জয়নুল আবেদিন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি চিত্রশিল্পী। বাংলাদেশের চিত্রশিল্প বিষয়ক প্রচার ও ভূমিকার জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধি লাভ করেন। তার বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, মই দেয়া, ম্যাডোনা ৪৩, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী অন্যতম। ১৯৭০ সালে বাংলার গ্রামাঞ্চলের উৎসব নিয়ে আঁকেন তার বিখ্যাত ৬৫ ফুটের বিশাল দৈর্ঘ্যের ছবি নবান্ন।
১#
এখনতো চারিদিকে রুচির দুর্ভিক্ষ! একটা স্বাধীন দেশে সুচিন্তা আর সুরুচির দুর্ভিক্ষ! এই দুর্ভিক্ষের কোন ছবি হয়না।
২#
একজন বড় শিল্পী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমার ছিল না, তবে আমি সর্বদা অন্য মানুষের মতো একজন মানুষ হতে চেয়েছিলাম এবং আমি সর্বদা একজন সাধারণ হিসাবে মানুষের সমাজে বাঁচার চেষ্টা করেছি।
৩#
শিল্প মানেই প্রতিবাদ। শিল্পের মাধ্যমেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা যায়।
৪#
শিল্পীর কাজ মানুষকে নতুন কিছু ভাবতে শেখানো। সত্যের পথে দাঁড়িয়ে শিল্পীকে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
৫#
শিল্প শিক্ষা ছাড়া সৃজনশীল জাতি গঠন অসম্ভব। শিল্প মানুষের মনন এবং সৌন্দর্যবোধকে প্রসারিত করে।
৬#
আমি এমন এক সময়ে শিল্প সৃষ্টির চেষ্টা করেছি, যখন মানুষের পেটে খাবার ছিল না, চোখে আশা ছিল না। দুর্ভিক্ষ আমাকে শিল্পী হিসেবে নতুন দায়িত্বের শিক্ষা দিয়েছে।
৭#
শিল্পী হওয়া মানে শুধু ক্যানভাসে রং তোলা নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
৮#
নদী আমার মায়ের মতো। আমি নদীর কাছে শান্তি পাই, অনুপ্রেরণা পাই।
৯#
শিল্প সমাজের দর্পণ। একজন শিল্পীর কাজ হলো সমাজের বাস্তবতাকে চিত্রিত করা।
১০#
আমি দেখেছি মানুষের জীবনসংগ্রাম, তাঁদের চোখে মৃত্যুর ভয়। সেই কষ্টকে ক্যানভাসে ধরে রাখতে চেয়েছি।