রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ – ২১ জুন ১৯৯১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি কবি ও গীতিকার। তার জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম “বাতাসে লাশের গন্ধ”। এই কবির স্মরণে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মোংলার মিঠেখালিতে গড়ে উঠেছে “রুদ্র স্মৃতি সংসদ”।
১#
আঁকড়ে থেকো না কিছু।
যে যাবার তাকে যেতে দাও
যে ফেরার সেতো ফিরবেই..
২#
এমন কি ভালোবাসাও
ইদানীং আমাকে আর
ভালোবাসে না।
৩#
চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয় ,
বিচ্ছেদ নয় ,
চলে যাওয়া মানেই নয় বন্ধন ছিন্নকরা আর্দ্র রজনী ।
চলে গেলে আমারো অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না থাকা জুড়ে…
____রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
৪#
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন্য হতে পারে,,
সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন্য হতে পারে,,
তবুও ভালোবাসা থেকে যায়,,
হয়তো আক্ষেপে
নয়তো অপেক্ষায়।
—-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৫#
আমি একা
এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মত আমি একা।
৬#
কে থাকে এমন একলা থাকায়
কে ডাকে অমন নিরব ডাকায়।
৭#
যুবতী বুক থেকে ঝলমলে তলপেট উলঙ্গ কোরে
বিনিময়ে দুখানা ঝলসানো রুটি নিলো।
৮#
বাড়াই তৃষ্ণার হাত ফিরে আসে শূন্যতাকে ছুঁয়ে।
৯#
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন – সুতো ধ ’রে ,
আমি শুধু যাই দূরে।
১০#
নিদ্রার বুকে মাথা রেখে জেগে আছি আজো
অনিদ্রা মিশে গেছে বুকের রক্তে।
১১#
দূরত্ব জানে শুধু একদিন খুব বেশী নিকটে ছিলাম,
১২#
না-পাওয়া ব্যথার আছে উদ্ধার,
পাওয়ার বেদনা প্রতিকারহীন ।
১৩#
এমন কি ভালোবাসাও
ইদানীং আমাকে আর
ভালোবাসে না।
১৪#
কী ভয়ংকর এই একাকীত্ব!
কী নির্মম এই বান্ধবহীনতা!
কী বেদনাময় এই বিশ্বাসহীনতা!
১৫#
এবং জন্ম মানেই মৃত্যুর প্রতি অমােঘ যাত্রা
১৬#
প্রেম দুর্বোধ্য, নারী দুর্বোধ্য
এবং তুমিও তোমার
প্রেমের মতোই দুর্বোধ্য।
১৭#
মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায় । আগে হতোনা
ভুলবশত অনেক ভুল হয় ইদানিং আমার ।
১৮#
দিচ্ছো ভীষন যন্ত্রনা
বুঝতে কেন পাচ্ছ না ছাই
মানুষ আমি, যন্ত্র না।
১৯#
নীলাকে কখনো নীল শাড়ি পরতে দেখিনি।
২০#
হয়েছো গোপন ঘুন, শাঁস কাটো লুকায়ে ভেতরে –
পুড়ে মরি, কেমনে গো আমি তারে বাইরে দ্যাখাবো!
২১#
নিজের কাছে নিজেই আমি
প্রশ্নবোধক রেখা !
