ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম শাস্তি: বাবা ও ছেলেকে জীবন্ত সিদ্ধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে
মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়ে সম্রাট ক্ষান্ত হননি। তিনি ইশিকাওয়া গোয়েমন এর নবজাত ছেলে সন্তানকে একসাথে সেদ্ধ করার আদেশ দেন।
মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়ে সম্রাট ক্ষান্ত হননি। তিনি ইশিকাওয়া গোয়েমন এর নবজাত ছেলে সন্তানকে একসাথে সেদ্ধ করার আদেশ দেন।
কয়েকদিন পর যখন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসে তখনই শুরু হয় সব গণ্ডগোল। সেখানে বলা হয়,রোনাল্ডকে খুন করা হয়েছে। অর্থাৎ তার মাথায় পিস্তলের গুলি মিলেছে।
ঘটনাস্থল ১৯৪০ সালের রাশিয়ায়,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চলছে পুরোদমে। সেই সময়েই দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ৫ বন্দির উপরে এক অদ্ভুত পরীক্ষা চালান রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। তাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি গ্যাস আবিষ্কার করা, যা মানুষের শরীর থেকে ঘুমের প্রয়োজনকে দূরীভূত করবে।
হুয়ানা মারিয়া ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের সান নিকোলাসের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে আটকে পড়েছিলেন দীর্ঘ ১৮ বছর! সেখানে তিনি পোশাক পরিধান করতেনন…
১৯৪৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনার দুই শেতাঙ্গ কিশোরী বেটি জুন ও মেরি এমা কে খুনের দায়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সী জর্জ স্টিনি জুনিয়র কে ইলেক্ট্রনিক চেয়ারে বসিয়ে ২৪০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ শক দিয়ে হত্যা করা হয়। আদৌও ছেলেটি কোনো অপরাধ করেনি, তার অপরাধ ছিল সে কৃষ্ণাঙ্গ। ১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এই মৃত্যুদন্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সকল ঘটনাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।
বেলি গানেজ নরওয়েজিয়ান বংশদ্ভূত মার্কিন মহিলা সিরিয়াল কিলার বেলি গানেসের পেশা ছিলো বিয়ে করা এবং তারপর তার স্বামীদের হত্যা করা।…
থাইল্যান্ড-বার্মা রেললাইনটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল মোট ১৪ মাস। এই রেল লাইনটি তৈরি করতে গিয়ে এক লক্ষেরও বেশি এশীয় শ্রম-দাস প্রাণ হারায়। তাদের পাশাপাশি ১৬,০০০ ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান এবং ডাচ যুদ্ধবন্দী মারা যায়।
ইংরেজি witch শব্দটি বাংলায় আমরা যাকে বলি ডাঈনি তা এসেছে wicca শব্দ থেকে। এটি অনেক পুরনো একটি ইংরেজি শব্দ। এই উইকা শব্দের প্রকৃত অর্থ ‘যে জ্ঞানী ’ অথবা ‘যে নিগূঢ় জ্ঞান অর্জন করেছে’।এই উইকা শব্দটির অন্য অর্থটি হচ্ছে; প্রাচীন প্যাগান ধর্মের উপাসক নারী ও পুরুষ । এরা ঈশ্বরের পুরুষালি, মেয়েলি ও পার্থিক রূপের আরাধনা করত। এই ধারণাটি ছিল খ্রিস্টধর্মের মূল ধারণার বিরোধী
