কেমন ছিলো প্রাচীন মিশরের মানুষদের জীবন?
প্রাচীণ যে কয়েকটি সভ্যতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয় তার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। অনেক ইতিহাসবিদ বা গভেষক…
প্রাচীণ যে কয়েকটি সভ্যতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয় তার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। অনেক ইতিহাসবিদ বা গভেষক…
দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসটি ১৭ শতকের ফ্রান্সের প্রেক্ষাপটে রচিত। উপন্যাসের শুরু হয় ফ্রান্সের গ্যাসকনের ডার্টানিয়ান নামক এক যুবক ছেলেকে দিয়ে। ডার্টানিয়ান গ্যাসকন ছেড়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার জীবনের উদ্দেশ্য সে রাজার রক্ষীবাহিনী মাস্কেটিয়ার্সের দলে যোগ দিয়ে নিজের জীবনের ক্যারিয়ার গড়বে। আর প্যারিসে এসেই বিভিন্ন ঘটনাবহুল দৃশ্যপটের মাধ্যমে তার বন্ধুত্ব হয় ফ্রান্সের রাজা লুই ত্রয়োদশ এর তিন অনুগত মাস্কেটিয়ার অ্যাথোস, পোর্থোস এবং অ্যারামিসের সাথে।
১৮ শতকের শুরু দিকে রাতের বেলায় লন্ডন শহরে তখনো আলো আসেনি। রাস্তাগুলো ছিলো পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন। ফলে চোর, পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারীদের উপদ্রব ছিলো ভয়াবহ রকমের। রাস্তাঘাটে বখাটে ছেলেদের উপদ্রব ও ছিলো। ফলে ভদ্র ঘরের মেয়েরা রাতের বেলা তো দূর তারা দিনের বেলাতেও রাস্তায় বের হওয়ার সাহস করতো না। রাস্তায় চলাচল করার চেয়ে লন্ডনের মানুষজন জলপথেই যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সকলেই নৌকায় যাতায়াত করতো। নৌকোগুলো তখন বিভিন্ন রঙে সুসজ্জিত থাকতো।
রহস্যময় এই ব্যক্তি ১৭০৩ সালে বাস্তিল দুর্গে মারা যান। তার মৃত্যুর পর বছরের পর বছর ধরে তার পরিচয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি হতে থাকে। গুজব ছিলো বন্দী লোকটির সাথে ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের সম্পর্ক ছিল। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার সেই কারাগারের বন্দীদের প্রশ্ন করেছিলেন; তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরণো কয়েদিরা দাবি করেছিলেন বন্দী লোকটি রাজা লুইয়ের অবৈধ সৎ ভাই।
ব্রেকিং হুইলে একটি বিশাল কাঠের চাকা থাকতো। সেই চাকায় অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে বেঁধে মারধর করা হতো। এই চাকাটিকে ঘুরানো যেতো তাই চাকার নিচে আগুন জ্বালিয়ে তা ঘুরানো হতো। ফলে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যাক্তির শরীর আগুনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু মুহূর্তের জন্য পুড়ে যেতো।
রেনেসাঁস সৃষ্টির পেছনে ইতিহাসবিদরা যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন সেটি অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান। গ্রীক কে বলা হয় ইউরোপের সংস্কৃতির আদি পিতা। ১৪৫৩ সালে কনস্টানিপল অটোমান শাসক রা দখল করে নিলে গ্রীক পন্ডিতরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে থাকেন। এর আগে থেকেই তারা সেই জায়গা থেকে পালাতে শুরু করেন। এই পন্ডিত লোকগুলো বিশেষ করে ইউরোপের ইতালিতে আশ্রয় নেন। সেই সাথে তারা তাদের সাথে নিয়ে যান হাজার বছরের পুরনো দার্শনিকদের মহামূল্যবান গ্রন্থগুলো।
