কালীপ্রসন্ন ঘোষ ১৮৪৩ – ১৯১০ ছিলেন একাধারে একজন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। তার জন্ম বিক্রমপুর জেলার ভরাকর গ্রামে। পিতা শিবনাথ ঘোষ। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে এন্ট্রান্স ক্লাস পর্যন্ত অধ্যয়ন করলেও, নিজ আগ্রহে ইংরেজি, সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ১৮৬৫ সালে ঢাকা আদালতের পেশকারের চাকরি; পরে ১৮৭৭ সালের ২৮ মার্চ ভাওয়াল রাজ সরকারের চাকরিতে ম্যানেজার পদে উন্নীত হন। ব্রাহ্মযুবকদের মুখপত্ররূপে শুভ-সাধিনী (১২৭৭ বঙ্গাব্দ) সাপ্তাহিক পত্রিকা এবং বঙ্গদর্শনের আদর্শে ঢাকা থেকে বান্ধব (১৮৭৪) পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন। গদ্য গ্রন্থ : প্রভাতে-চিন্তা (১৮৭৭); নিভৃত-চিন্তা (১৮৮৩); ভক্তির জয় (১৮৯৫); নিশীথ-চিন্তা (১৮৯৬); জানকীর অগ্নিপরীক্ষা (১৯০৫); ছায়া দর্শন (১৯১০)। সঙ্গীত ও কবিতা রচনায়ও তিনি দক্ষতা প্রদর্শন করেন। শিশুতোষ শিক্ষণীয় লেখায় কৃতিত্ব রয়েছে। বাগ্মীতার পুরস্কার হিসেবে ইংরেজ সরকার ‘রায়বাহাদুর’ (১৮৯৭) এবং সিআইই (১৯০৯) উপাধি প্রদান করে। আর বাংলার পণ্ডিতগণ তাঁকে বিদ্যাসাগর উপাধিতে অভিষিক্ত করেন। ১৯১০ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন।
১#
‘পারিব না’ একথাটি বলিও না আর,
কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার;
পাঁচজনে পারে যাহা,
তুমিও পারিবে তাহা,
পার কি না পার কর যতন আবার
একবার না পারিলে দেখ শতবার।
২#
জলে না-নামিলে কেহ শিখে না সাঁতার,
হাঁটিতে শিখে না কেহ না-খেয়ে আছাড়,
সাঁতার শিখিতে হলে
আগে তবে নামো জলে,
আছাড়ে করিয়া হেলা হাট’ আর বার;
পারিবো বলিয়া সুখে হও আগুসার।