জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি (৩০ সেপ্টেম্বর ১২০৭ – ১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩), যিনি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ বালখী, মাওলানা রুমি, মৌলভি রুমি নামে তবে শুধু মাত্র রুমি নামেও পরিচিত, ১৩শ শতাব্দীর একজন ফার্সি সুন্নি মুসলিম কবি,আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক, অতীন্দ্রিয়বাদী এবং সুফী ছিলেন। রুমির প্রভাব দেশের সীমানা এবং জাতিগত পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে পড়েছে; ফার্সি, তাজাকিস্তানি, তুর্কি, গ্রিক, পশতুন, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলামানরা বিগত সাত শতক ধরে বেশ ভালভাবেই তার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে যথাযথভাবে সমাদৃত করে আসছে।
১
আমার নির্দিষ্ট কোন ধর্ম নেই, প্রেমই আমার ধর্ম।
২
আমি মুহাম্মদ (সাঃ) এর পদনির্বাচিত একটি ধূলিকণা মাত্র।
৩
যে মুহূর্তে তুমি তোমার উপর পতিত সকল বাধা বিপত্তিকে স্বীকার করে নিবে, তখন থেকেই গুপ্তদ্বার তোমার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে!
৪
~জানো তুমি কে?
তুমি হচ্ছ একটা ঐশ্বরিক চিঠির খসড়া, তুমি একটা আয়না আর দেখাচ্ছ একটা মহৎ চেহারা, মহাবিশ্ব তোমার বাইরে নয়, নিজের ভিতরে তাকাও, তুমি যা চাও সবই তুমি নিজে!
৫
কৃতজ্ঞতা আত্মা মদ, তাই মাতাল হও।
৬
যদি তুমি কাহারো হৃদয়কে জয় করিতে চাও,
তবে প্রথমে অন্তরে ভালোবাসার বীজ রোপণ করো!!! আর জদি তুমি জান্নাত পেতে চাও তাহলে অন্যের পথে কাটা বিছানো ছেড়ে দাও।
৭
কামেল পীরের প্রতি সিজদাবনত হও, এবং নৈকট্য অর্জন করো।
৮
কামেল পীর ব্যাতিত কেহ অন্তর কে সুস্থ করিতে পারে না।
৯
আমি প্রভুকে বললাম, আমি তোমাকে জানার আগে মরবো না! প্রভু উওর দিলেন যে
আমাকে জানে সে কখনো মরে না!
১০
এই পৃথিবীতে মন থেকে ফুটে আসা মিষ্টি মুখের হাসির চেয়ে মূল্যবান আমার কাছে আর কিছুই মনে হয়না, বিশেষ করে তা যদি কোনো নিষ্পাপ শিশু থেকে আসে।
১১
আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোনো পোশাক নেই, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যেগুলোর ভিতর মানুষ নেই।
১২
দুঃখ করোনা, তুমি যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য তুমি তা আবার ফিরে পাবে যা কিছু হারিয়েছো আরেক ভাবে আরেক রূপে।
১৩
প্রেম সর্বদাই তৃষ্ণাস্বরুপ! ইহা সর্বদাই তৃষ্ণার্ত প্রেমিককে অন্বেষণ করে ! প্রেম এবং প্রেমিক এই দুই জিনিস পরস্পরকে রাত এবং দিনের মতই অনুসরন করে!
১৪
যা তোমাকে পরিশুদ্ধ করে, সেটিই সঠিক পথ!
১৫
যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাও, তবে দুর্বল এর প্রতি তোমার দয়ার হাত বাড়িয়ে দাও।
১৬
ছিলাম আমি নিষ্প্রাণ হয়েছি আমি প্রাণবন্ত।
১৭
যদি থাকে তোমার অতুল তবে দান করো তোমার সম্পদ, যদি তোমার কিছুই না থাকে তবে দান করো তোমার হৃদয়।
১৮
তোমরা চালাকি বিক্রি করে মুগ্ধতা কিনে এনো,
তাহলে লাভবান হবে!”
১৯
সব কিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়, জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।
২০
মৃত্যু আমার বিবাহ,
বিবাহের দিন কি কেউ কাদে?
