মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।”
~~ হুমায়ূন আহমেদ
পরিবার হল একজন ব্যক্তির শক্তি, যা তাকে সমস্ত সমস্যা মোকাবিলা করার সাহস দেয়।
দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে পরিবার।
– প্রিন্সেস ডায়ানা (১৯৬১- ১৯৯৭)
যার একটি ভালো পরিবার আছে, সে পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখে জীবনযাপন করে।
একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়, তেমনি একটি সুপুত্রের দ্বারা সমস্ত কুল ধন্য হয়। একটি কুবৃক্ষের কোটরের আগুন থেকে যেমন সমস্ত বন ভস্মীভূত হয়, তেমনি একটি কুপুত্রের দ্বারাও বংশ দগ্ধ হয় ।
~ চাণক্য চাণক্য
পরিবারকে আগে ভালোবাসতে শেখো! তবেই বাকি পৃথিবীর লোকেরা তোমায় ভালোবাসবে।
আমরা বড় হতে এত বেশি ব্যস্ত থাকি যে কখনো কখনো এটাই ভুলে যাই যে আমাদের বাবা-মায়েরাও বৃদ্ধ হচ্ছেন… তাঁদের যত্ন নাও…এতদিন তাঁরা তোমাকে আগলে রেখেছেন,এবার তোমার পালা।
পৃথিবীর কাছে তুমি শুধু একজন…! কিন্তু তোমার পরিবারের কাছে তুমি পুরো পৃথিবী।
যে পরিবার একসাথে বসে খায়, সে পরিবারে সর্বদা সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি থাকে।
পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ হয়….!! কিন্তু কখনো একে অপরের হাত ছাড়ে না।
যারা শুধু টাকাকেই তাদের পরিবার মনে করে,,, সে জীবনে কখনো সংসারের সুখ পেতে পারে না।
একটি পরিবার তখনি সম্পূর্ণ হয়,, যখন তার কেন্দ্রে থাকেন একজন মাতৃরুপী কেউ, যিনি সবাইকে আগলে রাখেন।
অর্থ উপার্জনের সার্থকতা তখনই আসে….!!! যখন আপনার উপার্জিত অর্থ পরিবারের কাজে আসে।
আমাদের ভালো অভ্যাস এবং ভালো মূল্যবোধ পরিবারকে একসাথে রাখে এবং এটি ঘরটিকে স্বর্গের মতো করে তোলে।
কে কতোটা ধনী…. তা আপাতো ভাবে হয়তো তার ধন সম্পত্তির পরিমান দেখে বোঝা যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেই ধনী, যার কাছে পরিবারের ভালোবাসার সম্পদ আছে।
যে পরিবারের মধ্যেকার ঐক্য থাকে, সেই পরিবার সর্বক্ষেত্রে সুখী ও সমৃদ্ধ হয়।
পৃথিবীর আর সবাইকে বোকা বানিয়ে তুমি আনন্দ পেতে পারো..কিন্তু কখনো নিজের পরিবারকে বোকা বানানোর চেষ্টা কোরো না.. কারণ তোমার বিপদে আপদে যারা তোমার সঙ্গ দেবে তারা তোমার পরিবার…
এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক নিজের বাবা, যে ছেলে গোটা ছাত্রজীবন তার বাবার সাথে বসে রাতের খাবার খাবে, সে কোনোদিনই নীতি থেকে বিচ্যুত হবে না।
~~ হুমায়ুন আহমেদ।
এই ভালবাসার কী কোনো তুলনা আছে?
মাস শেষে বেতন পেয়ে লোকটি ছেঁড়া জুতার দিকে তাকিয়ে এক জোড়া ভালো জুতা কেনার চিন্তা করলো। হঠাত তার স্ত্রীর কল, “ছেলের বায়না করা স্মার্টফোনটা কি এবার কিনে দিতে পারবে?” অতঃপর মুচির কাছে জুতা সেলাই করে হাসিমুখে ছেলের স্মার্টফোনটা কিনেই সে বাসায় ফিরলো।
পপ্রিবারকে তুমি একটা দল বলতে পারো, একটা নেটওয়ার্ক বলতে পারো,একটা গোষ্ঠী বলতে পারো…কিমবা একটা পরিবার-ই বলতে পারো.. যাই বল না কেন…এটাই তোমার জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সাধন বাঁচার পক্ষে ..
একমাত্র পরিবার-ই এমন জায়গা যেখানে তুমি তোমার মনের কথা খুলে বলতে পারবে.. কোনো ভাবনা চিন্তা ছাড়াই…বাকি সবার সামনে তোমায় একটু হলেও বুঝে শুনে কথা বলতে হবে..
কোনো পরিবার-ই নিখুত নয়.. তর্ক,ঝগড়া,বাকবিতন্ডার পরেও এক্ল্টা পরিবার শেষে একটা পরিবার-ই থাকে.. পরিবারের ভালবাসা কোনো কিছু দিয়েই প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়..
জীবনে যে কোনো বিপদে মনে মনে তোমার মা-বাবার কথা মনে কোরো…এতে তোমার মুশকিল আসান হয়তো হবে না…কিন্তু বিপদের মুখোমুখি হতে তোমার ভয় লাগবে না…
জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার তোমার মাতা-পিতা.. তাদের কখনো কষ্ট দিও না.. কারণ তুমিও একদিন বাবা/মা হবে..
তোমার সবচেয়ে কাছের যে মানুষগুলো তোমায় ভালবাসে..তোমার ভালো চায়…তোমার খেয়াল রাখে…তারাই তোমার পরিবার..
দিনের শেষে কর্মক্ষেত্রের সব চাপ সহ্য করার পার যেখানে যেতে ইচ্ছা করে-সেটা তোমার বাড়ি.. আর সব রাগ-অভিমান সত্তেও যাদের ভালো না বেসে থাকা যায় না-তার তোমার পরিবার.. দুটিই যদি তোমার জীবনে থাকে তাহলে তোমার থেকে ভাগ্যবান লোক নেই..
পৃথিবীতে একটিমাত্র জিনিস আছে যেটা অমূল্য কিন্তু বিনামূল্যে জন্ম থেকেই সবাই পেয়ে যায়… সেটা হল মা-বাবার ভালবাসা.. নিঃস্বার্থ এবং প্রকৃত ভালবাসা…