অপেক্ষা হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের মতোই এ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপটও একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে। উপন্যাসটিতে একইসাথে মধ্যবিত্তের টানাপোড়েন এবং প্রিয় মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
১#
সত্যি কথা শুনতে সব সময় চিরতার পানির মতো লাগে।
২#
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যাপারটির খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক।
৩#
ছেলে পাগলের চেয়ে মেয়ে পাগল ভয়ংকর।
৪#
হাসলে মেয়েদের যত সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচেয়ে দশগুণ বেশি সুন্দর লাগে।
৫#
খুব খারাপ সময়ের পরপরই খুব ভাল সময় আসে। এটা জগতের নিয়ম।
৬#
মানুষ অদ্ভুত প্রানী, কখন কোন নেশা ধরে যায় বলা কঠিন।
৭#
প্রকৃতি যাকে দেবার তাকে উজাড় করেই দেয়। যাকে দেবার না তাকে কিছুই দেয় না।
৮#
স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা এই ব্যাপারগুলো আসলেই খুব অদ্ভুত। কোনো জাগতিক নিয়মকানুনের মধ্যে এদের ফেলা যায় না।
৯#
মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য।
১০#
পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলির জন্যে কিন্তু টাকা লাগে না। বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেমন ধর জোছনা, বর্ষার দিনের বৃষ্টি, মানুষের ভালবাসা…….।
১১#
বোকা ছেলেরাই কাঁদে বুদ্ধিমানরা কাঁদে না।
১২#
…. ধরে নে ফিরে আসবেনা। তাহলে কষ্ট কম পাবি।ফিরে আসবে ভেবে অপেক্ষা করছিস – মানুষ টা ফিরে আসছেনা। কষ্ট বেশি না?
১৩#
কেউ কারো মতো হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মতো। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মতো হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।
১৪#
দিনের বেলা যে কোন কষ্টই সহনীয় বলে মনে হয় – রাতে ভিন্ন ব্যাপার। কিছু কিছু রাত এই জন্যই ‘কাল রাত’, ‘কাল দিন’ বলে কিছু নেই।
১৫#
জগৎটাই চলছে মিথ্যার উপরে। সত্যি কথা এখন শুধু বলে পাগলরা।
১৬#
এ শহরে আছে বিচিত্র ধরনের মানুষ। আর আছে তাদের বিচিত্র ধরনের অপেক্ষা।
১৭#
জগতের কোন দুঃখই কম না। ছোট দুঃখ, বড় দুঃখ, সব দুঃখই সমান।
১৮#
প্রতিটা মানুষ কোন না কোন অপেক্ষায় থাকে। অপেক্ষা ছাড়া মানুষ বাঁচে না। অপেক্ষা শেষ হলে মানুষ মারা যায়।
১৯#
কোন কিছুই নিষিদ্ধ না। বাংলাদেশে সবই সিদ্ধ। কোনটা বেশি সিদ্ধ। কোনটা অল্প সিদ্ধ।
২০#
প্রকৃতি যাকে দেবার তাকে উজার করেই দেয়। যাকে দেবার না তাকে কিছুই দেয় না। এই জন্যেই একজন হয় রবীন্দ্রনাথ একজন হয় ঠেলাগাড়ির ড্রাইভার মোকাদ্দেছ।
২১#
শৈশবের কিছু কিছু ভয় মানুষের সঙ্গে থেকে যায়। মানুষের বয়স বাড়ে, শৈশবের অনেক কিছুই তাকে ছেড়ে যায়– ভয়টা ছাড়ে না।
২২#
পেন্সিলে আঁকা ছবি পছন্দ না হলে রাবার দিয়ে ঘসে তুলে ফেলা যায়। অপছন্দের কথা মুছে ফেলার কোন ব্যবস্থা নেই। থাকলে খুব ভালো হতো।
২৩#
ফেরেশতার মত মানুষ কখনো ইন্টারেস্টিং হয় না। তারা সব সময় সত্যি কথা বলবে, সব সময় শুদ্ধ কাজ করবে।
২৪#
জগতের বোকারা ভালো মানুষ ধরণের হয়।
২৫#
একটা বয়সের পর ছেলেরা বাবা-মা কারো কথাই শুনতে চায় না। শুধু স্ত্রীর কথা শোনে।
২৬#
যেকোন শহরকে সবচেয়ে কুৎসিত দেখায় সন্ধ্যাবেলা। তখন প্রকৃতি তার আলো নিভিয়ে দেয়। মানুষ তার আলো জ্বালাতে শুরু করে। প্রকৃতির শেষ আলোর স্মৃতি মাথায় থেকে যায় বলেই মানুষের আলো অসহ্য বোধ হয়।
২৭#
মুক্তির আনন্দে মানুষ অনেক উদ্ভট কান্ডকারখানা করে।
২৮#
একটা বয়সের পর মানুষ খানিকটা একা থাকতে চায়।
২৯#
যেকোন ঘটনাই বড় করে দেখলে বড়, ছোট করে দেখলে ছোট। পুরো জিনিসটাই নির্ভর করছে কিভাবে দেখা হচ্ছে তার উপর।
৩০#
যেসব ছেলে খুব সুন্দর তারা আবার রূপবতী মেয়ে পছন্দ করে না। সুন্দরী মেয়েদের তারা নিজেদের রাইভ্যাল মনে করে।