২১
ভালোবাসা হল সুস্থ থাকার উপায়। ভালোবাসা হলো শক্তি। ভালোবাসা হল সবকিছু বদলে দেওয়ার জাদু। ভালোবাসা হল স্বর্গীয় সুখ দেখার আয়না।।। এস আবারো ভালোবাসায় নিমগ্ন হই। এসো। ভালোবাসায় এই পৃথিবীর সমস্ত ধূলিকণা। চকচকে সোনায় রূপান্তর করি।
২২
মুমিন ও কামেলদের দিল হাসিল করো,
ইহা তোমার জন্য হজ্জে আকবর।
২৩
প্রার্থনায় তো ধরাবাঁধা নিয়মের কোন দরকার নেই, তিনি তো শুনতে পান ছলনাহীন অন্তরের সকল কথা।
২৪
আল্লাহ-প্রেমিকদের রুহ বা আত্মা এক আশ্চর্যজনক বুলবুল ! সে মুখ খুলে এমন হাঁ করে যে কাঁটা এবং ফুল উভয়কেই সে গিলে ফেলে।
২৫
তুমি সরল পথ না চিনতে পারলে, তোমার নফস তোমাকে যা করতে বলে তার বিপরীত কর, ঐটাই তোমার জন্য সরল পথ।
২৬
ওলীদের খেয়াল দুর্বল হয় না~
অবশ্যই ওলীগণ যেসব খেয়ালের প্রভাব ক্রিয়ায় আল্লাহ প্রেমের জালে আবদ্ধ হয়ে থাকেন, তা (খেয়াল কল্পনার মত অস্তিত্বহীন বস্তু না, বরং আল্লাহ তাআলার জ্ঞান-ভান্ডারেরই রত্নসম্ভার হয়ে থাকে!”]
২৭
আমি আমার জন্য মরে গেছি,
বেচে আছি তোমার কারনে।
২৮
ডোল ছাড়া আমার সমাধিতে এসো না, কেননা খোদার ভোজ সভায় নিরানন্দ শোভা পায় না।
২৯
গোলাপ মরে গেলে
এবং বাগান বিধ্বস্ত,
আমরা কোথায় খুঁজে পাব
গোলাপের সুগন্ধি?
গোলাপ জলে।
৩০
সারাদিনমান আমি এই নিয়ে ভাবি তারপর রাতে আমি তা বলি”আমি কোথা হতে আগত?”আর আমার লক্ষ্যটি তাহলে কী?
আমার আত্মাটি অন্য কোথাও হতে আগত আমি তাতে নিশ্চিত!
৩১
“আমার কানে কে কথা বলছে!?কে তাহলে আমার কথা গুলো শুনছে!?কে সে আমার কথা গুলো যেন আমার মুখ দিয়েই বলছে!? কে আমার চোখ দিয়ে তবে বাহিরে দেখছে!?আমার সত্বটি তাহলে কী?
৩২
এমন ভাবে তুমি পূণ্য অর্জন করো, যাতে মানুষ তোমার মুখ দেখে বুঝতেই না পারে যে, তুমি খোদার ইবাদতে মগ্ন আছো।
৩৩
ধৈর্য্যের চাবি সুখের দরজা খুলে দেয়।
৩৪
তুমি কেবল মাত্র তোমার হৃদয়ের মাধ্যমেই অসীম আকাশটাকে ছুতে পারবে।
৩৫
বিদাই শুদু তারাই বলে যারাই শুধু চোখ দিয়ে ভালোবাসে।
যারা মনে করে চোখের দেখাই হল একমাত্র ভালোবাসা।
যারা আত্মা আর হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে তাদের কাছে
কোন বিদাই নেই।
কারণ আত্মা আর হৃদয় থেকে দূরে যাওয়া সম্ভব নয়।।
৩৬
একাকী বোধ করো না,কারণ সমগ্র পৃথিবী তোমার মাঝেই বিদ্যমান।
৩৭
“প্রত্যেক হৃদয়েরই একটি জানালা আছে। তুমি তোমার নিজের হৃদয়ের জানালা দিয়ে অন্যেরটাও দেখতে পাবে!”
৩৮
তোমার অন্তরের চোখ খোলো, চেয়ে দেখ এই দুনিয়া একটা মায়া স্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।
৩৯
যদি তারা জিজ্ঞেস করে, ভালোবাসা কী?
তাহলে তাদেরকে বলে দিও ইচ্ছের বলিদান।
৪০
প্রিয় হৃদয়! কখনও ভেবোনা যে, তুমি অন্যদের চেয়ে উত্তম, অপরের দুঃখগুলো সহানূভুতির সাথে শোন! তুমি যদি শান্তি চাও, খারাপ চিন্তাগুলোকে মনের মাঝে রেখোনা! পরনিন্দা করনা এবং এমন কিছু শেখাতে যেওনা, যা তুমি জানো না!
