মার্ক টোয়েইন ছিলেন একজন মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক ও প্রভাষক।
যদিও টোয়েইন আর্থিক আর বাণিজ্য বিষয়ক ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত ছিলেন, তা সত্ত্বেও তার রম্যবোধ আর চপলবুদ্ধি ছিল তীক্ষ্ণ, এবং তিনি জনসমক্ষেও ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়। তার বৃহস্পতি যখন তুঙ্গে, তখন সম্ভবত সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনিই ছিলেন সবচাইতে জনপ্রিয় তারকা। এমনকি মার্কিন গ্রন্থকার উইলিয়াম ফকনার টোয়েইন সম্বন্ধে একথা বলতেও বাকি রাখেননি যে, টোয়েইন ছিলেন “প্রথম এবং প্রকৃত আমেরিকান লেখক, তার পরের আমরা সকলেই তার উত্তরাধিকারী”। টোয়েইন ১৯১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং বর্তমানে এলমিরা,নিউইয়র্ক এ শায়িত আছেন। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্য কর্ম হচ্ছে “অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টম সয়্যার” এবং “অ্যাডভেঞ্চার্স অফ হাকলবেরি ফিন”। এই উপন্যাসদ্বয় বিশ্ব সাহিত্যে ক্লাসিকের মর্যাদা লাভ করেছে।
১
স্বাস্থ্য বিষয়ক বই পড়ার সময় সাবধান থাকবেন। ছাপার ভুলের কারণে আপনার মৃত্যু হতে পারে।
২
সর্বদা সৎ ভাবে নিজের ভুল স্বীকার করুন। এরকম স্বীকারোক্তিতে কর্তৃপক্ষ কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়বেন, আর আপনি আরও ভুল করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
৩
উৎফুল্ল বোধ করার সেরা উপায় হচ্ছে অন্য কাউকে উৎফুল্ল করে তোলার চেষ্টা করা।
৪
কেবল মৃত মানুষেরই পূর্ণ বাকস্বাধীণতা আছে।
৫
ছোটখাটো দোষত্রুটি নেই এমন লোকের উপর আমার বিন্দুমাত্র আস্থা নাই।
৬
আজ থেকে বিশ বছর পর আপনি এই ভেবে হতাশ হবেন যে,আপনার পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল তা করতে পারেননি। তাই নিরাপদ আবাস ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন। আবিষ্কারের জন্য যাত্রা করুন, স্বপ্ন দেখুন আর শেষমেশ আবিষ্কার করুন।
৭
দুজন মানুষ কথা বলছে। আপনি তাদের কথার মাঝখানে কথা বলার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তারা পাত্তা দিচ্ছে না। এর চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু হতে পারে না।
৮
সব উক্তিই মিথ্যা—এটাও!
৯
পোশাকেই মানুষের পরিচয়। সমাজে উলঙ্গদের কোন প্রতিপত্তি নেই।
১০
সত্যবাদিতা স্মৃতিশক্তির উপর চাপ কমায়।
১১
সবচেয়ে খারাপ একাকিত্ব হলো নিজেকেও ভালো না লাগা।
১২
আমাদের জীবন এরুপভাবে পরিচালিত করব যেন আমাদের মৃত্যুর পর ভৃত্যটিও অশ্রুবর্ষণ করে।
১৩
সকল সাধুই মজজা দেখতে পারেন, কিন্তু খুব কম সাধুই আছেন যারা চালাতে সক্ষম।
১৪
সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন।
১৫
দুঃখ নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে, কিন্তু আনন্দের পুরোটা উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই তোমাকে তা কার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।
১৬
মানুষ যথেষ্ট সদয় হয় যখন সে ধর্ম দ্বারা উত্তেজিত হয় না।