ইতিহাসের বিভিন্ন যুদ্ধের কিছু হাস্যরসাত্মক ঘটনা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন এই মজার ঘটনাটি ঘটেছিলো ফ্রান্সের এক যুদ্ধের ময়দানে। ব্রিটিশ সৈন্যরা সারাদিন ক্লান্তিকর যুদ্ধের পর তারা রাতের অন্ধকারে শত্রুপক্ষের ক্যাম্প থেকে খাবার চুরি করবার পরিকল্পনা করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন এই মজার ঘটনাটি ঘটেছিলো ফ্রান্সের এক যুদ্ধের ময়দানে। ব্রিটিশ সৈন্যরা সারাদিন ক্লান্তিকর যুদ্ধের পর তারা রাতের অন্ধকারে শত্রুপক্ষের ক্যাম্প থেকে খাবার চুরি করবার পরিকল্পনা করে।
সেইন্ট নিকোলাস পেশায় ছিলেন একজন খ্রিস্টান বিশপ। তার সম্পর্কে কথিত আছে গির্জার পূর্ববর্তী বিশপের মৃত্যুর পর তিনি সকালে প্রার্থনার জন্য সর্বপ্রথম গির্জায় প্রবেশ করেছিলেন, ফলে অন্যান্য পুরোহিতরা তাকে বিশপ হিসেবে নির্বাচন করেন।
মধ্যযুগের ইউরোপে শাস্তি দেবার একটি কুখ্যাত পদ্ধতি ছিলো র্যাক। এই শাস্তি পক্রিয়ায় অপরাধীকে শাস্তি দেবার জন্য প্রথমে একটি কাঠের ফ্রেমে বেধে তারপর হাত ও পা রোলার দিয়ে টেনে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে ফেলা হতো। এই শাস্তিতে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির শরীরের হাড় ভেঙ্গে যেতে, জয়েন্ট ও মাংসপেশি ছিঁড়ে যেতো। অনেক সময় শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই মারা যেতে। অনেকে শাস্তি থেকে বাঁচতে অপরাধ না করেও দোষ স্বীকার করে নিতো। এই শাস্তি মূলত অপরাধ / দোষ স্বীকার করানো ও রাজনৈতিক শত্রুদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হতো।
ঝু ইউয়ানঝাং এর বয়স যখন মাত্র ১৬ বছর তিনি তার মা-বাবা ও ভা-বোনদের হারিয়ে এতিম হয়ে যান। আর তাই বাধ্য হয়ে নানজিংয়ের কাছাকাছি এক মঠে আশ্রয় নেন সেখানে পড়ালেখা করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করেন। মঠে আসার পর তার মাথায় ছাদের আশ্রয় জুটলেও খাবারের জন্য তাকে ভিক্ষা করতে হতো। তবে মঠের এই জীবন বেশিদিন তার স্থায়ী হয়নি। বয়স বিশের কোঠায় পৌঁছানের আগেই তাকে মঠ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল।
প্লেগের আক্রমণে কোনো নারীর স্বামী যদি মারা যেতেন। তাহলে সেই পরিবারের প্রধান হতেন সেই সদ্য বিধবা নারী। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানদের দায়িত্ব ও দেখভালের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের সকল দায়িত্ব এসে পড়তো সেই নারী কাধে। তবে সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী সেই সমস্যাগুলো বিভিন্ন রকম হতো। কোনো অভিজাত বা ধনী সম্প্রদায়ের কোনো নারী বিধবা হলে তিনি প্রচুর সম্পদের অধিকারী হতেন আর গরীব নারীদের ক্ষেত্রে সেই চিত্র ছিলো পুরোপুরি উল্টো।
অ্যাডগার অ্যালান পো অবশ্য দাবি করেন উপন্যাসটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত। কিন্তু তখন তাঁর সমসাময়িক কোনো সমালোচক বা পাঠক পোর দাবিকে সত্য বলে মানতে চাননি। কিন্তু অলৌকিকভাবে বই প্রকাশের ঠিক ৫ বছর পর, উপন্যাসের ঘটনার মতো একটি জাহাজডুবি ঘটে। এমনকি ওই উপন্যাসের একটি চরিত্রের সঙ্গে বাস্তব ঘটনার একজন নাবিকের নামেরও মিল পাওয়া যায়—রিচার্ড পার্কার।
১৫১৮ সালের জুলাই মাসে লেডি ট্রফিয়া (বা ফ্রাউ ট্রফিয়া) নামে একজন মহিলা স্ট্রাসবার্গের (তখন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য, আজকের আধুনিক ফ্রান্স) একটি ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ উম্মাদের মতো নাচতে শুরু করেন। তার নাচ দেখে অনেক দর্শক জমে যায়, সাথে তার নাচের ক্ষমতার প্রশংসাসূচক হিসেবে হাত তালিও দিতে শুরু করেছিলেন।