৪১
যে কখনো বাড়ি ছাড়েনি, তার থেকে যাত্রার উপদেশ নিও না।
৪২
মেনে নাও স্রষ্টা যে সমস্যা গুলো তোমাকে দিয়েছেন,কেবল তখন ই সমস্যা থেকে উত্তরনের দরজা খুলে যাবে।
৪৩
কিছু মানুষ রাতে ঘুমায়,
কিন্তু প্রেমিকরা নয়!
তারা অন্ধকারে বসে স্রষ্টার সাথে কথা বলে‼
৪৪
অন্যর জীবনের গল্প শোনে সন্তুষ্ট হয়ো না,নিজের পথ তৈরি করো,নিজের জীবন সাজাও।
৪৫
“এসো,আবারো ভালবাসায় নিমগ্ন হই;
এসো, ভালবাসায় এ পৃথিবীর সমস্ত ধূলিকণা চকচকে সোনায় রূপান্তর করি।”
৪৬
যদি আলো থাকে তোমার হৃদয়ে তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে।
৪৭
মোমবাতি হওয়া সহজ কোন কাজ নয়। আলো দেয়ার জন্য প্রথমে নিজেকেই পুড়তে হয়।
৪৮
যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাও, তবে দুর্বল এর প্রতি তোমার দয়ার হাত বাড়িয়ে দাও।
৪৯
নতুন পথে যাত্রার প্রারম্ভে এমন কারো উপদেশ গ্রহণ করোনা, যে কোনদিন ঘরের বাইরে পদার্পণ করেনি।
৫০
কৃতজ্ঞতাকে আলখাল্লা রূপে পরিধান কর; আর সেটাই তোমার জীবনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তুলবে।
৫১
ভয় পেয়ো না, জগতের সব বাতি যদি কাঁপে, নিভে যায়— আমাদের আছে ফুলকি, যা থেকে নতুন আগুন জন্মায়।
৫২
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হৃদয় ঠিক যেন আগুন পাখির মত যাকে কোন খাঁচায়ই বন্দী করা সম্ভব নয়।
৫৩
প্রভু তুমি তো সব জায়গায় বিরাজমান।
তবুও আমি তোমাকে পাগলের মতো খুজছি।
৫৪
বৃক্ষের মত হও, মরা পাতা গুলো ঝরে যেতে দাও।
৫৫
যে তোমাকে সত্যিই মন দিয়ে ভালবাসবে,সেই তোমাকে সবরকম বন্ধন থেকে অবমুক্ত রাখবে।
৫৬
আমার প্রিয় আত্মা!!
আজ রাতে যদি তুমি ঘুমোতে না পারো-
তবে তুমি কি মনে করো হতে পারে??
যদি তুমি রাতটি কাটিয়ে দাও এবং
ভোরের সাথে মিশিয়ে দাও
তোমার হৃদয়ের স্বার্থে!!
৫৭
মেনে নাও স্রষ্টা যে সমস্যা গুলো তোমাকে দিয়েছেন,কেবল তখন ই সমস্যা থেকে উত্তরনের দরজা খুলে যাবে।
৫৮
ভালোবাসার রাজ্যে কথার কোন স্থান নেই।
ভালোবাসা হল নিরবতা।
৫৯
গতকাল আমি বুদ্ধিমান ছিলাম, তাই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
৬০
যে অন্ধকারের মধ্যেই তুমি থাক না কেন,ধৈর্য ধরে বসে থাক, প্রভাতের সূর্য শীঘ্রই আসিতেছে।
৬১
যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি নিজের ভেতরের আগুন কে খুঁজে না পাবে, ততক্ষন পর্যন্ত জীবনের বসন্তে পৌঁছতে পারবে না।
৬২
আমি তাকে বলেছিলাম-
জ্বালাও আমায় যত খুশি,
আমার দেহাবশেষে তখনো তুমার ভালোবাসার ধোঁয়া থাকবে!”