২২#
প্রত্যেকের বুকের নিভৃতে কিছু দগ্ধ ক্ষত থাকে লুকানো ,
কিছু অসম্পূর্ণ নির্মান , ভাংগাচোরা গেরস্হালি ঘরদোর ,
প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু নিদ্রাহীন রাত্রি থাকে
যাকে চিরদিন নষ্ট নোখের মতো রেখে দিতে হয় কোমল অনিচ্ছার বাগানে
যাকে শুধু লুকিয়ে রাখাতেই সুখ , নিজের নিভৃতে রেখে
গোপনে পোড়াতেই একান্ত পাওয়া ।
২৩#
দুটি চোখ মনে আছে, আর কিছু নেই…
২৪#
আমার বয়স যেন সভ্যতার সমান
২৫#
নিদ্রার সম্মোহনে ফিরে গেলে তুমি খুলবে পোশাক
স্নানঘরে জলের শব্দ হবে, ভেজা চুলে খেলবে এক
বাতাশের দারুন কিশোরী।
২৬#
এলবামে স্মৃতি নেই বলে
আদৌ দুঃখ করিনা,
সোনালি নিসঙ্গতায় আমার
বিচিত্র দুঃখের সমাবেশ সঞ্চয় – ।
২৭#
শেষমেশ যে যার সন্ধার কাছে ফিরে যায়,
যে যার অন্ধকারের কাছে।
২৮#
কেন এলে বলো বেশতো ছিলাম
শুধু শুধু করাঘাত করলে চেতনায়
বড়ো অবেলায় এলে – বড়ো অবেলায় ।
২৯#
আমি একা
এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মত আমি একা
৩০#
নিজেকে নিয়ে আছি, নিজে নিজে আছিনা-পাওয়া ব্যথার আছে উদ্ধার,
পাওয়ার বেদনা প্রতিকারহীন।
৩১#
এমন কি ভালোবাসাও
ইদানীং আমাকে আর
ভালোবাসে না।
৩২#
কী ভয়ংকর এই একাকীত্ব!
কী নির্মম এই বান্ধবহীনতা!
কী বেদনাময় এই বিশ্বাসহীনতা!
৩৩#
এবং জন্ম মানেই মৃত্যুর প্রতি অমােঘ যাত্রা
৩৪#
প্রেম দুর্বোধ্য, নারী দুর্বোধ্য
এবং তুমিও তোমার
প্রেমের মতোই দুর্বোধ্য।
৩৫#
ছুঁয়ে দাও।
আমি ভাসমান মগ্ন মেঘেদের মতো ঝ’রে পড়ি
বৃষ্টির পালক।
৩৬#
পুষ্পিত হাতে ডাক দিয়েছি, আসবে না কেন!
৩৭#
তোমরা কি প্রত্যেকেই অভিনয় করো?
৩৮#
এতোটা নিশব্দে জেগে থাকা যায় না, তবু জেগে আছি…
৩৯#
ইচ্ছে ছিলো বিরহের সাথে একরাত কাটাবো নিদ্রায় ,
৪০#
আমার কাছেই সকল কথা
অন্তরঙ্গ বলছি একা
এমনি ভাবে বলেই যাব।।
৪১#
আমার প্রকৃত ক্যানভাসে , তোমার স্কেচ আঁকা ছিলো
অথচ তুমিই থাকোনি আমার হয়ে ।
৪২#
যে পায় সে পেয়ে যায় – বাকিরা হারায়।
৪৩#
আমার বসন্ত আছে
আমার কোকিল আছে
শুধু কৃষ্ণচূড়া নেই।
৪৪#
রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই
শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই
হৃদয় বলবে – আছে।
৪৫#
গুটিয়ে যাচ্ছি শামুকের মতো দ্রুত।
স্মৃতি ও স্বপ্ন বুকের ভেতরে রেখে,
খোলা চারদিক বর্মে নিয়েছি ঢেকে।
৪৬#
তবু বেঁচে আছি প্রানপনে
অন্তত কিছুদিনের জন্য
৪৭#
একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গেছি
নিসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না।
৪৮#
তোমার কাছে পৌঁছাতে আমার এক যুগ কেটে গেল।
৪৯#
প্রচুর দূরত্ব হয়ে আছো
৫০#
সুন্দর রক্তাক্ত হও। তিক্ততায় ভেঙে পড়ো । কাঁদো।
না হলে কখনো তুমি কবির বেদনা বুঝবে না।
৫১#
আমি সেই অবহেলা , আমি সেই নতমুখ ,
নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান – ভেজা চোখ , আমাকে গ্রহন করো ।
৫২#
দু একটা গোপন চুমুর স্মৃতি তুমিও লুকিয়ে রাখো,
কে না রাখে!
