কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অসংখ্য লেখার সৌন্দর্য্য সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। তার লেখা বিভিন্ন কবিতা, গল্প ও উপন্যাসে সৌন্দর্য সম্পর্কে বলা কিছু উক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ব্লগ পোস্টটি।
১#
চন্দ্রের যা কলঙ্ক সেটা কেবল মুখের উপরে, তার জ্যোৎস্নায় কোনো দাগ পড়ে না।
২#
“ যৌবনই ভোগের কাল বার্ধক্য স্মৃতিচারণের ”
৩#
“ যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের শেষে ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময় ”
৪#
ফুল যে কেবল বনের মধ্যেই কাজ করছে তা নয়—মানুষের মনের মধ্যেও তার যেটুকু কাজ তা সে বরাবর করে আসছে ।
৫#
আমি রূপে তোমায় ভোলাব না , ভালোবাসায় ভোলাব। আমি হাত দিয়ে দ্বার খুলব না গো , গান দিয়ে দ্বার খোলাব। ভরাব না ভূষণভারে , সাজাব না ফুলের হারে – প্রেমকে আমার মালা করে গলায় তোমার দোলাব।
৬#
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে , মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই । এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে জীবন্ত হৃদয় – মাঝে যদি স্থান পাই ।
৭#
যাহাকে তুমি ভালোবাস তাহাকে ফুল দাও , কাঁটা দিও না ; তোমার হৃদয়-সরোবরের পদ্ম দাও , পঙ্ক দিও না।
৮#
যে পাখির ডানা সুন্দর ও কণ্ঠস্বর মধুর তাকে খাঁচায় বন্দী করে মানুষ গর্ব অনুভব করে; তার সৌন্দর্য সমস্ত অরণ্যভূমির , এ কথা সম্পত্তিলোলুপরা ভুলে যায় । মেয়েদের হৃদয়মাধুর্য ও সেবানৈপুণ্যকে পুরুষ সুদীর্ঘকাল আপন ব্যক্তিগত অধিকারের মধ্যে কড়া পাহারায় বেড়া দিয়ে রেখেছে। মেয়েদের নিজের স্বভাবেই বাঁধন-মানা প্রবণতা আছে , সেইজন্যে এটা সর্বত্রই এত সহজ হয়েছে।
৯#
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী—
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন ।
সঁপিয়া তোমার ’পরে নূতন মহিমা
অমর করিছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
১০#
সুন্দর আপনি সুন্দর এবং অন্যকে সুন্দর করে । কারণ , সৌন্দর্য্য হৃদয়ে প্রেম জাগ্রত করিয়া দেয় এবং প্রেমই মানুষকে সুন্দর করিয়া তোলে।
১১#
কবিদিগকে আর কিছুই করিতে হইবে না , তাঁহারা কেবল সৌন্দর্য্য ফুটাইতে থাকুন —জগতের সর্ব্ত্র যে সৌন্দর্য্য আছে তাহা তাঁহাদের হৃদয়ের আলোকে পরিস্ফুট ও উজ্জ্বল হইয়া আমাদের চোখে পড়িতে থাকুক , তবেই আমাদের প্রেম জাগিয়া উঠিবে, প্রেম বিশ্বব্যাপী হইয়া পড়িবে।
১২#
পৃথিবীর চারি দিকে দেয়াল , সৌন্দর্য্য তাহার বাতায়ন । পৃথিবীর আর সকলই তাহাদের নিজ নিজ দেহ লইয়া আমাদের চোখের সম্মুখে আড়াল করিয়া দাঁড়ায় , সৌন্দর্য্য তাহা করে না —সৌন্দর্য্যের ভিতর দিয়া আমরা অনন্ত রঙ্গভূমি দেখিতে পাই।
১৩#
আমাদের চন্দ্রের যা কলঙ্ক সেটা কেবল মুখের উপরে, তার জ্যোৎস্নায় কোনো দাগ পড়ে না।
১৪#
গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।
১৫#
হঠাৎ একদিন পূর্ণিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে জীবনের সুদীর্ঘ ভাটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টানে পড়ে।”
১৬#
সংগীত আর কিছু নয় – সর্বোৎকৃষ্ট উপায়ে কবিতা পাঠ করা।
১৭#
যৌবনই ভোগের কাল বার্ধক্য স্মৃতিচারণের।
১৮#
যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায়
একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে
যখন জীবনের শেষে ফল ফলিবার
এবং শস্য পাকিবার সময়।
১৯#
প্রেমের দুই বিরুদ্ধ পার আছে। এক পারে চোরাবালি, আর-এক পারে ফসলের খেত। এক পারে ভালোলাগার দৌরাত্ম, অন্য পারে ভালোবাসার আমন্ত্রণ।
২০#
লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট,
প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।