নৌকাডুবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নৌকাডুবি উপন্যাসটি লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে। সুপ্রিয় পাঠক নৌকাডুবি উপন্যাসের বিখ্যাত কিছু লাইন/ উক্তি এই ব্লগ পোস্টে তুলে ধরছি।
১#
অপেক্ষাই জীবন। তার পরে সত্যি একদিন হয়ত কুসুম বনে এসে তরী ঠেকাবে।
(নৌকাডুবি—- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
২#
প্রয়োজন রাজার মতো আপনার পুরা সময় লয়-আর ভালবাসা কাঙ্কাল ।
৩#
ভুল হইতে, বেসুর হইতে, অক্ষমতা হইতে আনন্দ পাইবার শক্তি ভালোবাসারই আছে ।
৪#
মানুষ তো ফুল কিংবা প্রজাপতি মাত্র নয় যে, ভালো দেখার বিচারটাই সর্বাগ্রে তুলিতে হইবে ।
৫#
“পৃথিবীতে মনের মতো কটা জিনিসই বা মেলে, যাহা পাওয়া যায় মনকে তাহারই মতো করিয়া লইতে হয়। “
“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”(উপন্যাস/নৌকাডুবি)
৬#
আমার সঙ্গে যাহার বোঝাপড়ার কোনো সম্পর্ক নাই তাহাকে বুঝিতে চেষ্ঠা করাই ধৃষ্টতা । কিন্তু পৃথিবীতে দৈবাৎ এমন এক একটি মানুষ মেলে দৃষ্টিপাত মাত্রই যাহার সঙ্গে সম্বন্ধ স্থির হইয়া যায়।
৭#
যেখানে নির্ভরতাও নাই, স্বাধীনতাও নাই, সেখানে প্রাণ বাঁচে কী করিয়া ।
৮#
কতকগুলি জিনিস আছে, যা আপনার ঝোকেই অগ্রসর হয়ে পড়ে, তাহাকে আর পশ্রয় দিতে হয় না – বাড়িতে বাড়িতে আপনিই বাড়াবাড়িতে গিয়া পৌছায় ।
৯#
ঋদয়ের সহিত ঋদয়ের সাক্ষাৎ সহজ নহে , মানুষের সহিত মানুষের সম্বন্ধ সরল নহে ।
১০#
সংসারে যে ব্যক্তি কিছু হারায় নাই সে কিছু পায় নাই । অমনি যাহা আমাদের হাতে আসে তাহাকেই আমরা সম্পূর্ণ পাই না, ত্যাগের দ্বারা আমরা যখন তাহাকে পাই তখনই যথার্থ তাহা আমাদের ধন হইয়া উঠে । যাহা কিছু আমাদের প্রকৃত সম্পদ তাহা সম্মুখ হইতে সরিয়া গেলেই যে ব্যক্তি হারাইয়া ফেলে সে লোক দুর্ভাগা , বরঞ্চ তাহাকে ত্যাগ করিয়াই তাহাকে বেশি করিয়া পাইবার ক্ষমতা মানবচিত্তের আছে । যাহা আমার যায় তাহার সম্মন্ধে যদি আমি নত হইয়া করজোড় করিয়া বলিতে পারি আমি দিলাম আমার ত্যাগের দান, আমার দুঃখের দান, আমার অশ্রুর দান – তবে ক্ষুদ্র বৃহৎ হইয়া উঠে, অনিত্য নিত্য হয় এবং যাহা আমাদের ব্যবহারের উপকরণমাত্র ছিল তাহা পূজার উপকরণ হইয়া আমাদের অন্তঃকরণের দেবমন্দিরের রত্নভান্ডারে চিরসঞ্ছিত হইয়া থাকে ।
১১#
আমরা যাহা পাইয়াছি তাহা কখনোই হারাইতে পারি না, যাহা যথার্থ পাই নাই তাহাই হারাই ।*
১২#
মানুষে মানুষে কী দুর্ভেদ্য ব্যবধান ! মন জিনিসটা কী ভয়ংকর একাকী।
১৩#
কর্মিষ্ঠ লোকের দোষ এই, অন্য লোকের কর্মপটুতার উপরে তাহাদের বড়ো একটা বিশ্বাস থাকে না । তাহাদের ভয় হয়, যে কাজ তাহার নিজে না করিবে সেই কাজ অন্যে করিলেই পাছে সমস্ত নষ্ট করিয়া দেয়।
১৪#
মানুষের সহবাসই মানুষের সর্বপ্রকার মনোবৈকল্যের প্রধান ঔষধ ।
১৫#
বার বার ভিন্ন ভিন্ন রকম স্থির করাকে স্থির বলে না – সে তো অস্থির করা ।
১৬#
পৃথিবীতে কাহারো অভাবে অধিক দিন কিছুই শূন্য থাকে না।
১৭#
আমার সঙ্গে যাহার বোঝাপড়ার কোনো সম্পর্ক নাই তাহাকে বুঝিতে চেষ্ঠা করাই ধৃষ্টতা । কিন্তু পৃথিবীতে দৈবাৎ এমন এক একটি মানুষ মেলে দৃষ্টিপাতমাত্রই যাহার সঙ্গে সম্বন্ধ স্থির হইয়া যায় ।
১৮#
যেখানে নির্ভরতাও নাই, স্বাধীনতাও নাই, সেখানে প্রাণ বাঁচে কী করিয়া ।