৬৩
“ওহে প্রেমিক! তুমি যদি চাও যে, মাওলার সঙ্গে বসিবে, তবে তুমি যে-কোনো এক আল্লাহর ওলির সম্মুখে বসিয়া যাও। যতক্ষণ আল্লাহর ওলির কাছে থাকিবে, ততক্ষণ ইয়াকিন করিবে যে, তুমি আল্লার সঙ্গেই বসে আছো।”
৬৪
তুমি যদি নাফস রূপ কাল সাপ হইতে বাঁচিতে চাও,তবে নাফস হন্তা মোরশেদে কামেলকে শক্ত করিয়া ধর। অন্যথায় তোমাদের জীবনের সমস্ত বন্দেগী করিয়াও যদি শেষ নিঃশ্বাস আল্লাহ তায়ালার ইয়াদের সহিত বাহির না হয়, খাতেমা বিল খায়ের না হয়, তাহা হইলে বেঈমান হইয়া মারা যাইতে হইবে।
৬৫
ঘষা খেতে যদি ভয় পাও, তাহলে চকচক করবে কিভাবে?
৬৬
আমি তোমার হাতের একফোঁটা মদও ছুয়ে দেখিনি প্রভু, তবুও আমি বিশ্ব-মাতাল।
৬৭
প্রেম হচ্ছে তোমার এবং বাকি সব কিছুর মধ্যে সেতুবন্ধন।
৬৮
যখন আমি নিরব হই, তখন এমন এক স্থানে পৌঁছাই,যেখানকার সবকিছুই সঙ্গীত।
৬৯
তুমি গলে যাওয়া বরফের মতন হও, নিজেকে দিয়ে নিজেকে ধুয়ে নাও।
৭০
নিরবতাই প্রভুর ভাষা, বাকি সব নেহাতই দূর্বল অনুবাদ।
৭১
বাহ্যিক অনুভূতি সম্পন্ন অর্থাৎ সূক্ষ্ম জ্ঞানহীন মানবের জ্ঞান মুখ বন্ধ যুক্ত, তাহারা আসমানী ” জ্ঞান দুগ্ধ ” আহরণ করিতে পারে না। রাগ ও লালসা, ব্যক্তি কে বিকৃত করে এবং মানবত্মার প্রকৃতি অবস্থা বদলাইয়া দেয়। সেই ব্যক্তি প্রবৃত্তিতে পরের অধীন হয়ে পড়ে। তাহার বক্ষস্থল বোতখানায় পরিণত হইতে বাধ্য।
৭২
আমার কথা একটি জাহাজের মত, এবং সমুদ্র তাদের অর্থ. আমার কাছে আসুন এবং আমি আপনাকে আত্মার গভীরে নিয়ে যাব। আবার সেখানে দেখা হবে আমাদের।
৭৩
ধনুকের মধ্যে একমাত্র সোজা তীরই (ছোড়ার জন্য)হয়, পক্ষান্তরে এ ধনুক (রূপী) নফসের মধ্যে যে সব তীর (তুল্য আকর্ষণ) রয়েছে,তা সবই বাঁকা (সেগুলো নফস থেকে ছুটবে না; সুতরাং নফসের অনিষ্ট থেকে রেহাই পেতে হলে তোমাকেই নফস থেকে ছুটে যেতে হবে)।
৭৪
আমাদের হৃদয়ের কোমলতা ও প্রেমময়ই তাই আমাদের সর্ব শ্রেষ্ঠ শক্তি।
৭৫
হাজার রাত কাতর ভাবে ইবাদত করার চাইতে ভালোবাসা দিয়ে কারো মনে আনন্দ সৃষ্টি করা তার থেকেও উত্তম।
৭৬
এই পৃথিবীতে আমরা আসিনি ধ্বংস করতে,
বিভক্ত করতে কিংবা ভাঙ্গতে।
আমরা এসেছি ভাঙ্গাকে ঠিক করতে,
বিছিন্নদের একত্র করতে এবং শত্রুদের মধ্যে
সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করতে।।
৭৭
ভালোবাসার বাড়িতে সংগীত কখনো থামে না,
এর দেয়াল গুলো সদা নৃত্য রত।।
৭৮
আমি তোমার চোখে তাকিয়ে দেখি মহাবিশ্ব এখনো জন্মায়নি।
৭৯
প্রেমের জন্য মানুষ সৃষ্টি, নতুবা আল্লাহর ইবাদতের জন্য ফেরেস্তাদের অভাব ছিলো না!
