এলিস কাইটেলার: ১৪ শতকের এক আইরিশ ডাইনী
এলিস কিটেলার ১৩ শতাব্দীর শেষ দিক ও ১৪ শতকের শুরুর দিকের একজন কুখ্যাত নারী। তার জন্মসাল সম্ভবত ১২৮০ সালে। এলিস…
এলিস কিটেলার ১৩ শতাব্দীর শেষ দিক ও ১৪ শতকের শুরুর দিকের একজন কুখ্যাত নারী। তার জন্মসাল সম্ভবত ১২৮০ সালে। এলিস…
২৯ মে ১৫৯৩ সালে রিচার্ড বেইন্স একটি রিপোর্ট জমা দেন ক্রিস্টোফার মার্লো সম্পর্কে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিস্টোফার মার্লো শুধু নাস্তিকই নন! তিনি যেখানে যান সেখানেই মানুষকে নাস্তিক হতে প্ররোচিত করেন।
তিনি ১৪২৯ সালে ১০০ বছরের যুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে ব্রিটেনের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন, তাও আবার জগদ্বিখ্যাত জোয়ান অফ আর্কের সহযোদ্ধা হয়ে! এতো সম্মানী একজন মানুষ যখন শিশু হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত হলেন তখন সমগ্র ফান্স ধাক্কা খেয়েছিল।
দ্বিতীয় এলিজাবেথের রানী হওয়ার কথাই ছিলো না। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার অবস্থান ছিলো পিতৃব্য অষ্টম এডওয়ার্ড এবং পিতা ষষ্ঠ জর্জের পরে। কিন্তু রাজপরিবারের একটি ঘটনা সকল সমীকরণ পাল্টে দেয়।
১৯০১ সালে টেসলা টেসলা লং আইল্যান্ডের উত্তর তীরে একটি ১৮৫ ফুট লম্বা, মাশরুম আকৃতির টাওয়ার নির্মাণের জন্য আমেরিকান অর্থলগ্নিকারী জেপি মরগানের থেকে ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার নেন। তার লক্ষ ছিলো বাতাসের মাধ্যমে পুরো শহরে বিদ্যুৎ সেবা দেওয়া। কিন্তু এই টাওয়ারের অর্ধেক কাজ চলার সময় মর্গান অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেন।
জামাতা শরৎকুমার চক্রবর্তীর মোটেও পছন্দ ছিল না যে, শ্বশুর তার বাড়িতে আসেন। জামাইর মনোভাব জেনেও রবীন্দ্রনাথ যেতেন। মেয়ের কাছে গিয়ে বসে থাকতেন। তখন শরৎকুমার চক্রবর্তী টেবিলের ওপর পা তুলে সিগারেট খেয়ে শ্বশুর রবীন্দ্রনাথের প্রতি অপমানকর মন্তব্য করত। আর সে অপমান নীরবে সহ্য করে রবীন্দ্রনাথ দিনের পর দিন মেয়েকে দেখতে যেতেন।
তার লেখা গল্প, উপন্যাস এবং কবিতার মাঝের ভৌতিকতা এবং রহস্যের আবহাওয়া আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই তো তার নাম শুনলেই প্রথমে মাথায় চলে আসে খুন, রহস্যময় কোনো কাক, জীবন্ত কবর এবং মৃত্যুর পর ফিরে আসা অদ্ভুত কোনো মহিলার ছবি।
দরিদ্রতা পেশকভের পিছু ছাড়েনি। এক পর্যায়ে তিনি কাজ নেন একটি রুটির কারখানায়। সেখানে সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত একটানা কাজ করতে হতো। দারিদ্র্যের কষাঘাত আর দিনের পর দিন ঘামঝরা শ্রমের ধকলে মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। জীবন হয়ে পড়ে তার কাছে অর্থহীন। তিক্ত জীবনের অবসান ঘটাতে পিস্তল কেনেন।
