বেলি গানেস: যার পেশা ছিল স্বামী ও সন্তানদের হত্যা করা
বেলি গানেজ নরওয়েজিয়ান বংশদ্ভূত মার্কিন মহিলা সিরিয়াল কিলার বেলি গানেসের পেশা ছিলো বিয়ে করা এবং তারপর তার স্বামীদের হত্যা করা।…
বেলি গানেজ নরওয়েজিয়ান বংশদ্ভূত মার্কিন মহিলা সিরিয়াল কিলার বেলি গানেসের পেশা ছিলো বিয়ে করা এবং তারপর তার স্বামীদের হত্যা করা।…
স্রষ্টা যাকে প্রতিভা দান করেন তাকে গড়ে তোলেন একান্ত নীরবে ও নিভৃতে। কত গরীব, বংশ মর্যাদায় ছোট মানুষজনকে টেনে তুলেছেন…
সারা ইউরোপে প্রায় ১২,০০০ ডাইনি বিচারের ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় ৪০০০০ থেকে ১০০০০০ লোক এসব বিচার সম্পাদন করেছিল। ১৮ শতকে এ ধরনের অভ্যাস কমে যায়। ইংল্যান্ডে শেষ ডাইনি শিকারের ঘটনা ঘটেছিল ১৬৮২ সালে। ১৭১২ সালে জ্যানি ওয়েনহ্যাম ছিল প্রথাগত ডাইনি বিচারের শেষ ঘটনা যেখানে সে ক্ষমা চায় তার কৃতকর্মের জন্য ও মুক্তি পায়।
পরিবারের অর্থ যোগাতে হিমশিম খেতে খেতে ১৯২০ সালে ম্যারি অ্যান বিভানের অর্থ উপার্জনের অদ্ভুত একটি সুযোগ পেয়ে যান। ১৯২০ সালে লন্ডনে একটি অদ্ভুত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতাটি ছিল সবচেয়ে কুৎসিত নারীতে প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতা! আর এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর জন্য বেশ বড় রকমের অর্থ পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ম্যারি অ্যান বিভান সন্তানদের কথা ভেবে নিজের ও পরিবার সম্মান বিসর্জন দিয়ে সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। আর তার নামের সাথে উপাধি যুক্ত করা পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত মহিলা!
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ইউজিন। তলস্তয় ইউজিনকে নিজেকে কল্পনা করেই সৃষ্টি করেছেন। ইউজিন জমিদারের ছেলে শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা। আইনে সে স্নাতক করেছে। বাবার মৃত্যুর পর সে তার বাবার জমিদারির ভার নেয়। ইউজিনরা ২ ভাই বড় ভাই সৈনিক, বছরে ২ মাসের জন্য আসে, বাকি সময় যুদ্ধের ময়দানে।
বিজ্ঞান জগতের ডিটেকটিভ হবার পাশাপাশি অপরাধ জগতেরও এক দুর্ধর্ষ ডিটেকটিভ ছিলেন, সেটা আমরা ক’জনে জানি? তিনি ছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা শার্লক হোমসের বাস্তবরূপ, কিন্তু শার্লক চরিত্রটা তৈরির ২০০ বছর আগেই তিনি দুঁদে গোয়েন্দা হিসেবে পদচারণা করে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মাটিতে। চলুন জেনে নেয়া যাক, নিউটনের আরেক রূপ ‘শার্লক নিউটন’ সম্পর্কে।
ইংল্যান্ডের গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে শেলীর জন্ম হয়েছিল। তার পিতা ছিলেন খুবই আদর্শবাদী। আপন গৃহের মধ্যে বোনদের সঙ্গে শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল শেলীর। তারপর ইটন স্কুলে। সেখানে শেলীর অভিজ্ঞতা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। কোনোরকম জোরজুলুমের প্রতি তিনি ছিলেন বিরোধী। স্কুল শিক্ষকের হাতের বেতকেও তিনি ঘৃণা করতেন। তিনি আর সব ছাত্রদের থেকে একটু স্বতন্ত্র ধরনের ছিলেন। তাই শেলীর সঙ্গে তাদের বনিবনা ছিল না।
জন কীটস এর জন্ম লন্ডনে, তাও আবার সোয়ান ও হুপইন আস্তাবলের মধ্যে। কীটসের বাবা টমাস কীটস ছিলেন প্রথমে ভাড়াটে ঘোড়ার আস্তাবলের কর্মচারী, পরে সেই আস্তাবলের মালিকের কন্যা জেনিংসকে বিবাহ করে সেই ব্যবসায়ের মালিক হয়ে যান। কীটস রা চার ভাই , এক বোন। একভাই শৈশবে মারা যায়। কীটসের বাবার আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো ছিল এবং অবস্থাপন্নই ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন যে ছেলেদের লেখাপড়ার জন্য তাদেরকে হ্যারোতে পাঠাবেন কিন্তু তা হলো না। এনফিল্ড - এর একটা নামকরা স্কুলে ছেলেকে ভর্তি করে দিলেন। এখানে প্রধান শিক্ষকের ছেলে চার্লস কাউনডেন ক্লার্ক এর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচয় ঘটে। কাউনডেন ক্লার্ক ছিলেন একজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি কীটসের মনে কবি কল্পনা বা কাব্য রচনা ও আস্বাদনের প্রেরণা জুগিয়ে দেন।
