মধ্যযুগের ফ্রান্সের একটি শহরের মহিলাদের মধ্যে অদ্ভুত অভ্যাস ছিল।
শহরের সকল বিবাহিত মহিলারা তাদের স্বামীর প্রাতঃরাশে সামান্য পরিমানে বিষের ডোজ দিয়ে রাখতো।
আর স্বামী সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষের প্রতিষেধক দেওয়া হতো। এরফলে স্বামীর শরীরের কোনো ক্ষতি হতো না।
এই অদ্ভুত ও অস্বাভাবিক কাজটি করার কারণ ছিলো, যেনো তারা নিজ গৃহ ছাড়া কোথাও যেনো না থাকে, নিজের স্বামীকে কাছে রাখার জন্য মহিলারা এই কাজ করতো।
সকালে বিষ মেশানো প্রাতঃরাশ শেষে যদি তারা বেশি সময় অন্য কেথাও থাকে, তাহলে পুরুষের শেষ পর্যন্ত বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, বিষণ্নতা, বমি, ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গের সম্মুখীন হতে শুরু করতো।
পুরুষ তার স্ত্রীর কাছে অর্থাৎ বাড়ি ফিরতে যত দেরি করবে, সে তত বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে। এবং, অবশেষে যখন তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন, তার স্ত্রী অজান্তেই তাকে সেই বিষের প্রতিষেধক দিতেন।
এইভাবে, কয়েক মিনিটের মধ্যে, তিনি দ্রুত ভাল বোধ করতে শুরু করেন। এইসব মূলত একটি কৌশল হিসাবে কাজ করেছিল। এটা পুরুষদের মনে ধারণা দিতো যে বাড়ি থেকে দূরে থাকলে তা তাদের মন ও শরীরকে ব্যথা এবং বিষণ্নতার দিকে পরিচালিত করবে।
এর ফলে স্বামীরা তাদের ঘর ও স্ত্রীর খুব কাছাকাছি থাকতো। এবং তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতো না।