আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি মূলত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের দুটি স্তম্ভের একটি) এবং ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র, E = mc2 ( যা “বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সমীকরণ” হিসেবে খেতাব দেওয়া হয়েছে ) আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত।
চলুন আজ জীবন সম্পর্কে তার গুটিকয়েক উক্তি জেনে নিন। এগুলো বেশ মজার, কিন্তু গভীর অর্থপূর্ণ।
১
একজন সুন্দর, আকর্ষণীয় রমণীর পাশে ২ ঘণ্টা বসে থাকুন, দেখবেন সময় উড়ে চলে গেছে। এবার গ্রীষ্মের গরমের মাঝে রাস্তায় ২ মিনিট হাঁটুন, মনে হবে আপনি অনন্তকাল ধরে হাঁটছেন!
২
আমি সবসময়ই পরীক্ষার বিরোধীতা করি। পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহকে মেরে ফেলে। শিক্ষার্থীর জীবনে কোন ভাবেই দুইটির বেশি পরীক্ষা দেওয়া উচিত নয়। আমি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিনার আয়োজন করতাম। শিক্ষার্থীরা যদি মনোযোগ দিয়ে শুনতো তা হলেই আমি তাদের ডিপ্লোমা দিয়ে দিতাম।
৩
এই পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস; কিন্তু আপনি যদি ১ টি মাছকে তার গাছ বেয়ে উঠার সামর্থ্যের উপর বিচার করেন তাহলে সে সারা জীবন নিজেকে শুধু অপদার্থই ভেবে যাবে।
৪
স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা থাকে; তাই হলো শিক্ষা।
৫
যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি।
৬
সফল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার থেকে বরং মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো।
৭
যেখানে বিজ্ঞান শেষ সেখানে দর্শন শুরু, যেখানে দর্শন শেষ সেখানে ধর্ম শুরু।
৮
বাস্তবতা নিছক একটি বিভ্রম, যদিও এটি খুব স্থায়ী।
৯
আমি ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করিনা। এটা আসে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি।
১০
যদি আমাকে একটি সমস্যা সমাধানের জন্য এক ঘন্টা বেঁধে দেয়া হয়, আমি ৫৫ মিনিট সমস্যাটা নিয়ে চিন্তা করি এবং বাকি ৫ মিনিট সমাধানটা নিয়ে চিন্তা করি।
১১
যেকোন বুদ্ধিমান বোকা জিনিষকে বড় করতে পারে, আরো জটিল, এবং আরও তীব্র। এটি একটি প্রতিভাকে স্পর্শ করে, এবং সাহস অনেকটা বিপরীত দিকে অগ্রসর হয়।
১২
আমাদের রহস্যময়তার পরীক্ষণে প্রাপ্ত সবচেয়ে সৌন্দর্যময় জিনিসগুলো হলো শিল্প, বিজ্ঞান এবং বন্ধুত্ব।
১৩
শুধু আইন দিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা যায় না, দরকার সহনশীলতা।
১৪
ভালোবাসায় পতনের জন্য কোনোভাবেই আমরা মহাকর্ষ-অভিকর্ষকে দায়ী করতে পারি না।
১৫
আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি।
১৬
মহৎ ব্যক্তিরা সব সময় ভয়ানক বাধার সম্মুখীন হয় সংকীর্ণ চিন্তার মানুষদের কাছে থেকে।
১৭
আপনাকে আগে খেলার নিয়মটি শিখতে হবে, তারপরেই আপনি অন্যদের চেয়ে ভাল খেলতে পারবেন।
১৮
আমি চিন্তা করেছি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। আমার চিন্তাগুলো ৯৯ বারই ভুল হয়েছে, তবে শততম বারে আমি সফল হয়েছি।
১৯
আমি সবসময়ই পরীক্ষার বিরোধিতা করি। পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহকে মেরে ফেলে। শিক্ষার্থীর জীবনে কোন ভাবেই দুইটির বেশি পরীক্ষা দেওয়া উচিত নয়। আমি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিনার আয়োজন করতাম। শিক্ষার্থীরা যদি মনোযোগ দিয়ে শুনতো তা হলেই আমি তাদের ডিপ্লোমা দিয়ে দিতাম।
২০
কেউ ভুল করে ফেললে, সবার সামনে তাকে তিরস্কার না করে, আলাদাভাবে তাকে বলে শুধরে নেয়ার সুযোগ দিন।
২১
যে কখনো ভুল করেনি সে কখনো নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেনি।
২২
আপনি যদি অন্যদের অনুসরণ করে তাদের সাহায্য নিয়ে চলতে থাকেন তবে হয়তো একদিন তার জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি নিজের পথটা নিজেই তৈরি করে চলেন তাহলে হয়তো এমন এক সাফল্যমণ্ডিত যায়গায় পৌঁছবেন যেখানে আজ পর্যন্ত কেউই পৌঁছাতে পারেনি।
২৩
শান্তি কখনোই শক্তি প্রয়োগ করে আনা যায় না, সেটি একমাত্র সম্ভব হয় বোঝাপারার মাধ্যমে।
২৪
স্কুল থেকে জ্ঞানার্জনের পর ভুলে যাওয়ার পর যেটা মনে থাকে সেটাই হলো শিক্ষা।
২৫
অভিজ্ঞতাই হলো জ্ঞানের একমাত্র উৎস।
২৬
বুদ্ধিমত্তার পরিচয় জ্ঞানে নয় কল্পনাশক্তিতে।
২৭
যেকোনো যুক্তি আপনাকে A থেকে B পর্যন্ত নিয়ে যাবে কিন্তু কল্পনাশক্তি আপনাকে সব জায়গাতেই নিয়ে যাবে।
২৮
সাফল্যবান মানুষ না হয়ে বরং মূল্যবান মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
২৯
গতকাল থেকে শিখুন, আজকের দিনতাকে নিয়ে বেঁচে থাকুন, আশাটা আগামীকালের জন্যে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রশ্ন করা থামাবেন না।
৩০
জগদীশচন্দ্র যেসব অমূল্য তথ্য পৃথিবীকে উপহার দিয়েছেন তার যে কোনটির জন্য বিজয়স্তম্ভ স্থাপন করা উচিত।