প্রাচীন রোমের ক্রীতদাসদের জীবন
দাসপ্রথার অস্তিত্ব মেসোপটেমিয়াতে প্রায় ৩৫০০ খৃস্টপূর্বে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে অধিকাংশ এলাকাতেই দাসপ্রথার প্রচলন…
দাসপ্রথার অস্তিত্ব মেসোপটেমিয়াতে প্রায় ৩৫০০ খৃস্টপূর্বে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে অধিকাংশ এলাকাতেই দাসপ্রথার প্রচলন…
প্রাচীন রোমের মানুষরা পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে ভয় পেতো। শুধু ভয়ই পেতো না কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই রোমানরা টয়লেট থেকে জীবিত বের হওয়ার জন্য যাদু মন্ত্র পাঠ করতো।
সৃষ্টির শুরু থেকেই টাক পড়া নিয়ে পুরুষদের উদ্বেগ ছিল। এমনকি ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান পুরুষরাও টাক থেকে রেহাই পাননি। উদাহরণস্বরূপ, জুলিয়াস সিজার তার চুলের অভাব লুকানোর জন্য তার মাথায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফ্রান্সের লুই চতুর্দশ পরচুলা তৈরি করার জন্য নিজের একটি ছোট বাহিনী তৈরি করেছিলেন যাতে নিজের টাক লুকিয়ে রাখতে পারেন।
সম্রাট ক্যালিগুলা তিনি ঘোড়ার রেসে বাজি ধরতেন যদি তার বাজি ধরা ঘোড়া হেরে যেতো তাহলে তিনি খেলা শেষে নিজের বাজি ধরা ঘোড়া ও চালক কে হত্যা করে সেই জায়গা ত্যাগ করতেন।
বিশ্বসভ্যতায় এক বিস্ময়কর নাম রোমান সভ্যতা। কিন্তু সেই গৌরবময় সভ্যতায় কেবল পুরুষেরই জয়জয়াকার। কিন্তু কেমন ছিল রোমান সভ্যতার নারীরা? কেমন…
ধনী মহিলারা তাদের ত্বকে যত্নের সাথে দুধ ব্যবহার করতো, অনেক ধনী নারীরা আবার দুধ দিয়ে স্নান ও করতো। দুধে ত্বক সৌন্দর্য করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে কথিত আছে তাই সেসব কথা তারা সহজেই বিশ্বাস করতো। প্রাচীন রোম কিংবদন্তি অনুসারে, সম্রাট নিরোর স্ত্রী পপ্পা সাবিনা এত বেশি পরিমাণে দুধ ব্যবহার করতেন যে যখনই তিনি ভ্রমণ করতেন তখন গাধার একটি বাহিনী তার সাথে থাকত। বলা হয় যে তিনি দুধ এবং ময়দাযুক্ত তার নিজস্ব একটি রেসিপি তৈরি করতেন যা তিনি তার ত্বকে উপর প্রচুর পরিমানে প্রয়োগ করতেন।
প্রাচীন রোমের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক শাস্তিদান প্রথা ছিলো ক্রুশে বিদ্ধ করে একজন অপরাধীকে মেরে ফেলা। তবে সবসময় যে তাকে হাতে-পায়ে পেরেক আটকিয়ে মারা হতো, তা কিন্তু না। বরং একেক জল্লাদ একেক পদ্ধতি অবলম্বন করতো। এখানে যেন তারা প্রতিযোগিতা দিয়ে একে অপরের চেয়ে বেশি সৃজনশীলতা দেখাতে চাইতেন।
প্রাচীন রোম নগরীতে রাস্তায় যাতায়াত করা ছিল এক ঝক্কির ব্যাপার। রোম ছিল দ্রুত বর্ধনশীল নগরী। তাই এ শহরের রাস্তাঘাট ছিল মাকড়সার জালের মতো সর্বত্র এলোমেলোভাবে ছড়ানো। অনেক রাস্তাই কাঁচা ছিল।
সেই সময়েও মদ ছিল পার্টিতে একটা বড় ব্যাপার স্যাপার। বিশেষ করে যখন সমাজের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ সেই নৈশভোজে উপস্থিত থাকতেন। মদ ছিল সেসব লোকদের জন্য মর্যাদার প্রতীক।
রোমান ক্যালেন্ডারের ১২ মাস এবং ৩৫৫ দিন ছিল। রোমানরা জানত যে সৌর বছর ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা দীর্ঘ, তাই তাদের অধিবর্ষ (২ বছর পর অধিবর্ষ হতো তখন) কে সৌর বছরের সাথে মেলাতে অতিরিক্ত ২২/২৩ দিন যোগ করতো। ফলস্বরূপ, রোমান ক্যালেন্ডারো বছরের দিন সংখ্যা হতো ৩৫৫ দিন, ৩৭৭ বা ৩৭৮ দিন।
কোনো বাবা মন চাইলে তার পরিবারকে হত্যা করতে পারতো, এর জন্য কোনো বিচার হতো না। এমনকি রোমান পিতারা তার সন্তানদের বড় হওয়ার পরেও এই অধিকারগুলি ধরে রেখেছিলেন!
প্রাচীন রোমের শাসনব্যবস্থা সিনেটের মাধ্যমে চালানো হতো। সিনেট হলো শহরের ধনী আর বিখ্যাত পরিবারের কিছু সদস্য নিয়ে গঠিত একটি দল। রোম যখন ছোট একটি শহর ছিল তখন এই সিনেট পদ্ধতি বেশ সফলভাবে কাজ করত। কিন্তু এবারে হাজার মাইল বিস্তৃত রাজ্যের পরিচালনায় সিনেট খুব সহজেই ব্যর্থ ব্যবস্থা হিসেবে প্রমাণিত হলো। সিনেটের সদস্য, যারা বেশির ভাগই ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত, দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা অর্থ আত্মসাৎ করছিলেন তারা নতুন সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেননি।
ইতিহাসের লিপি অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ৭৫৩ সালে ইতালির টিবার নদীর পাশে ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে রোমের উত্থান শুরু হয়, যা খ্রিস্টের জন্মের ৭৫৩ বছর আগে, অবশ্যই পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্টের আবির্ভাবের আগে।