মাও ৎসে-তুং ছিলেন চীনের মার্কসবাদী তাত্বিক ও রাজনৈতিক নেতা। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন। মাও সেতং ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন। তার নেতৃত্বে মাধ্যমেই চীন একটি সামন্ততান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন। মার্ক্স ও লেনিনের তাত্ত্বিক মিশ্রণের মাধ্যমে তার প্রচলিত এই কমিউনিজম বিশ্বব্যাপি মাওবাদ নামে পরিচিত।
১#
এটা মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি দেশেই বুর্জোয়া পার্টি গুলো সব সময় কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রামের কৌশল সম্বন্ধে আলোচনা করে, কি করে শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে সংস্কারমূলক প্রভাব বিস্তার করা যায় এবং তাদের বিভ্রান্ত করা যায়, পার্টির নেতৃত্ব থেকে তাদের দূরে সরিয়ে নেওয়া যায়, ধনী কৃষকদের দলে টেনে গরীব কৃষকদের অভ্যুত্থান কী করে খতম করে দেওয়া যায়, গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে বৈপ্লবিক সংগ্রাম কে কি করে দমন করা যায়, এসব নিয়ে বুর্জোয়ারা যথেষ্ট গবেষণা করে।
২#
তোমার সন্তানকে মাছ মাছ না দিয়ে বাং শিখিয়ে দাও কিভাবে মাছ ধরতে হয়।
৩#
বিপ্লব কোনো ভোজসভা, রচনা লেখা, ছবি আঁকা বা সেলাই করা নয়; এটি এত সূক্ষ্ম, ধীরগতির ও মৃদু হতে পারে না। বিপ্লব একটি বিদ্রোহ, ইহা এক শ্রেণির দ্বারা অন্য শ্রেণিকে উচ্ছেদ করার সহিংসতা।
৪#
অতিরিক্ত বই পড়া ক্ষতিকর।
৫#
যাকিছু আমাদের শত্রুরা বিরোধিতা করে, আমরা তা সমর্থন করব এবং তারা যা সমর্থন করে, আমরা তার বিরোধিতা করব।
৬#
চীনের বিপ্লবী যুদ্ধের প্রধান শত্রু হলো সাম্রাজ্যবাদ এবং সামন্ততান্ত্রিক শক্তি।
৭#
গেরিলা যুদ্ধ অপরাধ নয়; বরং বিশৃঙ্খল ও শৃঙ্খলাহীন কর্মকাণ্ডই অরাজকতার পরিচয়।
৮#
আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যার মধ্যে কেবল প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণি কালো মানুষদের শোষণ করে।
৯#
প্রতি কাজের জন্য নারী-পুরুষ সমান মজুরি পাওয়া উচিত।
১০#
যে দেশের সরকার জনগণের ন্যূনতম জীবনমান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ, সেই দেশে বিপ্লবের সম্ভাবনা অবশ্যম্ভাবী।
১১#
আমি একটি ফুটো ছাতা নিয়ে বিশ্ব ঘুরে বেড়ানো একাকী সন্ন্যাসী।
১২#
পারমাণবিক বোমা কেবল ভয় দেখানোর হাতিয়ার। এটা ভয়ানক মনে হয়, কিন্তু আসলে তা নয়।
১৩#
কমিউনিজম ভালোবাসা নয়; এটি শত্রুকে ধ্বংস করার হাতিয়ার।
১৪#
নিগ্রোদের দাসত্বের মাধ্যমে ঔপনিবেশিকতার জন্ম হয়েছে; তাদের মুক্তির মাধ্যমে এটি ধ্বংস হবে।
১৫#
ইতিহাস আমাদের রোগের লক্ষণ।
১৬#
যে বিপ্লবী, তাকে ঝাল খাবার খেতেই হবে।
১৭#
যুদ্ধ যুদ্ধের মাধ্যমেই শেষ হতে পারে। অস্ত্র থেকে মুক্তি পেতে হলে অস্ত্র ধরতে হবে।
১৮#
সারা বিশ্বের নিপীড়িত জাতিদের মুক্তি অতি সন্নিকটে।
১৯#
আমরা জনগনের সেবা করি, তাই আমাদের যদি কোন ত্রুটি থাকে, তা দেখিয়ে দিয়ে কেউ আমাদের সমালোচনা করলে আমরা ভয় করি না। যে কেউ, তা যিনিই হোন না কেন, আমাদের ত্রুটি দেখিয়ে দিতে পারেন। যদি তাঁর কথা ঠিক হয় তাহলে আমরা নিজেদের ত্রুটি শুধরে নেব। তিনি যা প্রস্তাব করেন তাতে যদি জনগনের উপকার হয়, তবে আমরা তাঁর প্রস্তাব অনুসারেই কাজ করব।
২০#
যুবকরাই হচ্ছে গোটা সমাজের সবচেয়ে সক্রিয় আর সবচেয়ে সজীব শক্তি।