কইরো, আমি আছি না। আর ছটুকে বইলো যেন ইস্কুলে ঠিক মতো যায়। আর কয়েক মাস পরে আমি ওরে ঢাকায় নিয়ে আইসা ভালো ইস্কুলে ভর্তি করাই দিমু। যাতে ওর আমার মতো ছোট চাকরী করতে না হয়। ওরে আমি অফিসার বানামু। আইচ্ছা যাই হোক আমার লাইজ্ঞা দোয়া কইরো। মার্চ মাসের ৫ তারিখ আমি বাড়ি যামু।
১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। সে রাতে রফিক উদ্দিন গিয়েছেন ভগ্নিপতির কারখানায়।শহরজুড়ে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে —রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আগামীকাল ছাত্ররা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে জড়ো হবেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।আর অন্য সবার মতো রফিকের ভগ্নিপতি মোবারক আলী খানও নিশ্চিত বড় কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। সংশয়ে, শঙ্কায় মোবারক আলী রফিককে মিছিল-মিটিংয়ে যেতে নিষেধ করলেন। মাঝরাতে রফিক ফিরে গেলেন নিজেদের প্রেসে।
রোমান ক্যালেন্ডারের ১২ মাস এবং ৩৫৫ দিন ছিল। রোমানরা জানত যে সৌর বছর ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা দীর্ঘ, তাই তাদের অধিবর্ষ (২ বছর পর অধিবর্ষ হতো তখন) কে সৌর বছরের সাথে মেলাতে অতিরিক্ত ২২/২৩ দিন যোগ করতো। ফলস্বরূপ, রোমান ক্যালেন্ডারো বছরের দিন সংখ্যা হতো ৩৫৫ দিন, ৩৭৭ বা ৩৭৮ দিন।
ফ্রান্সে ১৭৪৮ সাল থেকে ১৭৭২ সাল পর্যন্ত আলু অবৈধ ছিল। ফরাসিরা বিশ্বাস করতো আলু মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে কুষ্ঠ রোগ!
১৫৭৮ সালে প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে সবচেয়ে অদ্ভুত গেঁটেবাত নিরাময় আবিষ্কৃত হয়েছিল। লরেঞ্জ ফ্রাইস নামে একজন চিকিৎসক, একটি অস্বাভাবিক পন্থার প্রস্তাব করেছিলেন: কাটা বিড়ালছানা কে শুকরের চর্বি ও আটা দিয়ে ভেজে রোগী কে খেতে বলতেন এবং সেগুলো কে জয়েন্টগুলোতে লাগিয়ে মালিশ করতে বলতেন।
লোকাস্টার ভেসজ বিষয়ে অগাধ জ্ঞান ছিলো তিনি তাদের বিষ তৈরি করে দিতেন, যাতে মারা গেলে বোঝা যায় সে প্রাকৃতিক কারণেই মারা গেছে।
যেখানে যেখানে শোভনা গেছেন পেছন পেছন জীবনানন্দ গেছেন।১৯৩২!ডায়াশেসন কলেজের ছাত্রী শোভনা, কত-ই বা বয়স তখন শোভনার, ১৮-র বেশি তো নয়, জীবনানন্দ ৩৩ বছরের বিবাহিত যুবক।কানা দারোয়ানের হাতে স্লিপ পাঠিয়ে নীচে বসে অপেক্ষা করতেন, কখনও মর্জি হলে শোভনা দেখা করতেন, কখনও করতেন না।
আব্দুল করিম নিজের গ্রামের মানুষের কাছে কাফের উপাধি পেয়েছিলেন। শাহ আব্দুল করিমকে নিজ গ্রাম ছাড়া হতে হয়েছিল শুধু তিনি গান গান এ কারনে।
গ্যালিলিওর বিশ্বাস ছিল যে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে,এই কারনে তাকে চার্চের হর্তাকর্তাদের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের ধারণায় তার বিশ্বাসকে সেই সময়ে ধর্মবিরোধী বলে মনে করা হয়েছিল কারণ ক্যাথলিক চার্চ তার অনুসারীদের শিখিয়েছিল যে পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্র ছিল ধর্মগ্রন্থের একটি অংশ এবং তাই, অবিসংবাদিত।
২৬৯ সালে ঘটে যায় একটি বিরল ঘটনা। সে সময় রোমান সম্রাট ছিলেন ক্লাডিউয়াস। খ্রিস্টান ধর্মযাজক, সমাজসেবক ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক যুবক ধর্ম প্রচারকালে রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস এর নানা আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার হন। এই আদেশের অন্যতম একটি ছিল, রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস কর্তৃক যুবক সেনাদের বিয়ে করা নিষেধ করে দেওয়া। সেসময় রোমান সম্রাট সৈনিকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারন সৈনিকরা নিজেদের প্রেয়সীদের ছেড়ে যুদ্ধে যেতে চাইতো না।
প্রাচীন মিশরে ফেরাউনদের সৃষ্টিকর্তা মানা হতো। তারা সবসময় জমকালো ভোজনবিলাসে ডুবে থাকতো, তারা কখনোই ব্যায়াম করতো না।
১৯৩৫ সালের এক শীতল সন্ধ্যায় হাচিকো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, প্রাকৃতিকভাবেই। তার মৃতদেহ শহরের লোকজন রাস্তায় আবিষ্কার করলো। সবাই গভীর আলিঙ্গনে তাকে বুকে তুলে নিল, তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলো ইজাবুরোর কবরের পাশেই। ১০ বছর পর প্রিয় মনিবের সঙ্গ পেয়ে হাচিকোর কেমন লাগছিল, তা জানার উপায় আর কারোই রইল না।
কোনো বাবা মন চাইলে তার পরিবারকে হত্যা করতে পারতো, এর জন্য কোনো বিচার হতো না। এমনকি রোমান পিতারা তার সন্তানদের বড় হওয়ার পরেও এই অধিকারগুলি ধরে রেখেছিলেন!
প্রাচীন রোমের শাসনব্যবস্থা সিনেটের মাধ্যমে চালানো হতো। সিনেট হলো শহরের ধনী আর বিখ্যাত পরিবারের কিছু সদস্য নিয়ে গঠিত একটি দল। রোম যখন ছোট একটি শহর ছিল তখন এই সিনেট পদ্ধতি বেশ সফলভাবে কাজ করত। কিন্তু এবারে হাজার মাইল বিস্তৃত রাজ্যের পরিচালনায় সিনেট খুব সহজেই ব্যর্থ ব্যবস্থা হিসেবে প্রমাণিত হলো। সিনেটের সদস্য, যারা বেশির ভাগই ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত, দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা অর্থ আত্মসাৎ করছিলেন তারা নতুন সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেননি।