মিডিয়া : এক প্রতিশোধপরায়ণা জাদুকরী নারী

ইয়লকাস রাজ্যের রাজা ছিলেন ইসন। রাজা ইসনের একমাত্র ছেলে জেসন। রাজা ইসনের মৃত্যুর সময় তার পুত্র জেসনের বয়স ছিলো খুবই কম, রাজ্যের দায়িত্বভার নেওয়া ছোট্ট জেসনের পক্ষে সম্ভব না। আর তাই রাজা ইসন তার সৎ ছোটভাই পেলিয়াসকে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে যান। এবং বলে যান তার ছেলে জেসন যখন বড় ও দায়িত্বশীল একজন পুরুষ হয়ে উঠবে তখন যেনো তার ছেলেকে রাজ্যের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন।

0 Comments

কবি :এক হতভাগা কবিয়ালের উপাখ্যান

গল্পের প্রধান চরিত্র নিতাইচরণ। ডোমবংশে জন্ম হয়েছে, হিন্দু সমাজে তা পতিত ও নিচু সামাজিক স্তরে। তার পূর্বপুরুষ সকলেই চুরি,ডাকাতি ও খুন পেশার সাথে সম্পৃক্ত। তিনি তার পূর্বপুরুষদের পেশা ধরে রাখেন নি কারণ তিনি যে স্বভাব কবি। পারিবারিক পেশাকে ঘৃণা করে তিরস্কার করায় তার পরিবার তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

0 Comments

মধ্যযুগের কিছু অসমাপ্ত রহস্য

১৫১৮ সালের জুলাই মাসে লেডি ট্রফিয়া (বা ফ্রাউ ট্রফিয়া) নামে একজন মহিলা স্ট্রাসবার্গের (তখন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য, আজকের আধুনিক ফ্রান্স) একটি ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ উম্মাদের মতো নাচতে শুরু করেন। তার নাচ দেখে অনেক দর্শক জমে যায়, সাথে তার নাচের ক্ষমতার প্রশংসাসূচক হিসেবে হাত তালিও দিতে শুরু করেছিলেন।

0 Comments

মধ্যযুগের ইউরোপের অদ্ভুত সব রীতি নীতি

মধ্যযুগের ইউরোপে আদালতে শুধু মানুষ নয় পশুদেরকেও বিচার করা হতো। এটা শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি। এডমন্ড পি. ইভান্সের “দ্য ক্রিমিনাল প্রসিকিউশন অ্যান্ড ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস” বইতে লেখক লিখেছেন কিভাবে, অর্ধ সহস্রাব্দেরও কম আগে, প্রাণীদের বিচার করা হয়েছিল, উপহাস করা হয়েছিল, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং নির্বাসিত করা হয়েছিল। বেশ কিছু নথিপত্র ঘাটাঘাটি করে দেখা যায় কমপক্ষে ৮৫ টি প্রাণীর বিচার করা হয়েছিলো মধ্যযুগের ইউরোপে।

0 Comments

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা : প্রচলিত কি উদ্ভট থিওরি

জার্মানির হ্যামিলন শহরে ইঁদুরের আক্রমণ এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল য়ে তা একপ্রকার মহামারি আকার ধারন করেছিল। আর সেই সময়ে সেই শহরে হাজির হয় হরেক রঙের পোশাক গায়ের এক বাঁশিওয়ালা। শহরের মেয়র তাকে প্রস্তাব দেয় যদি সে শহর থেকে সকল ইঁদুর তাড়াতে পারে তাহলে তাকে ১০০০ স্বর্ণমুদ্রা দেওয়া হবে।

0 Comments

ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক মৃত্যু ভোগ করা রাজাগণ

সম্রাট আওরঙ্গজেব শিবাজির প্রাণ বাঁচানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন যদি শিবাজি তার অধীনে থাকা সকল দূর্গ ও তার লুকনো সব ধনসম্পত্তি হস্তান্তর করেন তবে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এই প্রস্তাবের বিপরীতে শিবাজি আওরঙ্গজেবের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেব কে উপহাস করেছিলেন।

0 Comments

উমোজা : পুরুষবিহীন এক আফ্রিকান গ্রাম

উমোজা আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার সাম্বুরু কাউন্টির একটি গ্রাম। রাজধানী নাইরোরি থেকে ৬ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম। আফ্রিকার অন্যান্য ৮/১০ টি উপজাতিদের গ্রামের মতোই উমোজা গ্রামের পরিবেশ; গ্রামের আশেপাশে আছে তৃণভূমি, আর বসতবাড়িগুলো কুঁড়েঘরের আর গ্রামটি পরিচালিত হয় স্থানীয় সমপ্রদায়ের নিয়মানুযায়ী। তবে অন্যান্য আফ্রিকান গ্রাম গুলোর থেকে উমোজা গ্রামের ব্যতিক্রম দিক হচ্ছে ‘এই গ্রামে পুরুষ নিষিদ্ধ!’। এখানো কোনো পুরুষ বাস করতে পারে না। তবে এর মানে এই না যে সেখানে কোনো পুরুষই প্রবেশ করার অনুমতি নেই!

0 Comments

ক্যামেরায় তোলা কিছু হৃদয়বিদারক ছবি

ছবিতে ১৯৪৮ সালে আমেরিকার শিকাগোতে এক মা তার চার সন্তানকে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। ছবির ফটোগ্রাফার মহিলার ছবি তুলতে গেছে লজ্জায় বিব্রত হয়ে তিনি নিজের মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন। ছবির এই মহিলার নাম লুসিল চ্যালিফক্স, বয়স মাত্র ২৪ বছর। এই অল্প বয়সের ৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আর ৫ম সন্তানটি গর্ভাবস্থায় রয়েছে। তার স্বামী সদ্য চাকরি হারিয়েছেন। ফলে না খাবার কিনতে পারছিলেন না বাসা ভাড়া দিতে পারছিলেন। আর তাই বাধ্য হয়েই নিজের সন্তানদের বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।

0 Comments

ইতিহাসের ৫ জন নিষ্ঠুরতম সম্রাট

চেঙ্গিস খান তার ২১ বছরে শাসনামলে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল দখল করতে গিয়ে তিনি ও তার সেনাবাহিনী প্রায় ৪০ মিলিয়নের অধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিলেন। তার এতো এতো মানুষ হত্যার ফলে অসংখ্য শহর ও জনবহুল এলাকা মানবশূণ্য হয়ে পড়ে। আর সেসব জনমানবশূণ্য এলাকা ক্রমে ক্রমে গাছপালায় বনজঙ্গলে পরিণত হয়। আর এই সৃষ্টি হওয়া বিশাল বনজঙ্গলের গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন চেঙ্গিস খানের কারনে বায়ুমন্ডল থেকে ৭০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডল থেকে অপসারিত হয়েছিল

0 Comments

Norwegian Wood (নরওয়েজিয়ান ওড) : যে উপন্যাস বিষন্নতার দিকে ঠেলে দেয়

সময়টা ১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকের। জাপানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের সময় ১৯ বছরের তরু ওয়াতানাবে টোকিওতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা নিয়ে পড়াশোনা করতে।

0 Comments