শিবরাম চক্রবর্তী জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ক্ষমা করতে পারেননি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে
দেনাপাওনা' উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন শিবরাম। নাম হয়েছিল ‘ষোড়শী'। সকলেই জানে সে কথা। স্বয়ং লেখকও জানেন।
দেনাপাওনা' উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন শিবরাম। নাম হয়েছিল ‘ষোড়শী'। সকলেই জানে সে কথা। স্বয়ং লেখকও জানেন।
বাবার দেয়া মানসিক চাপ থেকে নিস্তার পেতেই কাফকা সাহিত্যে ডুব দিয়েছিলেন। তবে সবজায়গায় ঘুরেফিরে তার বাবা চলে আসতো। কর্তৃত্বপরায়ণ বাবার মূর্তি কাফকার অন্যতম বিখ্যাত দুটো গল্পের মধ্যে দেখা যায় একটি রায় আরেকটি হলো রূপান্তর।
গল্প উপন্যাস পড়তে আমরা কমবেশি সবাই ভালোবাসি। আমাদের বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস প্যারীচাঁদ মিত্রের লেখা ‘আলালের ঘরের দুলাল’। সেটি ১৮৫৮…
স্রষ্টা যাকে প্রতিভা দান করেন তাকে গড়ে তোলেন একান্ত নীরবে ও নিভৃতে। কত গরীব, বংশ মর্যাদায় ছোট মানুষজনকে টেনে তুলেছেন…
ইংল্যান্ডের গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে শেলীর জন্ম হয়েছিল। তার পিতা ছিলেন খুবই আদর্শবাদী। আপন গৃহের মধ্যে বোনদের সঙ্গে শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল শেলীর। তারপর ইটন স্কুলে। সেখানে শেলীর অভিজ্ঞতা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। কোনোরকম জোরজুলুমের প্রতি তিনি ছিলেন বিরোধী। স্কুল শিক্ষকের হাতের বেতকেও তিনি ঘৃণা করতেন। তিনি আর সব ছাত্রদের থেকে একটু স্বতন্ত্র ধরনের ছিলেন। তাই শেলীর সঙ্গে তাদের বনিবনা ছিল না।
জন কীটস এর জন্ম লন্ডনে, তাও আবার সোয়ান ও হুপইন আস্তাবলের মধ্যে। কীটসের বাবা টমাস কীটস ছিলেন প্রথমে ভাড়াটে ঘোড়ার আস্তাবলের কর্মচারী, পরে সেই আস্তাবলের মালিকের কন্যা জেনিংসকে বিবাহ করে সেই ব্যবসায়ের মালিক হয়ে যান। কীটস রা চার ভাই , এক বোন। একভাই শৈশবে মারা যায়। কীটসের বাবার আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো ছিল এবং অবস্থাপন্নই ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন যে ছেলেদের লেখাপড়ার জন্য তাদেরকে হ্যারোতে পাঠাবেন কিন্তু তা হলো না। এনফিল্ড - এর একটা নামকরা স্কুলে ছেলেকে ভর্তি করে দিলেন। এখানে প্রধান শিক্ষকের ছেলে চার্লস কাউনডেন ক্লার্ক এর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচয় ঘটে। কাউনডেন ক্লার্ক ছিলেন একজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি কীটসের মনে কবি কল্পনা বা কাব্য রচনা ও আস্বাদনের প্রেরণা জুগিয়ে দেন।
বইটিতে গুনি লেখক আহমদ ছফা তার গুরু জাতীয় অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারের জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। যদিও তাদের সম্পর্কটা একটি নাটকিয়তার মধ্যদিয়ে শুরু হয় তবে তা আর শেষ হয়ে উঠেনি এই বইটিই যার প্রমান।