২০১২ সালে একটি মার্কিন ওয়েবসাইট, সেলিব্রিটি নেট ওর্থ তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে একটি ধারণা দেয়। তবে অর্থনীতির ইতিহাসবিদরা একমত যে সংখ্যা দিয়ে তাঁর সম্পদের কোন সঠিক ধারণা দেয়া একরকম অসম্ভব।
এডওয়ার্ড মর্ড্রেকের সম্পর্কে প্রচলিত ছিল বিভিন্ন অদ্ভুত গল্প। দ্বিতীয় মুখটি মর্ড্রেকের প্রধান মুখের বিপরীত ছিল। শেনা যায় এডওয়ার্ড যখন দুঃখ ও বিষণ্ণতায় কাঁদতেন, দ্বিতীয় মুখটি তখন হাসতে বা উপহাস করতে পছন্দ করত।
হোমার নামটি একটি গ্রীক শব্দ। যার দুটো অর্থ হতে পারে- অন্ধ ও জিম্মি। এ থেকে ধারণা করা হয় হোমার একজন গ্রীক ক্রীতদাস ছিলেন, যিনি আবার অন্ধও ছিলেন। হোমার অন্ধত্ব নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে, তার মধ্য একটি হচ্ছে কোনো এক শাস্তিস্বরূপ নাকি হোমারের চোখ উপ্রে ফেলা হয়েছিলো। তবে হোমার ঠিক কীভাবে অন্ধ হয়েছেন, তা নিয়ে তেমন কিছু বলতে পারেনি ইতিহাসবিদরা।
বাবা আনুজকা জন্মেছিলেন ১৮৩৮ সালে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ায় (বর্তমান আধুনিক সার্বিয়ায়)। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ অপেশাদার রসায়নবিদ এবং ১৯ শতকের শেষ দিক থেকে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১৫০ জন মানুষ হত্যা করেছিলেন।
১৯৩৮ সালে কোরিয়া তখন জাপান সাম্রাজ্যের অংশ। তখন জাপান সরকার জোর করে১৮ বছর বয়সী ইয়ান কিয়ানজাং কে রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নিযুক্ত করে। যুদ্ধে গিয়ে তিনি ১৯৩৯ সালে রীশিয়ানদের হাতে বন্দী হয় এবং রাশিয়া তাকে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নিযুক্ত করে। এরপর সে জার্মান নাৎসি বাহিনীর কাছে ধরা পড়লে তারা তাকে পাঠায় আমেরিকার বিরুদ্ধে ডি ডে'তে যুদ্ধ করতে এবং সেখানে গিয়েও সে বন্দী হয় আমেরিকানদের হাতে।
সাল্টিকোভার যখন ২৬ বছর অর্থাৎ ১৭৫৫ সালে তার স্বামী মারা যান। পুরো রাজ্য ভার চলে আসে তার উপর। ৬০০ জন ক্রিতদাস-দাসী ছিল তার দেখাশুনার জন্য। পাশাপাশি এত বড় রাজ্যের রানী তিনি। এত সব পেয়ে তিনি তখন খুশিতে উন্মাদ প্রায়। হঠাৎই তার আচরণে পরিবর্তন আসে।
আমেরিকার লুসিয়ানায় ১৯১২ সালে ৪ বছরের ‘ববি ডানবার’ নামের একটি বাচ্চা ছেলে তার পরিবারের সাথে মাছ ধরতে গিয়ে হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দীর্ঘ ৮ মাস পর পরিবার টি তাদের সন্তান কে ফিরে পায়। ১৯৬৬ সালে নাতি-নাতনী রেখে মারা যায় ছেলেটি। ২০০৪ সালে তার নাতনীর উদ্যোগে ডিএনএ টেস্ট করে দেখা যায় তিনি ববি ছিলেন না এমনকি তার সঙ্গে ববির বংশের কোনো সম্পর্ক নেই!