মির্জা গালিবের বিখ্যাত উক্তি : ৩০ টি বিখ্যাত উক্তি
পৃথিবীর সব চেয়ে বেশি মিথ্যা বলা হয় ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে, যেটা আদালতে। আর সব চেয়ে বেশি সত্য বলা হয় মদ ছুঁয়ে,যেটা পানশালায়।
পৃথিবীর সব চেয়ে বেশি মিথ্যা বলা হয় ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে, যেটা আদালতে। আর সব চেয়ে বেশি সত্য বলা হয় মদ ছুঁয়ে,যেটা পানশালায়।
এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। এখানে ওখানে তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
কোনো জন্তু কখনও মানুষের মতো এতো শৈল্পিকভাবে, ছবির মতো নিষ্ঠুর হতে পারবে না।
তারাই মহৎপ্রাণ, যারা অন্যদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের বিপদের কথা মনে রাখে না।
যেসব মুসলমান হিন্দুদের বিধর্মী মনে করে, তাদের ক্ষতি করতে চায়, আমি তাদের বলি তোমরা কারা? খুব বেশি হইলে চার-পাঁচ পুরুষ আগে তোমরা কারা ছিলা? তোমাদের বাপ-দাদার বাপ-দাদারা ছিলেন হয় হিন্দু নয় নমঃশূদ্র। এ দেশের হিন্দু আর মুসলমানের একই রক্ত। কতজন আরব ইরান-আফগানিস্তান হইতে আসিয়াছে? পাঁচ পুরুষ আগে যারা ছিলো তোমাদের পূর্বপুরুষ আজ তাদের গায়ে হাত তুলতে তোমাদের বুক কাঁপে না? তোমরা কি মানুষ না পশু?
কপালের যেখানটায় বসন্তের দাগ ছিল; সবাই চোখ ফিরিয়ে নিত ঘেন্নায়! সেখানটায় চুমো খেয়ে বুঝিয়ে দিতে হয় ভালোবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসেনি।
কখনোই কাউকে বলো না আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, তবে স্রষ্টা তোমাকে তাকে ছাড়াই বাঁচিয়ে রাখবে।
মাছি-মারা-কেরানি নিয়ে যত ঠাট্টা-রসিকতাই করি না কেন, মাছি ধরা যে কত শক্ত সে কথা পর্যবেক্ষণশীল ব্যক্তিমাত্রই স্বীকার করে নিয়েছেন, মাছিকে যেদিক দিয়েই ধরতে যান না কেন, সে ঠিক সময়ে উড়ে যাবেই।
জীবনে দুটো জিনিস খুবই কষ্টদায়ক।। একটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে কিন্তু তা তোমাকে বলে না।। আর অপরটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে না এবং সেটা তোমাকে সরাসরি বলে দেয়।
প্রত্যেক নতুন জিনিসকেই উৎকৃষ্ট মনে হয়। কিন্তু, বন্ধুত্ব যতই পুরাতন হয়,ততই উৎকৃষ্ট ও দৃঢ় হয়।
অনাবিল হাসি হচ্ছে ভাল কথারই শারীরিক রূপ আর যারা ভাল কথা বলতে পারে তারা ভাল হাসতে ও পারে হাসি আর কথার মূল উৎস একই জায়গা।
আমি আবিষ্কার করলাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেশী বিক্রি হয়ে যায় সিগারেট ও বিড়ি। অবাক হয়ে ভাবতাম, গরিব মানুষেরা তাদের কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ এভাবে ধোঁয়া গিলে উড়িয়ে দেয় কেন।
শাস্ত্রের অর্থ না বুঝিয়া অথবা ভুল অর্থ বুঝিয়া কিংবা অভিপ্রেত সিদ্ধির নিমিত্ত স্বেচ্ছানুরূপ অর্থান্তর কল্পনা করিয়া, শাস্ত্রের দোহাই দিয়া যথেচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিধবাকাণ্ড বৈধ বলিয়া প্রচার করিলে নিরপরাধ শাস্ত্রকারদিগকে নরকে নিক্ষিপ্ত করা হয়।
তুমি ভাবছ মেঘ করেছে, বৃষ্টি পড়বে অনেকক্ষণ। আসলে তো মেঘ করেনি মন খারাপের বিজ্ঞাপন!
মহাবিশ্বের সবকিছুর মাধ্যমেই খোদাকে চিনতে পারবে, কারন খোদা মসজিদ, মন্দির বা গীর্জাতে সীমিত নন, তবুও যদি জানতে চাও সে (খোদা) আসলে কোথায় বাস করে; তবে তাকে খোজার একটি মাত্র জায়গাই আছে। তা হল একজন প্রকৃত প্রেমিকের হৃদয়। ~ শামস তাবরিজি