৫৩#
অভিমান ভালোবেসে তোমায় ভুলতে গিয়ে তোমাকেই নির্মান করেছি॥
৫৪#
শরীর বেচি শোনো ভদ্রলোক,
রাতের নায়ক যারা–
তারাই দিনের বিচারক।
৫৫#
পেতে চাই লোভ-ঘৃনা-ভালোবাসা-হিংসাসহ জটিল তোমাকে।
৫৬#
আধখানা স্বপ্নে আছি ,আধখানা শ্রমে
আধখানা প্রেমে আর আধেক অপ্রেমে।
৫৭#
কারো জন্যেই তো কেউ অপেক্ষা করে না’
যে যার মতোন ব’য়ে যায়-
৫৮#
যেতে যেতে আমিও পৃথক হয়েছি, হয়েছি আলাদা মানুষ
আলাদা ভুবন-
৫৯#
ব্যথায় কাঁদিনি কখনো কেঁদেছি বেদনার সুখে ।
৬০#
আর কতো রাত কাটবে এভাবে এই অর্থহীনতায়
৬১#
ক্লান্ত গোলাপ
এখন আমার বিস্তৃতি চাই, নিভৃতি চাই,
এখন আমার পরানে চাই দখিন হাওয়া।
৬২#
পাতা ফুল খেয়ে গাছকে চিনতে পারিনি
এতটুকু দেখে কীভাবে তোমায় চিনবো !
৬৩#
কিছু দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে থাকবে বুকে
কিছু অশ্রু থেমে থাকবে চোখের নিকটে
ঝরাবে না শিশির।
৬৪#
তুমি জানিবে, আমি জানিব
এ প্রেম শুধু তোমার আমার।
৬৫#
আমরা কি কোনোদিন আর কোনো কথা বলবো না?
৬৬#
বুকের ভেতরে প্রতিবাদ নিয়ে একা একা পুড়ি অতন্দ্র–
৬৭#
মাধবী কাল চ’লে যাবে।
ওর হাতে ফুলগুলো তুলে দিয়ে বললাম
‘তুমিও কি ফুল হয়ে ঝ’রে যাবে?’
৬৮#
নীল অভিমানে পুড়ে একা আর কতোটা জীবন?
কতোটা জীবন!!
৬৯#
শরীরে অধঃপতন ভেতরে বাড়ছে প্রেম অনন্ত অভাব।
৭০#
কেউ কি ভেবেছিলাে এতাে সহজে সব কিছুই
স্মৃতি হয়ে যাবে, অতীত হয়ে যাবে!
৭১#
নিজের কাছে নিজেই আমি
প্রশ্নবোধক রেখা !
৭২#
চলো স্বপ্ন মিলাই।
৭৩#
প্রত্যাখ্যান দিয়েছো যখন
কিছুটা প্রত্যাশা রেখে যাও,
৭৪#
সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকিনা কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
৭৫#
নিরবতা কোনো এক উদাসিন পাথরের নাম –
৭৬#
জোস্নার গন্ধে ভরা রাতে আকাশের হলুদ ছায়ায়
আমি আজীবন খুঁজে যাব তোমাকে ।
৭৭#
বন্ধুরা সব বিত্তে বাড়ে , চিত্তে বাড়ে
বাড়ে শনৈঃ গৃহস্থালি ,
আমার তবু বয়স হয় না , বুদ্ধি হয় না ।
৭৮#
আমার এখন সমস্তটাই স্মৃতিসৌধ,
৭৯#
আমার কিছু তুমি ছিলো তোমার কাছে !
৮০#
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক
খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া
ভিতরের নীল বন্দরে।
৮১#
নেই। কেউ নেই-
৮২#
তুমি তারে প্রেম দাও, বিরহ অনল দাও–উপেক্ষা দিও না ।।
৮৩#
বিজন রাত্রি তছনছ ছোটে, ভীত হরিনের ঝাঁক
৮৪#
জীবনে যতোটা প্রয়োজন আছে
ততোটুকু নাও , ততোটুকু রাখো
তার বেশি নয় কিছু ।
৮৫#
তবে কি জীবন বেশি নির্মম নিয়মে বাঁধা?
৮৬#
কষ্ট পেতে পেতে
তুমি প্রতিদিনের সূর্যের মতো
স্পষ্ট হয়ে ওঠো।
৮৭#
তুমি নেই, কোথাও তোমার ছায়া নেই, ঘ্রান নেই।
৮৮#
কিছু থেকে যাবে মৃত্যুরও পরে – কেউ জানবো না।
৮৯#
আমি দূরে যাই –
স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা – চন্দন চুয়া,
সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন বেদনার বেনোজলে..
