হেলেন কেলার একজন মার্কিন নারী কবি ও লেখক। হেলেন কেলার বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। একই সাথে তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী।
সুপ্রিয় পাঠক এই ব্লগ পোস্টে হেলেন কেলারের বিখ্যাত কিন্তু উক্তি ও বাণী তুলে ধরা চেষ্টা করেছি। আশা করি সবগুলো উক্তি ও বাণী আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে।
১
আশাবাদীতা হল বিশ্বাস যা সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে। আশা এবং আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনো কিছুই সম্পুন্ন হবে না।
২
জীবন হচ্ছে একটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ- নয়তো কিছুই নয়।
৩
তোমার মাথাকে কখনও নত হতে দিও না, সবসময় উঁচু করে রাখ চোখ বরাবর।
৪
পৃথিবীর সেরা সুন্দর জিনিসটি হয়তো আমরা ধরতে পারি না, ছুঁতেও পারি না- কিন্তু হৃদয় দিয়ে ঠিকই অনুভব করতে পারি।
৫
একা আমি কিছু একটা করতে পারি, আর আমরা অনেকে অনেক কিছু করতে পারি।
৬
প্রত্যেক মানুষেরই মনের অতলে রয়ে গেছে সবুজ মাটি আর টলমলে পানির স্মৃতি। অন্ধত্ব কিংবা বধিরতা আমাদের পূর্বপুরুষের দেয়া এ অধিকার লুট করে নিতে পারে না। উত্তরাধিকার সূত্রে লব্ধ এ ক্ষমতা অনেকটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মতো- আত্মার ইন্দ্রিয়, যা একই সঙ্গে দেখে, শোনে এবং অনুভব করে।
৭
আমার মনে হয় আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই এমন একটা ক্ষমতা আছে, যার বলে সৃষ্টির আদি থেকে যা কিছু অনুভূতি আর অভিজ্ঞতার ছাপ পড়েছে মানুষের মনে- তার একটা ধারণা আমরা করতে পারি।
৮
যেমন করে একটা গাছের শেকড় মাটির নিচের অন্ধকারে থেকেও টের পায় তার ওপরের অংশের আনন্দ, রোদ আর হাওয়া আর পাখির পরশ- প্রকৃতির অনুগ্রহে আমিও তেমনই দেখেছি অনেক অদেখাকে।
৯
শিক্ষার চূড়ান্ত ফল হচ্ছে সহনশীলতা।
১০
আলোতে একাকী হাটার চেয়ে বন্ধুকে নিয়ে অন্ধকারে হাটা উত্তম।
১১
মৃত্যু এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু আমার জন্য একটি পার্থক্য আছে,কারণ আমি অন্য ঘরে গেলে আমি হয়তো নিজের চোখের দৃষ্টি ফেরত পাবো।
১২
যদিও পৃথিবী কষ্টে পরিপূর্ণ, তবুও তা কাটিয়ে উঠতেও পূর্ণ।
১৩
একা আমরা অল্প কিছু করতে পারি। কিন্তু একসাথে আমরা হয়তো অনেক কিছু করতে পারি।
১৪
সূর্যের দিকে মুখ করে থাকলে তুমি কিছুই চোখে দেখতে পাবে না।
১৫
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূর্ভাগা সেই যার দৃষ্টি থেকেও দৃষ্টি নেই।
১৬
বিজ্ঞান হয়ত অধিকাংশ মন্দের প্রতিকার খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে মন্দ মানুষের উদাসীনতার জন্য কোন প্রতিকার খুঁজে পায়নি।
১৭
আমি যা খুঁজছি তা অন্য কোথাও নেই, কেবল আমার মধ্যেই আছে।
১৮
রাস্তার একটি বাঁক রাস্তার শেষ নয়…যদি না আপনি বাঁক নিতে ব্যর্থ হন।
১৯
আমরা কখনও সাহসী এবং ধৈর্যশীল হতে শিখতে পারতাম না; যদি পৃথিবীতে শুধুমাত্র আনন্দ থাকতো।
২০
সাহিত্য আমার আনন্দলোক।
২১
সুখ বাইরে থেকে আসে না, আসে ভেতর থেকে।
২২
আশাবাদ হলো বিশ্বাস যা অর্জনের দিকে নিয়ে যায়।
২৩
আত্ম-করুণা আমাদের সবচেয়ে খারাপ শত্রু এবং আমরা যদি এটির কাছে আত্মসমর্পণ করি তবে আমরা পৃথিবীতে কখনও ভাল কিছু করতে পারব না।
২৪
জ্ঞান হলো প্রেম এবং আলো এবং দৃষ্টি।
২৫
আপনার সাফল্য এবং সুখ আপনার মধ্যে নিহিত।
২৬
বিশ্বাস হল সেই শক্তি যার দ্বারা একটি ছিন্নভিন্ন পৃথিবী আলোয় উদ্ভাসিত হবে।
২৭
নীরবতা কিংবা অন্ধকার সব কিছুতেই সৌন্দর্য আছে।
২৮
ভালবাসা হচ্ছে এমন একটি সুন্দর ফুল যা আমরা স্পর্শ করতে পারি না, কিন্তু এর সুবাস বাগানটিকে আনন্দের জায়গা করে তোলে।
২৯
মানুষ ভাবতে পছন্দ করে না, যদি কেউ চিন্তা করে তবে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। উপসংহার সবসময় সুখকর হয় না।
৩০
আমরা যখন আমাদের পক্ষে যথাসাধ্য চেষ্টা করি, তখন আমরা কখনই জানি না যে আমাদের জীবনে বা অন্যের জীবনে কী অলৌকিক ঘটনা ঘটছে।