ওমর খৈয়াম ছিলেন একজন ইরানের কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করার পর যুবা বয়সে তিনি সমরখন্দে চলে যান এবং সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এর পর বুখারায় নিজেকে মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ “Treatise on Demonstration of Problems of Algebra“ গ্রন্থে তিনি ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধানের একটি পদ্ধতি বর্ণনা করেন। এই পদ্ধতিতে একটি পরাবৃত্তকে বৃত্তের ছেদক বানিয়ে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান করা হয়। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারেও তার অবদান রয়েছে।
তিনি তার কবিতা সমগ্র, যা ওমর খৈয়ামের রূবাইয়াত নামে পরিচিত, তার জন্য বিখ্যাত। তার কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তার গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয় রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন।
এই ব্লগ পোস্টে থাকছে ওমর খৈয়ামের ২০ টি বিখ্যাত উক্তি
১
রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে,প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে,বই, সেতো অনন্ত যৌবনা।
২
যে ফুল একবার ফুটেছে তার মৃত্যু অনিবার্য।
৩
আমি যদি এখন নিজেকে উপভোগ না করি, তাহলে আমি কখন করব?
৪
বিশ্বাস ও অবিশ্বাস মুক্ত থাকাই আমার ধর্ম।
৫
এই মুহূর্তের জন্য খুশি হও। এই মুহূর্তটিই তোমার জীবন।
৬
বোকারা শোনো, তোমাদের পুরস্কার এখানেও নেই, সেখানেও নেই।
৭
তোমার হৃদয়ে যেদিন ভালোবাসা থাকবে না সে দিনটাই অপচয় হলো।
৮
তিনটি জিনিসের মূল্য তিন শ্রেণির মানুষ ভালো বুঝতে পারে। যৌবনের মূল্য বুঝে বৃদ্ধ, স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝে অসুস্থ ও সম্পদের প্রয়োজনীয়তা বুঝে অভাবী।
৯
চলে যাওয়া অতীত আর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা কেনো যদি আজকের দিনটা মিষ্টি হয়।
১০
পৃথিবী ছাড়িয়ে, দূরতম আকাশের ওপারে আমি স্বর্গ ও নরক খোঁজার চেষ্টা করি। তারপর আমি একটা গম্ভীর কণ্ঠ শুনি: ‘স্বর্গ ও নরক তোমার ভেতরেই আছে’।
১১
হৃদয়ে যখন প্রেমের গোলাপের চারা রোপন করলে তোমার জীবন বৃথা যায়নি।
১২
ধন্য তারাই যারা এই পৃথিবী কখনও দেখেনি।
১৩
গোপনীয়তা অমানুষদের কাছ থেকে দূরে রাখা উচিত ও রহস্য বোকাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা উচিত।
১৪
চিন্তাশীল আত্মা থেকে একাকীত্ব অবসর নেয়।
১৫
সত্য ও মিথ্যার মাঝের দূরত্ব হলো একটি চুল পরিমাণ।
১৬
স্বাধীনভাবে চিন্তা করো এবং মুক্তমন দিয়ে দেখো স্বর্গ। প্রত্যেককে ক্ষমা করো, কাউকে দুঃখ দিও না।
১৭
পৃথিবীতে আমি পানির মতো এসেছি, কিন্তু চলে যাবো বাতাসের মতো।
১৮
দুই ধরণের চোখ রয়েছে, দেহের চোখ ও আত্মার চোখ। দেহের চোখ মাঝে মাঝে ভুলতে পারে, কিন্তু আত্মার চোখ সবসময় স্মরণ করে।
১৯
যদি শান্তি ও নির্মলতায় পৌঁছতে চাও তাহলে পুরো পৃথিবীর বেদনা ঝেড়ে ফেলো।
২০
যার একজনমাত্র শত্রু আছে, তার সঙ্গেই সব জায়গায় দেখা হয়ে যায়।