শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (৩০ মার্চ ১৮৯৯ – ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তাঁর জন্ম উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর শহরে নিজ মাতুলালয়ে। আদিনিবাস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যস্থিত উত্তর কোলকাতার বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চল৷ তাঁর রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় তার ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশুনো করছিলেন। পড়াশুনোর সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে।
শরদিন্দু ১৯৩৮ সালে বম্বের বম্বে টকিজ এ চিত্রনাট্যকাররূপে কাজ শুরু করেন। ১৯৫২এ সিনেমার কাজ ছেড়ে স্থায়ীভাবে পুনেতে বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তী ১৮ বছর তিনি সাহিত্য চর্চায় অতিবাহিত করেন। ১৯৭০ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
১#
একজন প্রতিভাবান ক্রিমিনাল – এর মানসিকতাকে আমি ঘৃণা করি কিন্তু মস্তিষ্ককে শ্রদ্ধা করি।
(~ব্যোমকেশ বক্সী- শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়)
২#
জীবনকে এড়িয়ে কোনোদিন গোয়েন্দা গল্প লেখবার চেষ্টা করিনি।
৩#
মানুষের মহত্ত্ব এইখানে যে সব রকম আদর্শের কথাই সে ভাবে। কিন্তু তার দুর্বলতা এইখানে যে সে কোনও আদর্শকেই শেষ পর্যন্ত সম্মান করে না, শক্তি অর্জন করার পরই তার মাথা খারাপ হয়ে যায়৷
৪#
কি জানো অজিত, ডিটেকটিভ শব্দটা শুনতে একদম ভালো নয় আর গোয়েন্দা শব্দটা আরো খারাপ, তাই আমি নিজেই নিজের খেতাব রেখেছি “সত্যান্বেষী”।
৫#
ডিটেকটিভ গল্প যদি অপাংক্তেয় হয়, তবে হিস্টরিকাল রোম্যান্সও অপাংক্তেয়। একটা অতীতের রোম্যান্স, অন্যটা বর্তমানের রোম্যান্স।
৬#
ব্যোমকেশের গল্পে যদি সাহিত্যরস না থাকিয়া শুধু গ্রিল ও সস্তা সেনসেশন থাকে, তবে সাহিত্যবিচারকগণ তাহাকে দ্বীপান্তরিত করুন, আপত্তি নাই। কিন্তু যদি তাহা থাকে, তবে শুধু ডিটেকটিভ বলিয়া তাহাকে শাস্তি দিবার অধিকার কাহারো নাই।