বেবি কেইজ: শিশুর খাঁচার মর্মান্তিক ইতিহাস
১৯৩০ এর দশকে ব্রিটেনের উঁচু দালানগুলোর জানালার বাহিরে খাঁচার ভেতরে শিশুদের ঢুকিয়ে রাখা সাধারণ একটি বিষয়। এই পদ্ধতিটি গত শতাব্দীর সবচেয়ে অদ্ভুত আবিষ্কার গুলোর একটি।
১৯৩০ এর দশকে ব্রিটেনের উঁচু দালানগুলোর জানালার বাহিরে খাঁচার ভেতরে শিশুদের ঢুকিয়ে রাখা সাধারণ একটি বিষয়। এই পদ্ধতিটি গত শতাব্দীর সবচেয়ে অদ্ভুত আবিষ্কার গুলোর একটি।
একটা সময়ে দাবার বিশ্বটা কনভিন্সিংলি নিয়ন্ত্রণ করতো রাশিয়া৷ যত চ্যাম্পিয়নশীপ হয়- সেসব তারাই জিতে। অংশগ্রহণ করতো অনেকেই, কিন্ত মুকুটটা চলে যাইতো রাশিয়ার কাছে। বটভিনিক, তাল, পেট্রোসিয়ান, স্মিসলভ, স্প্যাসকি, কারপভ, কাসপারভ, ক্রামনিক- এরা বিভিন্ন সময়ে ছিলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
যেসকল মহিলাকে ব্যভিচারিনী হিসেবে সন্দেহ করা হতো, তাকে নির্যাতনের জন্য এই বিশেষ সরঞ্জামে আঙ্গুল রাখতে বাধ্য করা হতো। এই যন্ত্রটি শাস্তিপ্রাপ্ত নারীর আঙুলের ডগা প্রচন্ড জোরে চেপে ধরতো। অনেকে যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে অজ্ঞান হয়ে যেতো। অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ঠান্ডা পানি নিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হতো, যেনো সে কষ্ট অনুভব করে।
দাঁতের ব্যথায় অস্থির হয়ে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ডেন্টিষ্টের কাছে গেলেন। ডেন্টিষ্ট দাঁত দেখে বললেন, – তোমার লেখা পড়ে আমার বৌ কেঁদে ফেলে। এবার দেখ আমি তোমাকে কীভাবে কাঁদাই!
পূর্ব কেনিয়ার কাম্বা সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে, বহু বছর ধরে ভূতের বিবাহের প্রচলন ছিল। এই প্রথার নিয়ম ছিল সম্প্রতি বা মাত্রই মৃত্যু হওয়া পুরুষ ব্যাক্তির সাথে মহিলাদের বিয়ে দেয়া, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাধ্য করা হতো বিয়ে করতে।
টোকিওর 'শিনামাচি' এলাকার 'তেইকোকু ব্যাংক'-এ দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ দরজা ঠেলে এক ব্যক্তি ঢুকলো। তার পরণে কোট-প্যান্ট, আর হাতে লাগানো একটা আর্মব্যান্ড, যাতে লেখা 'স্যানিটেশন'। সে এসে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে সরাসরি দেখা করলো। বললো, সে একজন পাবলিক হেলথ অফিসার। বর্তমানে জাপানে হঠাৎ করে এক বিশেষ ধরণের ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সরকারি উদ্যোগে সবাইকে জীবাণু নিরোধক ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় এই ব্যাংকের সব কর্মচারীকেও আজ ঔষধ খাওয়ানো হবে।
আটলান্টিসের মতোই জলের নিচে তলিয়ে যাওয়া এক শহর। তবে তফাৎটা হচ্ছে, এই শহরটাকে ইচ্ছে করেই তলিয়ে দেয়া হয়েছিলো পানির নিচে। তাও বেশিদিন আগে নয়। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের দিকে।
ভিক্টোরিয়ান যুগের মহিলারা তাদের চোখে লেবু ও কমলার রস ব্যবহার করতো। কারণ তারা বিশ্বাস করতো এগুলোর রস চোখে দিলে চোখ আরো উজ্জ্বল ও পরিষ্কার হয়। এগুলো ব্যবহার তাদের জন্য কিন্তু আনন্দদায়ক ছিলো লেবু ও কমলার রস এসিডিক হওয়ায় তাদের চোখ প্রচন্ডরকম জ্বালা করতো এবং চলখ লাল হয়ে যেত। তবুও তারা এগুলো চোখে দেওয়ার ব্যাপারে অটল ছিলেন। প্রচুর লেবু ও কমলার ব্যবহারের ফলে তাদের চোখের কর্নিয়ার ক্ষতি হতো। ফলে অনেই অন্ধ হয়ে যেতো।