৮০
আমরা প্রেমের সন্তান প্রেম আমাদের জননী।
৮১
যেখানে দুঃখ আছে সেখানেই দুঃখ হতে মুক্তির উপায় আছে।
৮২
প্রকৃত গুরু ঠিক ততটাই জ্ঞান দান করে। যতটা শিষ্য গ্রহন করার ক্ষমতা রাখে।
৮৩
শত বৎসরের খাঁটি ইবাদতের চেয়ে ওলিগনের সান্নিধ্যে,কিছুক্ষন বসা অনেক উত্তম।
৮৪
যেখানেই আমি তাকাই প্রভু কেবল তোমাকেই দেখতে পাই।
৮৫
“ওহে প্রেমিক! তুমি যদি চাও যে, মাওলার সঙ্গে বসিবে, তবে তুমি যে-কোনো এক আল্লাহর ওলির সম্মুখে বসিয়া যাও। যতক্ষণ আল্লাহর ওলির কাছে থাকিবে, ততক্ষণ ইয়াকিন করিবে যে, তুমি আল্লার সঙ্গেই বসে আছো।”
৮৬
ধীরে ধীরে মানুষের নিকট থেকে অপরিচিত হয়ে যাও,
সত্য কোন কিছু মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে না।
৮৭
“স্বর্ণ ও রৌপ্য এমন কী বস্তু যার জন্য তুমি পাগল হয়ে যাচ্ছো ? এই দুনিয়া এমন কী জিনিস যার জন্য তুমি মজনু হয়ে যাও ? তোমার এ ঘর-বাড়ি, বাগ-বাগিচা এ সবই তোমার কারাগার । তুমি সাময়িক এসবের মহব্বতে আবদ্ধ আছ মাত্র।”
৮৮
কু চিন্তা বাদ দাও,
যাতে তুমি স্বর্গের ব্যাখ্যা দেখতে পাও।
৮৯
গ্রহের সব মানুষই শিশু,
খুব অল্প সংখ্যক ছাড়া। আকাঙ্ক্ষা মুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বড় হয় না।
৯০
একটি চেতনাপ্রাপ্ত শুদ্ধ হৃদয়,
হাজার কাবা হতে শ্রেষ্ঠ।
৯১
“মন খারাপ করো না! কারণ চরম নিরুপায় মুহুর্তেই খোদা আশার বাণী দেন। ভুলে যেও না যে, সবচেয়ে অন্ধকার মেঘ থেকেই সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিটা আসে।”
৯২
আমিই তো জীবনের চিরবসন্ত।
৯৩
প্রার্থনা কুয়াশা দূর করে অন্তরের শান্তি ফিরিয়ে আনে! প্রতিটি সকাল আর সন্ধ্যায় হৃদয় দিয়ে গেয়ে ওঠো:হে খোদা! তুমি ছাড়া কেউ নেই!
৯৪
যখন আমি নিরব হই তখন আমি এমন স্থানে পৌঁছাই,
যে সেখানকার সকল কিছু’ই সঙ্গীত।।
৯৫
প্রার্থনা কুয়াশা দূর করে অন্তরের শান্তি ফিরিয়ে আনে! প্রতিটি সকাল আর সন্ধ্যায় হৃদয় দিয়ে গেয়ে ওঠো:হে খোদা! তুমি ছাড়া কেউ নেই।
৯৬
“চরিত্রের মধ্যে যদি সত্যের শিখা দীপ্ত না হয় তবে জ্ঞান, গৌরব, আভিজাত্য, শক্তি সবই বৃথা!”
৯৭
পিতা মাতার ধৈর্য আমার অসীম ধৈর্য সমুদ্রের ফেনাসরূপ,কত ফেনা আসে-যায়, কিন্তু সমুদ্র সদা নিজ স্থানে স্থির বিদ্যমান থাকে।
৯৮
বন্য ও উন্মত্ত হও, প্রেমে মাতাল হও!
বেশি সাবধান হলে প্রেম তোমায় খুঁজে পাবে না।
৯৯
তোমাদের কেউ যেন আপন প্রতিপালক ছাড়া অন্য কারো আশা না করে এবং তাঁর ‘শাস্তি’ ছাড়া অন্য কিছুকে ভয় না করে! তোমাদের কেউ যেন যা জানে না তা শিখতে এবং না জানা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে ‘জানি না’ বলতে সংকোচ বোধ না করে!
১০০
কখনোই কাউকে বলো না আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, তবে স্রষ্টা তোমাকে তাকে ছাড়াই বাঁচিয়ে রাখবে।