৯০#
দুজনেই জেনেছি দুজন দ্যাখা হবে, একদিন দ্যাখা হবে কোথাও,
কোথাও দ্যাখা হবে- কোথাও কোথায়?
৯১#
দূরত্বের কাঁচে ঠেকে ফিরে আসছে আঙুল।
আমি তোমাকে স্পর্শ করতে পারছি না,
৯২#
আমার এখন ছুটতে হবে অনিশ্চিতের পথে,
আমায় এখন ছুটতে হবে রোদের বিপরীতে।
৯৩#
দূর থেকে যারে মনে হয়েছিলো ভীষন কঠিন
আসলে সে তার সবটুকু জুড়ে ছিলো সরলতা।
৯৪#
একদিন তোমার সমস্ত বুকে আমার সাম্রাজ্য ছিলো
একদিন আমার সাম্রাজ্যের তুমিই অধিস্বরী ছিলে।
৯৫#
যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্ত খোঁজে লোকে
আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছো অসুখ,
পেয়েছো কিনারাহীন আগুনের নদী।
৯৬#
আজো আমার বোধ হলো না
ভেতরে নীল ক্রোধ হলো না
পরান-গলা রোধ হলো না –
৯৭#
এতো কাছে যার বসবাসখানা, এতোটা নিকটে
এতো চিৎকারে ডেকেছি তবু সে শোনেনি কিছুই,
৯৮#
আমি তো কাছেই আছি
দুয়োরের কাছে, ওই উদাসিন ভিক্ষুর মতো গভীর
একাকি
৯৯#
আমি এই বিষন্ন পৃথিবী নিয়ে একা একা ফিরে যাবো গভীর নেশায়
কোনদিন আসবোনা আর , কোনদিন আসবোনা আর …
১০০#
আজো দেখি ভালোবাসা ফিরে যায় ঘৃনার ছোবলে।
১০১#
পেয়েছে যে তার হারাবার ছাড়া কোনো ভয় নেই আর..
১০২#
এটা প্রস্থান নয়, বিচ্ছেদ নয়
শুধু এক শব্দহীন সবল অস্বীকার।
১০৩#
শূন্যতার দিকে চোখ, শূন্যতা চোখের ভেতরেও।
১০৪#
আমার স্নায়ুর সকল ইচ্ছা দিয়ে
তোমাকে চাইছি হৃদয়ের কাছে পেতে ।
১০৫#
শুধু অভিনয়,
শুধু কথার মুখোশ, চমৎকার, বনেদি মসৃন।
১০৬#
রাতের খুব কাছাকাছি নিসঙ্গতা আর আমি
মুখোমুখি বোসে আছি কথাহীন নির্বাক।
১০৭#
কেউ আসছে না। না স্বপ্ন, না ঘুম, কেউ নয়।
১০৮#
যেদিকে যাই , যেদিকে ফিরি
স্মৃতি কিংবা ভবিষ্যতে ,
আমার এখন তোমাকে চাই ।
১০৯#
তোমাকে জিততে হবে
মনে রেখো ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে!
১১০#
ছিঁড়তে গেলেই স্মৃতি উঠে আসে শিকড়ের সাথে, পালাতে পারি না লতা টেনে রাখে অন্তর্মূল-
১১১#
যা কিছু হারায় তার কতোটুকু খুঁজেছে মানুষ!
কতোটুকু পেয়েছে মানুষ!
১১২#
যদিও জেনেছি চোখ মুছলেও মুছবে না জল
যাবে না জলের স্মৃতি ।
১১৩#
কী বেদনাময় এই অনিশ্চয়তা !
কী বিভৎস এই ভালোবাসাহীনতা !
কী নির্মম এই স্বপ্নহীনতা !