প্রাথমিকভাবে কেলগস দম্পতি ৫ বছর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু ৯ মাসের মাথায় তা হঠাৎ বন্ধ করে দেয়। কেনো বন্ধ করেছিল কেলগস দম্পতি তা স্পষ্টভাবে বিশ্বকে জানায় নি। কিন্তু ধারণা করা হয় যে গুয়া হয়তো ডোনাল্ডের জন্য শারীরিকভাবে খুব বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন যে তারা ভয় পেয়েছিলেন যে গুয়া হয়তো ডোনাল্ডের ক্ষতি করতে পারেন।
পহেলা এপ্রিল সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘এপ্রিল ফুলস ডে’। এই দিনের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে নিজের আশেপাশের মানুষদের সাথে প্রাঙ্ক করা মানে বোকা বানানো। তবে বোকা বানানোর এই পশ্চিমা সংস্কৃতি নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্প গুলো মোটেই সত্যি নয়।
রোমানরা এই পানীয় পছন্দ করতো। এই মদের তিনটি ধরন ছিল একটি শুষ্ক, একটি মিষ্টি আরেকটি হালকা। এই ওয়াইনটি একটি শক্তিশালী হোয়াইট ওয়াইন ছিল যা এখন মাউন্ট ম্যাসিকো অঞ্চলে পাওয়া আঙ্গুর থেকে তৈরি হয়েছিল। আঙ্গুরের মৌসুম শেষে তারা সেগুলো সংগ্রহ করে রোদে শুকাতো। তারা মনে করতো আঙ্গুর গুলো শুকালে তার স্বাদ বেড়ে যাবে পানীয় তৈরির সময়।প্রাচীন রোমে এই পানীয় এই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, কিছু লোক বাজারে নকল পানীয় ফ্যালারিন ওয়াইনের নাম করে চালিয়ে দিয়েছিল। এমনকি রেমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারকে স্পেনে তার বিজয়ের উদযাপন হিসাবে এই ওয়াইনটির ব্যবহার করেছিলেন।
উপন্যাসের শুরু হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজের আমন্ত্রণে তার উপজাতি প্রজাদের যাত্রাপথের বর্ণনা দিয়ে। ত্রিপুরার রাজা বীরচন্দ্র মানিক্য। যার রূপকথার রাজাদের মতো অনেক রাণী,কাছুয়া প্রাসাদ ষড়যন্ত্র সবকিছু আছে। তবে তিনি বাংলা সাহিত্যের সমাঝদার এবং কবি। তার জীবনাচরণ,রাজ্য,সাহিত্য বোধ সবকিছু খুব গোছালো ভাবে উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। রাজা বীরচন্দ্র মানিক্যের পাটরানির মৃত্যুর পর তার শোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে নবীন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ভগ্নহৃদয়। রাজা খুশি হয়ে শাল-দোশালা পাঠান নবীন কবিকে। এখান থেকে উপন্যাসের কাহিনী চলে যায় ঠাকুর পরিবারে। যেখানে নবীন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেদের প্রেস থেকে বই ছাপায় কিন্তু বিক্রি হয়না কিছুই। দেখা মেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবীর। ব্যাক্তিত্বময়ী বাঙালি নারীর আধুনিক জীবনযাত্রার অগ্রদূত রবির মেজবৌঠানের। উঠে আসে জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষটির কথা,যিনি স্ত্রীর কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর পর একেবারে চলে যান পর্দার আড়ালে।
বইটিতে গুনি লেখক আহমদ ছফা তার গুরু জাতীয় অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারের জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। যদিও তাদের সম্পর্কটা একটি নাটকিয়তার মধ্যদিয়ে শুরু হয় তবে তা আর শেষ হয়ে উঠেনি এই বইটিই যার প্রমান।
গল্পের শুরুতেই ঘুম ভাঙার পর নবনী জানতে পারে আজ রাতে তার বিয়ে! হঠাৎ করে বিয়ের কথা শুনে যে কারোরই হকচকিয়ে ওঠার কথা। কিন্তু নবনী স্তম্ভিত হয় না কেননা তার জীবনে এমন এক অতীত রয়েছে, যার কারণে কোনো পাত্রপক্ষই তার সাথে তাদের ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হন না। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে নবনীর বড় মামা তার জন্য এক পাত্রপক্ষকে রাজি করাতে সক্ষম হন। পাত্রের নাম নোমান। নোমান অত্যন্ত সহজ-সরল। সে তার বন্ধু সফিকের অফিসে ছোটখাটো একটা চাকরি করে। নোমানের সরলতা ও নবনীর প্রতি তার যত্ন ও ভালোবাসা দেখেই নবনী ধীরে ধীরে তাকে পছন্দ করতে শুরু করে।
চন্দ্রাবতী ষোড়শ শতাব্দীর কবি এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি মহিলা কবি । এই বিদূষী নারী অন্যান্য কাব্য ছাড়াও পিতার আদেশে বাংলা ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে , মৈয়মনসিংহ গীতিকার এক কবি নয়ানচাঁদ ঘোষ চন্দ্রাবতী চরিতকথা রচনা করেন। তবে জয়নন্দের গ্রাম সুন্ধা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত পাতুয়াইর/ পাটোয়ারী গ্রাম আজও আছে। কিশোরগঞ্জ শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। আর আছে ফুলেশ্বরী নদীর ধারে চন্দ্রাবতীর পূজিত শিব মন্দির।