গল্পের শুরুতেই ঘুম ভাঙার পর নবনী জানতে পারে আজ রাতে তার বিয়ে! হঠাৎ করে বিয়ের কথা শুনে যে কারোরই হকচকিয়ে ওঠার কথা। কিন্তু নবনী স্তম্ভিত হয় না কেননা তার জীবনে এমন এক অতীত রয়েছে, যার কারণে কোনো পাত্রপক্ষই তার সাথে তাদের ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হন না। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে নবনীর বড় মামা তার জন্য এক পাত্রপক্ষকে রাজি করাতে সক্ষম হন। পাত্রের নাম নোমান। নোমান অত্যন্ত সহজ-সরল। সে তার বন্ধু সফিকের অফিসে ছোটখাটো একটা চাকরি করে। নোমানের সরলতা ও নবনীর প্রতি তার যত্ন ও ভালোবাসা দেখেই নবনী ধীরে ধীরে তাকে পছন্দ করতে শুরু করে।
চন্দ্রাবতী ষোড়শ শতাব্দীর কবি এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি মহিলা কবি । এই বিদূষী নারী অন্যান্য কাব্য ছাড়াও পিতার আদেশে বাংলা ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে , মৈয়মনসিংহ গীতিকার এক কবি নয়ানচাঁদ ঘোষ চন্দ্রাবতী চরিতকথা রচনা করেন। তবে জয়নন্দের গ্রাম সুন্ধা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত পাতুয়াইর/ পাটোয়ারী গ্রাম আজও আছে। কিশোরগঞ্জ শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। আর আছে ফুলেশ্বরী নদীর ধারে চন্দ্রাবতীর পূজিত শিব মন্দির।
এই উপন্যাসের কাহিনিটি টলষ্টয় এ. এফ কোনী নামে এক বিখ্যাত উকিলের কাছ থেকে শুনেছিলেন। ঘটনাটা হলো এই যে চুরির দায়ে দ্রুত একটি পতিতার বিচারের সময় একজন জুরি পতিতাকে চিনতে পারে কারণ এসময় ঐ জরিটি ঐ মেয়েটিকে তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার জন্য প্রলোভিত করেছিল। তার ঐ কাজের জন্যই মেয়েটি পতিতা বৃত্তি অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছিল। যাইহোক, জুরি যুবকটি অভিযুক্ত মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে এবং তাকে বিয়ে করবে বলে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তার সেই প্রস্তাব কার্যকরী হয়নি কারণ মেয়েটি জেলে মারা যায়।
জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তার কবিতায় প্রকৃতি, নিসর্গ ও মানবজীবনের ভাবনার গভীরতার মিশ্রণ পাওয়া যায়। বাংলা…
এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো রাসকলনিকভ। একেবারে নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তবে নিম্নরুচির পরিবার ছিল না তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ তার হয়েছে। ফলে বিশ্বজগৎ সম্বন্ধে ধ্যানধারণা গড়ে উঠেছে , বিশেষ বিশেষ তত্ত্ব সম্বন্ধে ও তার জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
দাঁতের ব্যথায় অস্থির হয়ে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ডেন্টিষ্টের কাছে গেলেন। ডেন্টিষ্ট দাঁত দেখে বললেন,– তোমার লেখা পড়ে আমার বৌ কেঁদে ফেলে। এবার দেখ আমি তোমাকে কীভাবে কাঁদাই!
যদি আইরিশ শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এর নাম বলা হয়, তবে অস্কার ওয়াইল্ড, উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস এর সাথে জেমস জয়েস এর নাম…
যেখানে যেখানে শোভনা গেছেন পেছন পেছন জীবনানন্দ গেছেন।১৯৩২!ডায়াশেসন কলেজের ছাত্রী শোভনা, কত-ই বা বয়স তখন শোভনার, ১৮-র বেশি তো নয়, জীবনানন্দ ৩৩ বছরের বিবাহিত যুবক।কানা দারোয়ানের হাতে স্লিপ পাঠিয়ে নীচে বসে অপেক্ষা করতেন, কখনও মর্জি হলে শোভনা দেখা করতেন, কখনও করতেন না।