হ্যারিয়েটের লেখা আঙ্কেল টমস কেভিল কে মনে করা হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার ভিত্তি স্তম্ভ। বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হওয়ার প্রথম বছরেই বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বিক্রি হয় প্রায় ৩ লক্ষেরও অধিক কপি আর গ্রেট ব্রিটেনে তার সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। সে সময়ে কোনো বই এতো বিশাল সংখ্যক পরিমাণে বিক্রি ছিলো কেবলই কল্পনা। শুধুমাত্র বাইবেল বিক্রির সংখ্যাই এই উপন্যাসের কাছাকাছি ছিলো।
এই বিরল ও অদ্ভুতুরে রোগটির নামকরণ করা হয়েছে ফরাসি রাণী মারি অঁতোয়ানেতের নামানুসারে। রাণীর চুল অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তার ফলে রাতারাতি সাদা রঙে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ইতিহাস গভেষকরাও এই হঠাৎ পরীবর্তের জন্য চরম মানসিক ধাক্কা, শোক এবং যন্ত্রণাকেই দায়ী করেন।
১৬৮০ এর দশকের কথা ফ্রান্সের সাধারণ মানুষের মধ্যে কানাঘুষো হতে থাকে একজন রহস্যময় বন্দী সম্পর্কে। ফ্রান্সের রাজা লুই চতুর্দশের আদেশে একজন বেনামী লোককে আটক করে বাস্তিল দুর্গে বন্দী করে রাখা হয়েছে। লোকটির আসল পরিচয় কেউ জানে না; কারণ লোকটির মুখ ছিলো লোহার মুখোশে বন্দী। তাকে নাকি জোর জবরদস্তি করেই সেই লোহার মুখোশ পড়তে বাধ্য করা হয়েছে।
জ্যাক দ্য রিপার যে সময়টায় খুন গুলো করেছিলেন তখন ব্রিটেনে প্রচুর আইরিশ অভিবাসী ও পূর্ব ইউরোপ থেকে বহু ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রবেশ করতে শুরু করে। তখন আজকের দিনের মতো অভিবাসী প্রবেশের ব্যাপারে এতো নিয়ম ও কড়াকড়ি আইন ছিলো না।
সাধারণত শকুন দিয়ে মৃতদেহ খাওয়ানো পবিত্র বলে মনে করা হয়। তিব্বতিরা শকুনদেরকে চেনে ‘ডাকিনিস’ হিসেবে। তিব্বতীয় মতে 'ডাকিনিস'রা হলো দেবদূত। ডাকিনিসের অর্থ হচ্ছে আকাশের নৃত্যশিল্পী। তিব্বতীয়দের বিশ্বাস ডাকিনীরা মৃতের আত্মাকে স্বর্গে নিয়ে যায়। এটা হচ্ছে শান্তিময় এক স্থান, যেখানে আত্মাদেরকে পুনর্জন্মের পূর্ব পর্যন্ত রাখা হয়। এছাড়া শকুনদেরকে মৃতদেহ ভক্ষণ করতে দেয়া হলে মৃতের পুণ্য হয় বলে মনে করে সবাই, এমনকি মৃতের স্বজনরাও।
প্রাচীন ইতালির ইতিহাসবিদ ডিওডোরাস সিকুলাসের (৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) গল্প অনুসারে, রোমের একজন মানুষ মিশর ভ্রমণের সময় একটি বিড়াল হত্যা করেছিলেন। আর এই অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। তখন মিশরে বিড়াল হত্যা করা একটি ভয়ঙ্কর অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হত।
দ্য স্লেভ বাইবেল, বা ক্রীতদাস বাইবেল হচ্ছে খ্রীস্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের আমেরিকান ক্রীতদাসদের জন্য তৈরিকৃত বাইবেল এর এক নতুন সংস্করণ। মূল বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট ও নিউ টেস্টামেন্ট মিলিয়ে চ্যপ্টার ছিল ১১৮৯ টি, আর স্লেভ বাইবেল এ তার সংখ্যা মাত্র ২৩২ টি।
১৫৬২ সালের ১০ অক্টোবর রাণী এলিজাবেথের মধ্যে গুটিবসন্তের লক্ষণগুলি দেখা যায়। পরবর্তী ১ সপ্তাহের মধ্যে তিনি এতোটাই অসুস্থ হয়ে যায় যে কথাই বলতে পারছিলেন না। তার উপদেষ্টা এবং চিকিৎসকরা আতঙ্কিত হয়েছিলেন, কারণ এই রোগটি ইতিমধ্যে ইংরেজ রাজদরবারে অনেক সদস্যদের প্রাণ নিয়েছে।
ইয়র্ক ও ল্যাঙ্কাস্ট্রিয়ানদের মধ্যে ১৪৫৫-১৪৮৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ বত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে দুই পক্ষই তাদের পতাকায় গোলাপের চিহ্ন বহন করেছিল। ইয়র্কিস্টদের পতাকায় ছিল সাদা গোলাপ আর ল্যাঙ্কাস্ট্রিয়ানদের পতাকায় ছিল লাল গোলাপের ছবি। যুদ্ধ শেষ হয় দুই পক্ষের মধ্যে এক বিবাহ সম্পাদনের মধ্যে দিয়ে। নতুন রাজবংশ হিসাবে টিউডররা আত্মপ্রকাশ করে। তখন রাজকীয় প্রতীকে গোলাপই থাকে কিন্তু লাল গোলাপের অন্তঃস্থলে সাদা অংশ রাখা হয়।