১১৪#
স্মৃতিগুলো ডাস্টবিনের জঞ্জাল
আর আমিই অনুসন্ধানরত
আজীবন ডাস্টবিনের ব্যর্থ কাক ।
১১৫#
সঞ্চিত বারুদ বক্ষে তবু প্রয়োজন ছাড়া জ্বলি না কখনো ।
১১৬#
বোধের গোড়ায় ঢেলে কাড়ি কাড়ি জল
একটিও তাজা ফুল ফোটানো গেলনা ।
অথচ জলার ধারে কতো ফুল ফোটে,
একটিও ফুল তার বাঁচানো গেলনা ।।
১১৭#
আমার কোথাও ফিরে যাওয়া নেই
১১৮#
কারা যে কি ভেবে উঠে পড়েছিলো কারো আজ মনে নেই,
সৌভাগ্যের দূর-যাত্রায় স্বপ্নের মরীচিকা
টেনে এনেছিলো হয়তো এদের- আজ হারিয়েছে খেই।
১১৯#
আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
১২০#
পেছন থেকে তুমি পুরোনো প্রেমের স্বরে
ডাকলেও আমি তাকাবো না আর ভালোবাসা।
১২১#
বহুদিন ধ’রে খুঁজছি এখনো আজো
একজন বিশ্বাসী মানুষ খুঁজছি-
বড়ো একাকি আছি।
১২২#
মনে হলো একবার
তুলে এনে রাখি তারে বুকের নিকটে।
১২৩#
রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই
শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই
হৃদয় বলবে – আছে।
১২৪#
যাকে কোনোদিন কেউ রাখেনি কোনো গৃহের আশ্রয়ে
ভালোবেসে বুকে নিয়ে চিরকাল তাকেই বলেছি প্রেম
প্রিয়তম তীর্থভূমি।
১২৫#
মনে হয় একদিন কাক – জোস্নায় তুমিও দরােজা খুলে ফিরে আসবে।
১২৬#
শূন্যতা ছোঁয়, অপূর্নতার বাউল রাতে
কান্দে শরীর-
১২৭#
তোমার শুন্যতা ঘিরে দীর্ঘশ্বাস , বেদনার ঘ্রাণ ,
তোমার নাথাকা জুড়ে জেগে থাকে সহস্র শ্মশান।
১২৮#
আমাকে কোথায় যেতে হবে
কোন দিকে
১২৯#
রাতের সুতীব্র স্রোত হুহু কোরে টেনে নিয়ে যায় ,
ফিরে এসো নিশ্চয়তা , ফিরে এসো রোদের সকাল ।
১৩০#
তোমাকে অনুবাদ করেছি স্বপ্নে।
তোমাকে অনুবাদ করেছি তৃষ্ণায়।
তোমাকে অনুবাদ করেছি উদাসিনতায়।
১৩১#
ইচ্ছাকৃত ভুলে ফেলে রেখে গেছি আমার বকুল
ভুলে ফেলে গেছি ভেবে ফিরিয়ে দিও না।
১৩২#
কেউ দেখবে না, তুমি কাঁদো কবি, কাঁদো
কেউ জানবে না তুমি কষ্ট পাও কবি
কেউ ছোঁবে না তোমাকে, তুমি তো পাথর।
১৩৩#
কথা কি শেষ হয়ে যায়- সব কথা?
১৩৪#
এইভাবে অপেক্ষাহীন প্রতীক্ষায় বোসে থাকবো –
১৩৫#
কিছু বলার ছিলো তবু
নিজের কাছে নিজেই আমি
প্রশ্নবো্ধক রেখা !
১৩৬#
গুটিয়ে যাচ্ছি শামুকের মতো দ্রুত।
স্মৃতি ও স্বপ্ন বুকের ভেতরে রেখে,
খোলা চারদিক বর্মে নিয়েছি ঢেকে।
১৩৭#
সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকি না কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-সুতো ধ’রে,
আমি শুধু যাই দূরে।
১৩৮#
চলে গেলে মনে হয় তুমি এসেছিলে,
চলে গেলে মনে হয় তুমি সমস্ত ভুবনে আছো।- এ কেমন ভ্রান্তি আমার!”
১৩৯#
থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক
একলা থাকার খুব দুপুরে
একটি ঘুঘু ডাকুক।
১৪০#
কিছুটা তো চাই- হোক ভুল হোক মিথ্যে প্রবোধ,
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই
কিছুটা তো চাই, কিছুটা তো চাই।