স্ত্রী কে নিলামে বিক্রি বেশিরভাগই ঘটতো ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলগুলোতে। অনেকে মনে করেন এই প্রথার উৎস অ্যাংলো-স্যাক্সন সময়কাল থেকে।তবে এটি ১৭ শতক থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত প্রচুর প্রচলিত বিষয় ছিল। এমনকি বিংশ শতাব্দীতে এসেও স্ত্রী বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।
ট্রেপানেশন হল ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করা লোকেদের মাথার খুলিতে ছিদ্র করার মাধ্যমে চিকিৎসা করার প্রাচীন পদ্ধতি। আগের মানুষ মনে করতো রোগীর মাথার ভেতরে কোনো অশুভ আত্মা ঢুকে গেছে, যা তাকে এমন অদ্ভুত আচরণ করতে বাধ্য করছে। আর সেই অশুভ আত্মাকে মাথা থেকে বের করতে করা হতো মাথায় ছিদ্র। ট্রেপানেশন বেশিরভাগই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের করা হতো। এছাড়াও মাথাব্যথা,মৃগীরোগ এবং অন্যান্য মানসিক রোগের চিকিৎসা এই পদ্ধতিতে করা হতো।
যদি আইরিশ শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এর নাম বলা হয়, তবে অস্কার ওয়াইল্ড, উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস এর সাথে জেমস জয়েস এর নাম…
সুইডিশ রাজা অ্যাডলফ ফ্রেডরিক 'সেমলা' ক্রিম রোল নামে একটি স্থানীয় মিষ্টির প্রতি আসক্ত ছিলেন। তাই একবার, ক্যাভিয়ার, গলদা চিংড়ি এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার ভোজনের পরে, রাজা এক সাথে এক ডজনেরও বেশি ‘সেমলা’ খেয়ে ফেলেছিলেন। বলাই বাহুল্য, বিপুল পরিমাণ খাবার রাজা আর হজম করতে পারেন নি। কিছুক্ষণ বাদে অনুভব করেন তার পেট খারাপ হয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। একটা সময়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইতিহাসের পাতায় তিনিই একমাত্র রাজা যিনি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে মৃত্যুবরণ করেছেন।
আপনি যদি পিকাসোর সেল্ফ পোট্রের্টের এই সংগ্রহটি দেখেন এবং শেষের সাথে প্রথম অংশের তুলনা করেন, আপনি দেখতে পাবেন যে দুটি আকর্ষণীয়ভাবে আলাদা। কিন্তু আপনি যদি পিকাসোর কাজের তুলনা করেন যখন তিনি একজন যুবক ছিলেন তখন থেকে তার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত। ছবিগুলো দেখে আপনার মনে সন্দেহ উঁকি দিতে পারে, যে চিত্রগুলি কি আসলেই একই ব্যক্তির দ্বারা করা হয়েছিল?
১৮৭১ সালে এলেন স্যাডলারের বয়স তখন ১১ বছর। জন্মের পর তার কোনো প্রকার শারিরীক বা মানসিক সমস্যা দেখা যায় নি। ২৯ মার্চ ১৮৭১ সালে সে তার অন্যান্য ভাইবোনদের সাথে প্রতি রাতের মতোই ঘুমাতে গিয়েছিল, একমাত্র পার্থক্য ছিল পরের দিন সকালে সে ঘুম থেকে ওঠেনি। চেঁচামেচি, ঝাঁকুনি বা ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও সে জেগে উঠে নি।
ঝাড়ু দিয়ে পুরো চিমনি ভালো করে পরিষ্কার করা যেতো না, ফলে মাস্টার সুইপার রা ছোট ছোট শিশু গুলোকেই চিমনির ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে চিমনি পরিষ্কার করা শুরু করে। সহজ ভাষায় বলতে বাচ্চা গুলোকেই তাড়া ঝাড়ু হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে। আর এভাবেই শুরু হয় চিমনি পরিষ্কারে বাচ্চা শিশুদের ব্যবহার।