আর আসবো না বলে
দুধের ওপরে ভাসা সর
চামোচে নিংড়ে নিয়ে চেয়ে আছি।
বাইরে বৃষ্টির ধোঁয়া
যেন সাদা স্বপ্নের চাদর
বিছিয়েছে পৃথিবীতে।
কেন এতো বুক দোলে?
আমি আর আসবো না বলে?
যদিও কাঁপছে হাত তবু ঠিক অভ্যেসের বশে
লিখছি অসংখ্য নাম
চেনাজানা সব কিছুর।
প্রতিটি নামের শেষে, আসবো না।
নদী, আমি আসবো না
পাখি, আমি আসবো না
নারী, আমি আসবো না।
আর আসবো না বলেই মিছিলের প্রথম পতাকা তুলে নিই হাতে।
আর আসবো না বলেই
জাগিয়ে তুলি মানুষের ভেতরে মানুষ,
কথার ভেতরে কথা,
গেঁথে দেওয়া, কেন?
আসবো না বলেই।
সুখ , আমি আসবো না।
দুঃখ , আমি আসবো না।
প্রেম , হে কাম , হে কবিতা আমার
আমি আর আসবো না।
আজ বিদায়ের বিষণ্ণ রুমালে
কে তোলে অক্ষর কালো
আসবো না।
নদী , আমি আসবো না ।
পাখি , আমি আসবো না ।
সুখ , আমি আসবো না ।
দুঃখ , আমি আসবো না । ( ২ )
এ শহর দেয়নি কিছুই ফুলদানি ছাড়া,
নেই সুবাসিত গোলাপ অথবা কোনো স্নিগ্ধ জলের ধারা,
তবুও ফের ফিরে আসে সেইসব দুপুর
দুটি কিশোরীর হাতে তিনটি কুকুর !
আমাদের চারপাশের নানা ভীড়ে
ফিরেছে কত মানুষ তাড়া নিয়ে ,
জলে নুয়ে পড়া বৃক্ষতলে দুজনার ছিলনা কোন তাড়া,
এ শহর আমাকে দেয়নি কিছুই শুধু তোমাকে ছাড়া ! ( ২ )
আধার ছিন্ন করে তুমি মেলে দিলে দুহাত
কি করে আমি বলো যাবো তোমার কাছে ?
যেভাবে পরগাছা জন্মায় সুউচ্চ বৃক্ষ চূড়ায় ? তবুও ভালোবেসে পরগাছাকে কেউই বলেনি বৃক্ষ,
অনেক কষ্ট অভিমান নিয়ে তুমিও চলে যাবে জানি।
দুহাতে চোখ মুছে রৌদ্রের কাছে আমি রাখিনি কোন চাওয়া ,
এ শহর পারবেনা ঠেকাতে জানি তোমার চলে যাওয়া । ( ২ )
এ শহর আমাকে দেয়নি কিছুই শুধু তোমাকে ছাড়া । ( ৪ )