মধ্যযুগের ইউরোপে আদালতে শুধু মানুষ নয় পশুদেরকেও বিচার করা হতো। এটা শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি। এডমন্ড পি. ইভান্সের “দ্য ক্রিমিনাল প্রসিকিউশন অ্যান্ড ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস” বইতে লেখক লিখেছেন কিভাবে, অর্ধ সহস্রাব্দেরও কম আগে, প্রাণীদের বিচার করা হয়েছিল, উপহাস করা হয়েছিল, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং নির্বাসিত করা হয়েছিল। বেশ কিছু নথিপত্র ঘাটাঘাটি করে দেখা যায় কমপক্ষে ৮৫ টি প্রাণীর বিচার করা হয়েছিলো মধ্যযুগের ইউরোপে।
জার্মানির হ্যামিলন শহরে ইঁদুরের আক্রমণ এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল য়ে তা একপ্রকার মহামারি আকার ধারন করেছিল। আর সেই সময়ে সেই শহরে হাজির হয় হরেক রঙের পোশাক গায়ের এক বাঁশিওয়ালা। শহরের মেয়র তাকে প্রস্তাব দেয় যদি সে শহর থেকে সকল ইঁদুর তাড়াতে পারে তাহলে তাকে ১০০০ স্বর্ণমুদ্রা দেওয়া হবে।
সম্রাট আওরঙ্গজেব শিবাজির প্রাণ বাঁচানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন যদি শিবাজি তার অধীনে থাকা সকল দূর্গ ও তার লুকনো সব ধনসম্পত্তি হস্তান্তর করেন তবে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এই প্রস্তাবের বিপরীতে শিবাজি আওরঙ্গজেবের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেব কে উপহাস করেছিলেন।
ছবিতে ১৯৪৮ সালে আমেরিকার শিকাগোতে এক মা তার চার সন্তানকে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। ছবির ফটোগ্রাফার মহিলার ছবি তুলতে গেছে লজ্জায় বিব্রত হয়ে তিনি নিজের মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন।ছবির এই মহিলার নাম লুসিল চ্যালিফক্স, বয়স মাত্র ২৪ বছর। এই অল্প বয়সের ৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আর ৫ম সন্তানটি গর্ভাবস্থায় রয়েছে। তার স্বামী সদ্য চাকরি হারিয়েছেন। ফলে না খাবার কিনতে পারছিলেন না বাসা ভাড়া দিতে পারছিলেন। আর তাই বাধ্য হয়েই নিজের সন্তানদের বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।
চেঙ্গিস খান তার ২১ বছরে শাসনামলে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল দখল করতে গিয়ে তিনি ও তার সেনাবাহিনী প্রায় ৪০ মিলিয়নের অধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিলেন। তার এতো এতো মানুষ হত্যার ফলে অসংখ্য শহর ও জনবহুল এলাকা মানবশূণ্য হয়ে পড়ে। আর সেসব জনমানবশূণ্য এলাকা ক্রমে ক্রমে গাছপালায় বনজঙ্গলে পরিণত হয়। আর এই সৃষ্টি হওয়া বিশাল বনজঙ্গলের গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন চেঙ্গিস খানের কারনে বায়ুমন্ডল থেকে ৭০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডল থেকে অপসারিত হয়েছিল
প্রাচীণ যে কয়েকটি সভ্যতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয় তার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। অনেক ইতিহাসবিদ বা গভেষক…
দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসটি ১৭ শতকের ফ্রান্সের প্রেক্ষাপটে রচিত। উপন্যাসের শুরু হয় ফ্রান্সের গ্যাসকনের ডার্টানিয়ান নামক এক যুবক ছেলেকে দিয়ে। ডার্টানিয়ান গ্যাসকন ছেড়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার জীবনের উদ্দেশ্য সে রাজার রক্ষীবাহিনী মাস্কেটিয়ার্সের দলে যোগ দিয়ে নিজের জীবনের ক্যারিয়ার গড়বে। আর প্যারিসে এসেই বিভিন্ন ঘটনাবহুল দৃশ্যপটের মাধ্যমে তার বন্ধুত্ব হয় ফ্রান্সের রাজা লুই ত্রয়োদশ এর তিন অনুগত মাস্কেটিয়ার অ্যাথোস, পোর্থোস এবং অ্যারামিসের সাথে।
১৮ শতকের শুরু দিকে রাতের বেলায় লন্ডন শহরে তখনো আলো আসেনি। রাস্তাগুলো ছিলো পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন। ফলে চোর, পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারীদের উপদ্রব ছিলো ভয়াবহ রকমের। রাস্তাঘাটে বখাটে ছেলেদের উপদ্রব ও ছিলো। ফলে ভদ্র ঘরের মেয়েরা রাতের বেলা তো দূর তারা দিনের বেলাতেও রাস্তায় বের হওয়ার সাহস করতো না। রাস্তায় চলাচল করার চেয়ে লন্ডনের মানুষজন জলপথেই যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সকলেই নৌকায় যাতায়াত করতো। নৌকোগুলো তখন বিভিন্ন রঙে সুসজ্জিত থাকতো।