শওকত ওসমান এর উক্তি : ১৫ টি বিখ্যাত উক্তি
অনাবিল হাসি হচ্ছে ভাল কথারই শারীরিক রূপ আর যারা ভাল কথা বলতে পারে তারা ভাল হাসতে ও পারে হাসি আর কথার মূল উৎস একই জায়গা।
অনাবিল হাসি হচ্ছে ভাল কথারই শারীরিক রূপ আর যারা ভাল কথা বলতে পারে তারা ভাল হাসতে ও পারে হাসি আর কথার মূল উৎস একই জায়গা।
আমি আবিষ্কার করলাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেশী বিক্রি হয়ে যায় সিগারেট ও বিড়ি। অবাক হয়ে ভাবতাম, গরিব মানুষেরা তাদের কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ এভাবে ধোঁয়া গিলে উড়িয়ে দেয় কেন।
শাস্ত্রের অর্থ না বুঝিয়া অথবা ভুল অর্থ বুঝিয়া কিংবা অভিপ্রেত সিদ্ধির নিমিত্ত স্বেচ্ছানুরূপ অর্থান্তর কল্পনা করিয়া, শাস্ত্রের দোহাই দিয়া যথেচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিধবাকাণ্ড বৈধ বলিয়া প্রচার করিলে নিরপরাধ শাস্ত্রকারদিগকে নরকে নিক্ষিপ্ত করা হয়।
তুমি ভাবছ মেঘ করেছে, বৃষ্টি পড়বে অনেকক্ষণ। আসলে তো মেঘ করেনি মন খারাপের বিজ্ঞাপন!
মহাবিশ্বের সবকিছুর মাধ্যমেই খোদাকে চিনতে পারবে, কারন খোদা মসজিদ, মন্দির বা গীর্জাতে সীমিত নন, তবুও যদি জানতে চাও সে (খোদা) আসলে কোথায় বাস করে; তবে তাকে খোজার একটি মাত্র জায়গাই আছে। তা হল একজন প্রকৃত প্রেমিকের হৃদয়। ~ শামস তাবরিজি
নিম্নশ্রেণীর দেহব্যবসায়িনী রূপ- পসারিনী তাহারা, দেহ ও রূপ লইয়া তাহাদের অহঙ্কার আছে, কিন্তু সে শুধু অহঙ্কারই-জীবনের মর্যাদা নয়। কারণ তাহাদের দেহ ও রূপের অহঙ্কারকে পুরুষেরা আসিয়া অর্থের বিনিময়ে পায়ে দলিয়া চলিয়া যায়। পুরুষের পর পুরুষ আসে। দেহ ও রূপকে এতটুকু সম্ভ্রম করে না, রাক্ষসের মত ভোগই করে, চলিয়া যাইবার সময় উচ্ছিষ্ট পাতার মত ফেলিয়া দিয়া যায়।
যাহার অনেক আছে সে যে অনেক দেয় বলিয়াই লোকে তাহার কাছে আনাগোনা করে তাহা নহে — সে কিছু না দিলেও মানুষের লুব্ধ কল্পনাকে তৃপ্ত করে।
একটি ক্ষুধার্ত পেট, একটি খালি পকেট, একটি ভাঙা হৃদয় যা শিক্ষা দেয়, পৃথিবীর কোন বই সেই শিক্ষা দিতে পারবে না।
সব আলো নিভে যাক আঁধারে শুধু জেগে থাক ঐ দূরের তারারা সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায় শুধু জেগে যাক ঐ সাগর আমার পাশে.. আহাহা আহাহা.. আহাহা..
মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।
যখন আমি মৌলিক কোনো গল্প লিখি তখন আমি এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে লিখি যাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং এমন পরিস্থিতির কথা লিখি যার সঙ্গে আমি পরিচিত। আমি ১৯ শতকের কোনো গল্প লিখি না।
বাঙালি সমালোচনা সহ্য করে না; নিজেকে কখনো সংশোধন করেনা। নিজের দোষত্রুটি সংশোধন না করে সেগুলোকে বাড়ানোকেই বাঙালি মনে করে সমালোচনার যথাযথ উত্তর॥ —হুমায়ুন আজাদ।
অনেকদিন পরে এখন ধুম পড়িয়া গিয়াছে ধর্ম প্রচারের । চারিদিকে দেখিতেছি, কত তবলীগ’ সমিতি কত ইশাআতে ইসলাম সমিতি। খালি কথা, কথা, কথায় জগৎ ভুলে না। জগৎ কাজ চায়। মরিবার পর স্বর্গের অনন্ত সুখের আশায় মানুষ পৃথিবীর নিত্য নরক যন্ত্রণা ভুগিতে পারে না।
বাঙালির স্বভাব হল যা পছন্দ হবে না তা এড়িয়ে যাওয়া। আমাদের বাবা-ঠাকুরদা যদি কোনও ভুল করে থাকেন তাহলে কেন তার সমালোচনা করতে পারব না। সমালোচনা মানে তো অশ্রদ্ধা নয়। ~সমরেশ মজুমদার (আকাশে হেলান দিয়ে)
আমি অন্য কারও মতো নই। তবে আমি বিশ্বাস করি, অন্যদের চেয়ে ভালো না-হতে পারি- তবে, আলাদা।