প্রাচীন মিশরের মানুষের জীবন
প্রাচীণ যে কয়েকটি সভ্যতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয় তার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। অনেক ইতিহাসবিদ বা গভেষক…
প্রাচীণ যে কয়েকটি সভ্যতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয় তার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। অনেক ইতিহাসবিদ বা গভেষক…
প্রাচীন ইতালির ইতিহাসবিদ ডিওডোরাস সিকুলাসের (৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) গল্প অনুসারে, রোমের একজন মানুষ মিশর ভ্রমণের সময় একটি বিড়াল হত্যা করেছিলেন। আর এই অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। তখন মিশরে বিড়াল হত্যা করা একটি ভয়ঙ্কর অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হত।
প্রাচীন মিশরে প্রায় ২,০০০ এর বেশি দেব দেবীর পূজা করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে একজন দেবতা এক জায়গায় খুব বেশি জনপ্রিয় থাকলেও আরেক জায়গার মানুষের কাছে ছিলেন একেবারেই অপরিচিত নাম। আবার অনেক সময় দেবতা ছিলেন স্বয়ং মিশরের ফারাও নিজেই!
সৃষ্টির শুরু থেকেই টাক পড়া নিয়ে পুরুষদের উদ্বেগ ছিল। এমনকি ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান পুরুষরাও টাক থেকে রেহাই পাননি। উদাহরণস্বরূপ, জুলিয়াস সিজার তার চুলের অভাব লুকানোর জন্য তার মাথায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফ্রান্সের লুই চতুর্দশ পরচুলা তৈরি করার জন্য নিজের একটি ছোট বাহিনী তৈরি করেছিলেন যাতে নিজের টাক লুকিয়ে রাখতে পারেন।
বিড়াল মিশরের সমাজে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করত। যে কারণে বিড়ালকে তারা শিল্পে স্থান দিয়েছিল, মর্যাদা দিয়েছিল দেবতার, মৃত্যুর পর এমন কী বিড়ালের মমিও করা হত। বিড়াল কৃষিক্ষেত্রের অনিষ্টকর জীবজন্তু থেকে রক্ষা করত। এ কারণে মিশরবাসী বিড়ালের প্রশংসা করত। বিড়াল সাপও মারতে পারত ; বিশেষ করে বিষধর গোক্ষুর। এভাবে বিড়াল প্রাচীন মিশরে সুখ ও শান্তির প্রতীক হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে প্রাচীন মিশরে বিড়ালদেবীর পূজাও আরম্ভ হয়- যা প্রায় ২০০০ বছর টিকেছিল। বিড়ালের দেবীর নাম ছিল বাস্ট বা বাসটেট।
প্রাচীন মিশরে ফেরাউনদের সৃষ্টিকর্তা মানা হতো। তারা সবসময় জমকালো ভোজনবিলাসে ডুবে থাকতো, তারা কখনোই ব্যায়াম করতো না।