১৯৩৯ সালে ওয়েন্ডেল জনসন এবং মেরি টিউডর নামে দুজন গবেষক শিশুদের স্বাভাবিক কথা বলা ও তোতলানো কথা বলা নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন।পরীক্ষার জন্য তারা ২২ জন অনাথ শিশুকে ব্যবহার করেন। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল স্বাভাবিক ভাষী শিশুদের মধ্যে তোতলাতে প্ররোচিত করা এবং তোতলানকারীদের বলা যে তাদের বক্তৃতা ভাল ছিল। তাদেরকে প্রথম দিকে বলা হয়নি তাদের উপর পরিক্ষা করা হচ্ছে। গবেষকদের উদ্দেশ্য ছিল তাদের পুরোপুরি তোতলা বানানোর পর তাদেরকে আবার স্বাভাবিক করা যায় কিনা।
১৯৩০ এর দশকে ব্রিটেনের উঁচু দালানগুলোর জানালার বাহিরে খাঁচার ভেতরে শিশুদের ঢুকিয়ে রাখা সাধারণ একটি বিষয়। এই পদ্ধতিটি গত শতাব্দীর সবচেয়ে অদ্ভুত আবিষ্কার গুলোর একটি।
পূর্ব কেনিয়ার কাম্বা সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে, বহু বছর ধরে ভূতের বিবাহের প্রচলন ছিল। এই প্রথার নিয়ম ছিল সম্প্রতি বা মাত্রই মৃত্যু হওয়া পুরুষ ব্যাক্তির সাথে মহিলাদের বিয়ে দেয়া, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাধ্য করা হতো বিয়ে করতে।
টোকিওর 'শিনামাচি' এলাকার 'তেইকোকু ব্যাংক'-এ দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ দরজা ঠেলে এক ব্যক্তি ঢুকলো। তার পরণে কোট-প্যান্ট, আর হাতে লাগানো একটা আর্মব্যান্ড, যাতে লেখা 'স্যানিটেশন'। সে এসে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে সরাসরি দেখা করলো। বললো, সে একজন পাবলিক হেলথ অফিসার। বর্তমানে জাপানে হঠাৎ করে এক বিশেষ ধরণের ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সরকারি উদ্যোগে সবাইকে জীবাণু নিরোধক ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় এই ব্যাংকের সব কর্মচারীকেও আজ ঔষধ খাওয়ানো হবে।
ভিক্টোরিয়ান যুগের মহিলারা তাদের চোখে লেবু ও কমলার রস ব্যবহার করতো। কারণ তারা বিশ্বাস করতো এগুলোর রস চোখে দিলে চোখ আরো উজ্জ্বল ও পরিষ্কার হয়।এগুলো ব্যবহার তাদের জন্য কিন্তু আনন্দদায়ক ছিলো লেবু ও কমলার রস এসিডিক হওয়ায় তাদের চোখ প্রচন্ডরকম জ্বালা করতো এবং চলখ লাল হয়ে যেত। তবুও তারা এগুলো চোখে দেওয়ার ব্যাপারে অটল ছিলেন।প্রচুর লেবু ও কমলার ব্যবহারের ফলে তাদের চোখের কর্নিয়ার ক্ষতি হতো। ফলে অনেই অন্ধ হয়ে যেতো।
স্ত্রী কে নিলামে বিক্রি বেশিরভাগই ঘটতো ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলগুলোতে। অনেকে মনে করেন এই প্রথার উৎস অ্যাংলো-স্যাক্সন সময়কাল থেকে।তবে এটি ১৭ শতক থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত প্রচুর প্রচলিত বিষয় ছিল। এমনকি বিংশ শতাব্দীতে এসেও স্ত্রী বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।
ট্রেপানেশন হল ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করা লোকেদের মাথার খুলিতে ছিদ্র করার মাধ্যমে চিকিৎসা করার প্রাচীন পদ্ধতি। আগের মানুষ মনে করতো রোগীর মাথার ভেতরে কোনো অশুভ আত্মা ঢুকে গেছে, যা তাকে এমন অদ্ভুত আচরণ করতে বাধ্য করছে। আর সেই অশুভ আত্মাকে মাথা থেকে বের করতে করা হতো মাথায় ছিদ্র। ট্রেপানেশন বেশিরভাগই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের করা হতো। এছাড়াও মাথাব্যথা,মৃগীরোগ এবং অন্যান্য মানসিক রোগের চিকিৎসা এই পদ্ধতিতে করা হতো।